পিছিয়ে যেতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
পিছিয়ে যেতে পারে ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে সূচির যে বিপর্যয় ঘটেছে, সেই ধাক্কা কাটিয়ে নির্ধারিত সময়ে আর আসরটি মাঠে নেয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে বৈশ্বিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।
আগামী সপ্তাহে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া আসর পিছিয়ে দেয়ার ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।আসর পিছিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে একটি প্রশ্নের। যার যথাযথ উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে আইসিসি ও আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। প্রশ্নটি হচ্ছে, কবে তাহলে আয়োজন করা হবে ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ঝুলে যাওয়া আসর। ২০২১ সালেই যে আছে আরেকটি একই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। অবশ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাতে আছে একাধিক বিকল্প-
প্রথমত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে একটি সম্ভাব্য সূচি ফাঁকা আছে। সেসময়ে বিশ্বকাপ আয়োজন হলে আবার টি-টুয়েন্টির একঘেয়েমিতে পেয়ে বসতে পারে দর্শকদের। কারণ তখন এপ্রিলের আইপিএল আবার পিছিয়ে দিতে হবে। তাতে আবার ইংল্যান্ডের ভারত সফর ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। সিরিজটির সম্প্রচার স্বত্ব স্টার ইন্ডিয়ার, যারা আইসিসির সব আয়োজনেরও সম্প্রচার ভাগীদার। বিশ্বকাপ এবং ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ সূচির ঝামেলায় পড়ুক তা কিছুতেই চাইবে না প্রতিষ্ঠানটি।
দ্বিতীয়ত, বিসিসিআইকে রাজি করিয়ে ২০২১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ২০২১ বিশ্বকাপের স্বাগতিক ভারত। সেক্ষেত্রে তাদের ২০২২ সালে পিছিয়ে দিতে হবে ২০২১ আসর। কিন্তু কী যুক্তিতে ভারত আসর পিছিয়ে দেবে? সেটাও এক বড় প্রশ্ন!
তৃতীয়ত, সবদিক বিবেচনায় ২০২২ সালটি হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার জন্য আদর্শ সময়। সেবছর আইসিসির কোনো আয়োজন নেই। তবে খেলোয়াড়দের আপত্তি থাকলেও থাকতে পারে।
সবকিছু নির্ভর করছে ২৬ ও ২৮মে আইসিসির সদস্য বোর্ডগুলোর টেলি কনফারেন্স সভার উপর। সেখানে নির্ধারণ হবে ২০২০ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাগ্য। একইসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনা হবে সভায়। আইসিসির নতুন সভাপতির নমিনেশন পত্র গ্রহণ ও জমা দেয়ার শেষ তারিখ এবং নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা।
আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর সেখানে গেলে থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। এ অবস্থায় ১৬ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন যে একপ্রকার অসম্ভব সেটা মানতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে।
বিশ্বকাপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য খারাপ হলে কপাল খুলতে পারে ভারত ও ইংল্যান্ডের। সেক্ষেত্রে অক্টোবর-নভেম্বর মাসটা ফাঁকাই থাকবে একপ্রকার। ফলে পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে হবে না ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডকে।
আর ২০২০ সালের আইপিএলটা আয়োজন করতে পারবে বিসিসিআই। তখন ভাড়া করা বিমানে বিদেশি ক্রিকেটারদের আনার খরচটাও গায়ে লাগবে না আয়োজকদের। যদিও বিশ্বকাপ আয়োজন বাদ দিয়ে আইপিএল আয়োজন করার ব্যাপারে কোনো চাপ দেয়া হবে না বলেই জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা। কারণ বিতর্ক উঠছে অজি বোর্ড ও আইসিসির উপর বিসিসিআইয়ের প্রভাব খাটানোর বিষয়ে।