৩০ শতাংশই থাকবে পিপিপি প্রকল্প, বাড়বে বাস্তবায়ন অগ্রগতি
এক সময় ঢাকা থেকে পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ যাতায়াত ছিল কষ্টসাধ্য। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই জেলায় যাওয়া মানেই ছিল যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদের অসহনীয় যানজট-জনজট। সমস্যা নিরসনে বহু প্রতীক্ষার পর উন্মুক্ত হয় গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ীর ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার। এতে কিছুটা কমেছে জট। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় এ ফ্লাইওভার ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে। এমন আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পিপিপি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ (উড়াল সড়ক)।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে। তখন ঢাকার জটলা কমবে আরো। এমন জনকল্যাণমুখী পিপিপি প্রকল্প আরো বাড়াবে সরকার। পর্যায়ক্রমে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (পিপিপি) প্রকল্পের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। পাশাপাশি বেশি নেওয়া হবে জনকল্যাণমুখী প্রকল্প। বাস্তবায়ন গতি বাড়িয়ে জনগণকে দ্রুত সময়ে প্রকল্পের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ফ্লাইওভার
- পিপিপি
- যানজট নিরসন
- ঢাকা