চীনের উহান থেকে পৃথিবীব্যাপী সার্স কোভ-২ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার শিরোনামটি এখন পাঁচ মাসের বেশি পুরোনো। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ হানা দেয়ার দুই মাস পূর্তিও হলে গেল ক’দিন আগেই। পৃথিবীর আর ২১১টি রাষ্ট্র এবং অঞ্চলের মতোই কোভিডের সহসা ধাক্কায় হতচকিত ভাবটা কাটিয়ে উঠে আর সবার মতো আমরাও এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি দীর্ঘমেয়াদে কোভিড-১৯ মোকাবিলার। ধারণা করা হচ্ছে কোভিড-১৯-এর মতোই কোভিড-উত্তর সময়টা অর্থাৎ কোভিড-২০-২১ মোকাবিলাটাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। এর একটি দিক হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতের প্রস্তুতি। আর এই লেখার গণ্ডিটাও সেই জায়গাটাকে কেন্দ্র করেই। জানুয়ারিতে প্রথম যখন কোভিড-১৯ নামক রোগটি বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব সৃষ্টি করতে শুরু করেছিল সেই সময়টার তুলনায় আজকে আমদের অস্ত্রাগার অনেক বেশি সমৃদ্ধ। তখন কোভিড-১৯-এর ওষুধ বলতে ছিল জ্বর-কাশি আর শ্বাসকষ্টের সিম্পটোমেটিক চিকিৎসা। সে জায়গায় আজ আলোচনায় অনেকগুলো ওষুধ। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আছে তিনটি, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ফেভিপিরাভির, রেমডেসিভির। এর মধ্যে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের সাথে আছে বাঙালির নাড়ির যোগ। আজকের বাংলাদেশের যশোরের সন্তান আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় গত শতাব্দীর শুরুতেই বাগেরহাটে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যালস- এই উপমহাদেশের প্রথম ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, পরবর্তীতে যা স্থানান্তরিত হয় পশ্চিমবঙ্গে। আজও পৃথিবীর বৃহত্তম হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদনকারী দেশ ভারত। পৃথিবীর ৭০% হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন আসে ভারত থেকেই। ওষুধ শিল্পের যে বীজ একদিন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র বপন করেছিলেন বাংলার মাটিতে, আজকের বাংলাদেশ গর্বিত ভঙ্গিমায় তার উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে। সেই ধারাবাহিকতায়ই পৃথিবীর প্রথম জেনেরিক ফেভিপিরাভির ও রেমডিসিভির উৎপাদিত হয়েছে বাংলাদেশে। ফেভিপিরাভির বা রেমডিসিভির দিয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যখন পৃথিবীর উন্নততম দেশগুলোর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য লটারি জেতার মতো, তখন আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতালে সেসব ওষুধ এখন রোগীরা পাচ্ছেন বিনামূল্যে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.