ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি অস্থায়ী ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন নিহতদের মধ্যে ৩ জনের করোনা পজিটিভ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের খবর জানান। অস্থায়ীভাবে নির্মিত ওই করোনা ইউনিটে অগ্নি নির্বাপনের যথাযথ ব্যবস্থা ছিলো কিনা কিংবা এ ঘটনায় হাসপাতালের গাফিলতি ছিলো কিনা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালে তাবু দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন মহিলা। তারা হলেন: রিয়াজুল আলম (৪৫), খোদেজা বেগম (৭০), ভেরুন এন্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫), মাে. মাহাবুব (৫০)।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন: অগ্নিকাণ্ডের সময় এক রোগীর স্বজন গেইটে দাড়ানো ছিলেন। তিনি ৯টা ৪৮ মিনিটে আগুন দেখে ৯৯৯ এ ফোন করেন। আমরা তার ফোন চেক করেছি। এর ফলে ধরে নিতে পারি অগ্নিকাণ্ডের সূচনা ৯ টা ৪৮ মিনিটে। পরবর্তীতে ভাটারা থানার মাধ্যমে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত মেসেজ পাঠাই। তবে ফায়ার সার্ভিস আসা পর্যন্ত সময়ে হঠাৎ করেই আগুন বড় পর্যায়ে চলে যায়, এর ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে তিনি বলেন: রোগীর স্বজনরা এসির স্পার্কিং থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া, ওই তাবুর প্রায় সকল দ্রব্যাদি অনেক বেশি দাহ্য। সেখানে অনেক ধরনের স্যানিটাইজেশন উপাদান ছিলো, যা খুবই দাহ্য পদার্থ। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প সময়ে আগুন এখানে খুব বড় রূপ নেয় এবং ৫ জন নিরীহ রোগী মৃত্যুবরণ করেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.