প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে মাটিচাপা, তিন মাস পর মরদেহ উদ্ধার
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নিখোঁজের প্রায় তিন মাস পর মাটিচাপা দেয়া এক কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি নিহতের পরিবারের।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কান্দি ইউপির তালপুকুরিয়া গ্রামের একটি মাছের ঘেরপাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কমলেশ বাড়ৈর একই গ্রামের কেনারাম বাড়ৈর ছেলে। তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।
কমলেশের ভাই রবেণ বাড়ৈ জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মাছের ঘের ব্যবসায়ী মন্মথ বাড়ৈর সঙ্গে প্রেম চলছিল কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈর। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর প্রায়ই ঝগড়া হতো। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ হলেও কোনো কাজ হয়নি। ফেব্রুয়ারির শেষে নিখোঁজ হন কমলেশ। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পাওয়ায় ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডি করা হয়।
তিনি জানান, জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রামের বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মঙ্গলবার মন্মথ বাড়ৈর মাছের ঘেরপাড়ে ঘাস কাটতে যান বিপুল বাড়ৈ নামে একজন। এ সময় মাটি খোঁড়া দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তিনি। পরে পুলিশ মাটি খুঁড়ে কমলেশের মরদেহ উদ্ধার করে।
সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক মন্মথ বাড়ৈর সহায়তায় কমলেশকে হত্যার পর ঘেরপাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ রবেণ বাড়ৈর। তিনি দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।