ফজরের নামাজ মসজিদে পড়তে না পারার কষ্ট নিয়ে প্রথম রোজা শুরু
‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ...আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম।’ সেহরি খাওয়ার পূর্বনির্ধারিত শেষ সময় ভোর ৪টা ৫ মিনিটে মসজিদ থেকে ভেসে এল ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি। অন্যান্য বছর প্রথম রোজা থাকতে সেহরি খাওয়ার পর থেকেই নগরবাসী ফজরের নামাজ জামাতে মুসল্লিদের সঙ্গে পড়তে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতেন। আজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যেতেন বাড়ির কাছের মসজিদে। কিন্তু শনিবার রোজার প্রথম দিনে মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে এলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সংক্রমণ প্রতিরোধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে মুসল্লিদের মসজিদে ছুটে যেতে দেখা গেল না। রাস্তাঘাটে বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছোট্ট শিশুটিকে বাবার হাত ধরে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ল না। ফজরের নামাজ ঘরে পড়ে মসজিদে নামাজ পড়তে না যেতে না পারার কষ্ট নিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করতে বসলেন অনেকে। বছর ঘুরে আজ থেকে শুরু হলো পবিত্র রমজান মাস। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ করেই নগরবাসী ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে সেহরি খাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিবছর রমজান শুরুর প্রথম দিনটিতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে পরিবারের ছোটবড় সবার মাঝে যে ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করে সেই আমেজ আজ ছিল না। করোনার কারণে এবার এই প্রথম মুসল্লিরা প্রথম রোজা রাখার নিয়ত মসজিদে গিয়ে তারাবিহ নামাজ পড়তে পারেনি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে রাজধানীর মসজিদগুলোতে খুবই সীমিত সংখ্যক-মাত্র ১২ জন মুসল্লির অংশগ্রহণে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।