দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জীবাণুনাশক টানেল তৈরি করা হয়েছে। আর সেসব টানেল স্থাপনের সংবাদে গত ১৬ এপ্রিল শরীরে সরাসরি জীবাণুনাশক ছিটানো বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। অথচ বুধবার ( ১৩ মে) সরকারি অফিসে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি অফিসগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানেলের ভেতরে কয়েক সেকেন্ড সেন্সরটা কাজ করে, এটা কোনওভাবেই সুরক্ষা দেবে না। বরং চোখসহ সরাসরি শরীরের উন্মুক্ত স্থানে সেটা ক্ষতিকারক। একইসঙ্গে এটা একটা ফলস সিকিউরিটি সেন্স দেবে। টানেলের ভেতরে দিয়ে চলাচল করার পর মানুষ নিজেকে জীবাণুমুক্ত ভাববে, প্রকৃতপক্ষে সেটা হবে না। এতে করে ক্ষতির মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যাবে, এজন্য টানেলের কনসেপ্ট বাংলাদেশে ফিজিবল না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবাণুনাশক হিসেবে ব্লিচিং ব্যবহার করা যাবেই না, নিরাপদ কেমিক্যাল হিসেবে যাই ব্যবহার করা হোক না কেন সেটাই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। একইসঙ্গে পাবলিক প্লেসে এই ধরনের টানেলের কোনও কার্যকারিতা নেই। বরং তাতে করে মানুষকে এটা ফলস সিকিউরিটি দেবে, মানুষ নিজেকে নিরাপদ ভাববে, যাতে করে বিপদ আরও দ্বিগুণ হবে। তাই টানেল স্থাপন করার আগে ভাইরোলজিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও জীবাণুনাশক নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করে এর কোনটাতে কতটা ক্ষতি, সেসব কিভাবে নিরূপণ করতে হবে এবং তার সমাধান কী হবে সে বিষয়ে মতামত নিতে হবে, নয়তো এটা হিতে বিপরীত হবে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টানেল বসানোর সিদ্ধান্তকে লোক দেখানো মন্তব্য করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এসব টানেল প্রকৃতপক্ষে কোনও কাজ করবে না, এগুলো ফলস সিকিউরিটি দেবে এবং সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হবে সেগুলো চোখ, মুখ এবং শ্বাসনালীর ক্ষতি করবে—আর শ্বাসনালীর ক্ষতি হলে সেটা করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য সহায়ক হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.