কোয়ারেন্টাইন ট্রিটমেন্ট সেন্টার হচ্ছে সাজেদা হাসপাতাল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সামগ্রিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে আজ (রোববার) এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলো সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেনাটা লি.। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এর মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী জাহেদা ফিজ্জা কবীর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ। বিশ্বজুড়ে সঙ্কট তৈরি করা প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। এর বিস্তার ও সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কোয়ারেন্টিন, ট্রিটমেন্ট সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করা হবে। দেশের অন্যতম বৃহৎ ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা লিমিটেডের সহায়তায় যৌথভাবে এর কার্যক্রম পরিচালনা করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশন। এ হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন সুবিধার পাশাপাশি কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, আইসিইউ এবং ডায়ালিসিস সেবা যুক্ত থাকবে। এক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি ও পর্যবেক্ষণ সেবা প্রদান করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন জেলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ১০ হাজার পারসোনার প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বিতরণ করবে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেনাটা লি.। সঙ্কটময় এ সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। এ দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টিতে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেনাটা লি. মিলে সারাদেশে ১০ লাখ প্রান্তিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ, মানসিক চ্যালেঞ্জ বিশিষ্ট এবং বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করবে। অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক এ মহামারী প্রতিরোধে সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদা ফিজ্জা কবীর।