কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘চাল-আলু-ডাল কীভাবে ঈদ ‍উপহার হয়!’

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২০, ১৭:০৪

কুষ্টিয়ায় করোনাকালে কর্মহীন ও দুস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ঈদ উপহার নামে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। তবে এত দেখা দিয়েছে অসন্তোষ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যারা উপহার পাচ্ছেন তারা বলছেন, শুধু চাল আলু ও অ্যাংকার ডালের প্যাকেট আবার কীভাবে ঈদ উপহার হয়? এই দুর্দিনে যদি অন্তত একটু সেমাই ও চিনি দিতো তাহলেও অন্তত ঈদের স্বাদটা পাওয়া যেতো। রবিবার সকাল থেকে জেলার পাঁচটি পৌরসভা ও ৬৪টি ইউনিয়নের অসহায় দুস্থদের মাঝে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলাজুড়ে সরকারি এসব ত্রাণ বিতরণের প্রধান সমন্বয়কারী জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, রবিবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ার ছয়টি উপজেলার লক্ষাধিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এই ঈদ উপাহারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এছাড়া জেলার ৭৮ হাজার ব্যক্তির মাঝে ঈদ সামগ্রী ও শিশু খাদ্য বাবদ ২৫০০ টাকা মোবাইল ক্যাশ দেয়া হয়েছে। তবে এই সুবিধাভোগীদের মধ্যে সিংহভাগেরই অভিযোগ, আমরা মোবাইলে কোনো টাকা পাইনি।

কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হাজেরা খাতুন (৫২) ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘চাইল আলু এ্যাংকার পুদানমুন্ত্রীরির ঈদ উপুহার!’ ‘আমি মনে করিছিলাম যাক এই উপহার পেকেটের মুদি সিমাই-চিনিও আচে’ ‘কিন্তু ইয়ার ভিতর দেকি এক কেজি আলু, এক কেজি এ্যাংকার আট কেজি চাইল আচে। ছেলেডা অটো চালাইতি, তাও আড়াই মাস বাড়িত বইসি, হাতে এ্যাকন কোন ট্যাকা নি যে ইকটু সিমাই-চিনি কেনবো।’

কুমারখালী পৌসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভ্যান চালক ইমরুল বলেন, ‘সরকার এই দুর্দিনে যা দেচে তাই দিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে খাইয়ে তো বাঁচি, বাঁইচি থাকলি ঈদ তো আরও আসপি, তখন না হয় সিমাই-চিনি খাবো। মোবাইলে ট্যাকা আসার কতা ছিলি, তা তো আসিনি, কি সপ জালিয়াতি নাকি হয়চে, সেজন্যি নাকি ওই ট্যাকা দিয়া বন্ধ কইরি দেচে সরকার।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র শামসুজ্জামান অরুণ অসৌজন্যমূলক আচরণ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে সম্মত হননি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও