করোনাভাইরাস: বিশ্ব যেভাবে বদলে যাবে
সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন করোনাভাইরাস। আক্রান্তের তালিকায় কোন দেশ নেই, তা খুঁজতে এখন রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হবে। মহামারি ঠেকাতে নানা উদ্যোগ চলছে। একই সঙ্গে চলছে মহামারি–পরবর্তী বিশ্বের রূপটি কেমন হবে, তা নিয়ে নানা আলোচনা। এ নিয়ে নানা বিতর্ক হতে পারে, তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, ভালো বা মন্দ—যেমনই হোক, এই সংকট অভাবনীয়ভাবে বদলে দেবে সামাজিক বিন্যাস। এই করোনাভাইরাস অনেক আমেরিকানকে নাইন-ইলেভেন বা ২০০৮ সালের ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটের মতো ঘটনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, যা গোটা বিশ্বের সমাজব্যবস্থাকেই দীর্ঘ মেয়াদে ঢেলে সাজিয়েছে। আমাদের ভ্রমণের অভ্যাস ও বাড়ি কেনা থেকে শুরু করে অভ্যস্ত সামাজিক নিরাপত্তার মাত্রা ও নজরদারি, এমনকি আমাদের ব্যবহৃত ভাষাতেও বদল নিয়ে এসেছে। মার্কিন পত্রিকা পলিটিকো গত সপ্তাহে বৈশ্বিকভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের প্রেক্ষাপটে ৩০ জনের বেশি বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদের মতামত নিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট এই ব্যক্তিবর্গ সমাজের ওপর চলমান এ সংকটের বহুমুখী প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন, যা আদতে বার্তার চেয়েও বেশি কিছু। এই ভাইরাস মানুষকে ঘরবন্দী করে ফেলেছে। এই বন্দিত্ব এমনকি কয়েক মাসের জন্য হতে পারে। এটি এরই মধ্যে দেশে দেশে নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের বা বহির্বিশ্বের এমনকি নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে শুরু করেছে। আগামী মাসগুলোয় বা বছরে এমন আরও অভাবনীয় পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করছেন এই বিশেষজ্ঞেরা। বিশ্বের জাতিগুলো কি এমন রুদ্ধই হয়ে থাকবে?