চাষীদের ক্ষতি কাটাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন
চৈত্র মাস থেকে গরম বাড়তে শুরু করে আমাদের দেশে। গ্রীষ্মকালে এসে সেই গরম চরম আকার ধারণ করে। আবহাওয়া এমন থাকার কারণেই হয়তো এ সময়টাতে রসালো বেশকিছু ফল আসে বাজারে। এরমধ্যে প্রথমেই বলতে হয় তরমুজের কথা। ঘামে ভেজা শরীরের পানিশূণ্যতা পূরণে, শক্তি জোগাতে এর কোনো তুলনা নেই। এবার লকডাউন পরিস্থিতি থাকায় তরমুজ নিয়ে বাঙালির চিরচেনা সেই উন্মাদনা ছিলো না। ফলে কৃষকরা তরমুজের দাম পায়নি।
এ অবস্থায় কোনো কোনো এলাকায় প্রশাসন তরমুজ কিনে নিয়ে ত্রাণ হিসেবে তা আবার দান করেছে। কিন্তু এর মাধ্যমে অল্প কিছু এলাকার তরমুজ চাষী উপকৃত হয়েছেন। বাকি এলাকায় কৃষকদের ক্ষতি মেনে নিয়েই বসে থাকতে হয়েছে। তরমুজের সময় এখন শেষ হচ্ছে। রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু হয়েছে। তবে আমের মৌসুম এখনো জমেনি। আর কিছুদিন পর জমবে। কিন্তু বাগান মালিকরা চিন্তার মধ্যে আছেন। এবার করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ।
এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত বন্ধ। তাই আমের পাইকারি বাজার জমছে না। তাহলে আম বিক্রি হবে কীভাবে? এ কারণে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে আম বাগানের মালিকরা। রাজশাহী, নওগাঁসহ আম চাষ হয় এমন অঞ্চলের এই সিজনে উৎসবমুখর অবস্থা তৈরি হয়। এবার চারিদিকে শুধু হতাশা। করোনাভাইরাস এভাবে আমাদের প্রতিটি সেক্টরের ক্ষতি করছে।
এর থেকে মুক্তির উপায় এখনো জানা নাই। তবে চাষীদের ক্ষতি কাটাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করি সবাই এগিয়ে যাবে। হাসি ফুটবে কৃষকদের মুখে। লেখক: হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক ঢাকাটাইমস/১৯মে/এসকেএস