কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আগে তো বাঁচতে হবে, তারপর খেলা!

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০, ০৯:৫৯

এক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনে থাকা খারাপ ছিল না। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম হয়ে গেল। চারিদিকে শুধু দুঃসংবাদ। কত দিন আর এরকম ভালো লাগে। এর তো একটা শেষ দরকার! এটা ভালো যে, পরিবারের সঙ্গে অনেক বেশি সময় কাটানো যাচ্ছে। দুই বাচ্চাকে পুরো সময়টা দিচ্ছি। ছোট জন যদিও এখনও সেভাবে বোঝে না। তবে বড় জনের সঙ্গে এখন যে সময়টা কাটাচ্ছি, এটা তো আগে কখনও দিতে পারিনি। পারিবারিকভাবে তাই খুবই ভালো সময় যাচ্ছে। সঙ্গে যদি ঘর থেকে একটু বের হতে পারতাম, তাহলে আরও ভালো হতো। দেড় মাস ধরে ঘরের মধ্যে। যদি বাইরে গিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে বসতে পারতাম, কোথাও ঘুরতে যেতে পারতাম! সপ্তাহে একদিন যেতে পারলেও মন্দ হতো না।

আমাদের এখানে, উইসকনসিন রাজ্যের ম্যাডিসন শহরে আলহামদুলিল্লাহ এখনও ভালো অবস্থা। আগের তুলনায় পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে। পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই মনে হয় অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এই দেশে প্রতিদিন ৩ লাখের মতো পরীক্ষাই হয়। যারা পজিটিভি হচ্ছে, তাদের আইসোলেশনে রাখছে। এটা একটা সুবিধা। রোগটা বেশি ছড়াতে পারছে না এখন।

এটা একটা সুবিধা। রোগটা বেশি ছড়াতে পারছে না এখন। যত বেশি পরীক্ষা, তত বেশি নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা, এটাই এখানে নীতি। ম্যাডিসনে বসেই খবর পাচ্ছি, অনলাইনে দেখছি দেশে মানুষজন সব ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। হাঁটারও নাকি জায়গা নেই রাস্তায়! বিশেষ করে মফস্বল শহরগুলোতে। আমাদের মাগুড়ায়ও রাস্তায় অনেক ভিড়। মার্কেটে গিয়ে দোকানে ঢুকতে লাইন দিতে হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশের মানুষের বেশিদিন ঘরে থাকার অভ্যাস নেই। তার ওপর বিদেশ থেকে প্রতিদিনই তো কত মানুষ দেশে ফিরছে। আমাদের দেশে এসব নিয়ন্ত্রন করা কঠিন। সিদ্ধান্ত যেদিকেই নিবেন, একটা না একটা সমস্যা হবে। কিন্তু আমার মনে হয় লকডাউনটা আরও কিছুদিন থাকলে মহামারীর সংক্রমণ কমে আসত। জানি না বাংলাদেশে এসবের ভবিষ্যত কীভাবে অনুমান করা হয়। তবে এখানে তো মোটামুটি ওরা যা বলছে, তা-ই মিলে যাচ্ছে। এখানে আমার দৈনিক রুটিন বলতে প্রতিদিন ভোর ৪টার মধ্যে সেহরি করে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমোতে যাই। ইফতার হতে হতে রাত সাড়ে ৮টা। যোহরের নামাজের আগে ঘুম থেকে উঠে যাই। এরপর দিনের শুরু। বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানো, ওদের সঙ্গে খেলা, টিভি দেখা, গল্প করা, মুভি দেখা... এভাবেই কাটে সময়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও