করোনা: হাইকমিশনারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ভার্চুয়াল কনফারেন্স

সময় টিভি প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২০, ০৫:৪৪

হাইকমিশনারের সঙ্গে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চেম্বার প্রতিনিধিদের ভার্চুয়াল কনফারেন্স যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সঙ্গে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চেম্বার ও এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের এক বিশেষ ভার্চুয়াল কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের বিশেষ উদ্যোগে এ কনফারেন্স হয়। এতে করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যেসব ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন; সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী এবং তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে আমদানির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই), ইউকে-বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই), বাংলাদেশ ক্যাটারারস এসোসিয়েশন, ইউকে (বিসিএ), ব্রিটিশ-বাংলাদেশ ক্যাটারারস এসোসিয়েশন, ইউকে বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেস ভ্যাজিটেবেল অ্যান্ড ফ্রুটস আমদানিকারক এসোসিয়েশন, ইউকে এবং ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স। এসব চেম্বার ও অ্যাসোশিয়েশনের নেতৃবৃন্দ হাইকমিশনারের সাথে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের ফলে বাংলাদেশ থেকে হিমায়িত খাদ্য, ফল, শাক-সব্জি এবং তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে আমদানির ক্ষেত্রে এবং এসব পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশে লকডাউনের জন্য যে স্থিতাবস্থা দেখা দিয়েছে সে সব দূরীকরণের বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কারিশিল্প যুক্তরাজ্যে লকডাউনের জন্য যে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। হাইকমিশনার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের সর্বশেষ অবস্থা এবং করোনা বিশ্ব-মহামারীর ফলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসার ক্ষতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হাই কমিশনার যে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলি অবহিত করেন। তিনি বিশেষভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্রণোদনা প্যাকেজ প্রধানত রপ্তানি শিল্প-কারখানা ও তাদের শ্রমিকদের মজুরি সুরক্ষার জন্যই ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আর্থিক প্রণোদনায় প্রদত্ত সুবিধা গ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন ইউকে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও), ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, বিজিএমইএ এবং যুক্তরাজ্যের কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যাতে ব্রিটিশ রিটেইলাররা বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের জন্য আমদানি মূল্য পরিশোধ করেন এবং যে আমদানি আদেশ দিয়েছিলেন তা কার্যকর করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে মালামাল পরিবহন এবং এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল লকডাউনের সময়ও যাতে অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যে হাই কমিশন অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন যে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন ইতিমধ্যেই একটি ২৪/৭ কনস্যুলার হেলফ লাইন ও বাংলাদেশি ব্রিটিশ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করে একটি নতুন ২৪/৭ করোনাভাইরাস হেল্প-লাইন চালু করেছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশি কমিউনিটির যারা এদেশের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের আওতাভুক্ত নন, যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী অথবা বয়োবৃদ্ধ ও বাংলা ভাষায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তারা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যে কোন ধরনের পরামর্শে পেতে পারেন। হাইকমিশনার ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চেম্বার নেতৃবৃন্দ এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবা ও সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডের এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও