দুপুর সাড়ে ১২টা। এখানো ১০ হাজারের উপরে সাধারণ যাত্রী মাওয়া ঘাটে অবস্থান করছেন। সব ফেরি বন্ধ ঘোষণার পরও জনস্রোত বন্ধ হচ্ছে না। শিমুলিয়া ঘাটে হাজারো মানুষ ফেরিতে অপেক্ষা করছে। ফেরি না ছাড়লে তারা রাতে সেখানেই অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে। এর আগে রাত ১টার দিকে ফেরি ছাড়ার অপেক্ষায় দু’টি ফেরিতে তারা গাদাগাদি করে অপেক্ষা করছিল। সোমবার বিকেল ৩টায় বন্ধ করে দেয়া হয় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটের ফেরি সার্ভিস। তখনও ঘাটে পণ্যবাহী দুই শ’ ট্রাক এবং ৫০টির মত প্রাইভেটকার ছিল। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত লাইনে এখনো দেড় শ’ পণ্যবাহী ট্রাক অসংখ্য প্রাইভেটকার অপেক্ষমান।
গভীর রাতে সীমিত আকারে তিন ঘণ্টায় ছয়টি ফেরি দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও অসংখ্য প্রাইভেটকার ও সাধারণ দিনমজুরদের পার করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জনদুর্ভোগ যাতে না হয় সে জন্যই মানবিক দিক বিবেচনা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই দুর্ভোগে আটকে পরা জনসাধারণদের পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেক পোস্ট বসানো হলেও গাড়ি না আসলেও ভেঙে ভেঙে মানুষ আসা থামেনি।
বহু মানুষ জড় হতে থাকে। এরই মধ্যে কাঁঠালবাড়ি থেকে একটি রোরো ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে নোঙ্গর করে। তখনই হুমড়ি খেয়ে পড়ে অপেক্ষারত লোকজন। পদ্মা পাড়ি দিতে ফেরি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ট্রলার, লঞ্চ এবং স্পীটবোট সবই বন্ধ। এরই মধ্যে আরো লোকজন ঘাটে এসে ভিড় করে। রাত ৯টার দিকে শিমুলিয়ার আরেক ঘাটে মাঝারি আকারের ফেরি ক্যামেলিয়া নোঙ্গর করে। সেখানেও অর্ধ সহস্রাধিক মানুষ উঠে যায়। এখন দুটি ফেরিই লোকে লোকারণ্য। কিন্তু ফেরি ছাড়ছে না।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.