ছেলেবেলায় গ্রামের ঈদটাই অন্যরকম ছিল। সকালে ঘুম ভাঙতো মায়ের চুমুতে। এরপর জোর করে বিছানা থেকে তুলে দিতেন। চোখে মুখে ঘুম নিয়ে সোজা পুকুর ঘাটে চলে যেতাম। ঈদের দিন সাতসকালে দলবেঁধে গোসল করা ছিল রেওয়াজ। এরপর ঘরে ফিরে নতুন জামা গায়ে দিতেই মা হাতে ধরিয়ে দিতেন এক গ্লাস ‘মলিদা’।
ঈদের সকালে মলিদা না হলে যেনো ঈদের দিনই শুরু হত না। ঈদের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে মায়ের মলিদা তৈরি উপকরণ যোগাতে হত। আগের রাতেই তিনি আতপ চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতেন। কোড়ানি দিয়ে নারকেল কুড়িয়ে রাখতেন। এরপর আতল চাল পাটায় বেটে তার সঙ্গে নারকেলের দুধ আর আদার রস আর আখের গুড় দিয়ে তৈরি হত এই শরবত। এটি পান করতে যেমন সুস্বাদু তেমনি সারা মাসের রোজার ক্লান্তি দূর করতেও সহায়ক ছিল এটি।
ঈদের দিনের অতিথি অ্যাপায়ন পর্ব শুরু হত মলিদা দিয়ে। এখনকার অনেকেই বুঝি মলিদার নামও জানেন না। যদিও আমার গ্রামেই এখন আর কেউ মলিদার শরবত তৈরি করে না। হারিয়ে যেতে বসেছে জনপ্রিয় এই পানীয়। এক সময়ের জনপ্রিয় এই শরবতের রেসিপি পাঠকদের জন্য দেয়া হলো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.