‘কেন মা কোলে নেয় না, আদর করে না, কবে মাকে জড়িয়ে ধরব?’
ছোট্ট শিশু অথৈ চাকমা। বয়স প্রায় চারের কাছাকাছি। ঘরের এক কোণে খেলনা হাড়ি-পাতিল আর পুতুল দিয়ে খেলছে। আরেক ঘর থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে মেয়েকে দেখছেন মা।
মাকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, কাছে গিয়ে গায়ের গন্ধ নেওয়া যায় না। অভিমানে, কষ্টে মুখ ফোলায় অথৈ।
আব্দার করে, যখন খেলবে মা যেন ভিডিও কলে দেখে আর কথা বলে।
কিন্তু শিশুর মন কি আর সবসময় খেলার মাঝে পড়ে থাকে ? তখন ভিডিও কলও তার কাছে খেলনা মনে হয়। তাই সে তার মায়ের ঘরের দরজায় গিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মায়ের দিকে। কেঁদে কেঁদে বলে, কেন মা তাকে কোলে নেয় না ? কেন আদর করে না? কবে মাকে জড়িয়ে ধরব?
করোনাভাইরাস কী, তাই তো জানে না অথৈ।
গত ১৯ মে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, অফিস সহায়কসহসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে অথৈয়ের মা রুমি চাকমা (৩৪) ও রয়েছেন। যিনি হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
তিনি বলেন, গত ১৪ মে হাসপাতালের করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসায় তাদের অনেক জনকে নমুনা দিতে হয়। পাঁচ দিন পর রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোবাইল বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হয় তার করোনা পজিটিভ।
তিনি বলেন, প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিন শুরু করছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ খাচ্ছেন। এক সপ্তাহ আগে কিছুটা গলা ব্যথা ছিল। এখন তেমন কোনও সমস্যা নেই।