করোনার আতঙ্কে হোলির দিল্লি নিরুত্তাপ
হোলির দিন রাস্তায় নামল না দিল্লি। গান-বাজনা সহ রঙের উৎসবে মাতল না রাজধানী শহর। 'হোলি হ্যায়' চিৎকারে সরব হল না মহল্লাগুলি। অধিকাংশ এলাকায় অল্প কিছু বাচ্চা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে রঙের উৎসবে কিছুক্ষণের জন্য সামিল হয়েছে মাত্র। কিন্তু অধিকাংশ দিল্লিবাসী ঘরের নিরাপদ ঘেরাটোপে নিজেদের বন্দি রেখে একটা ছুটির দিন কাটাতেই পছন্দ করেছেন। কারণ, আতঙ্ক। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। তার ওপর পুলিশ আবার বেশ কিছু জায়গায় ঘোষণা করেছে, জল বা বেলুন ছুঁড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একসময় দিল্লিতে রাজনীতিকরা হোলির দিন রঙের উৎসবে মাততেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী, তখন লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়ির হোলি উৎসব বিখ্যাত ছিল। যশবন্ত সিনহা ঢোল বাজাচ্ছেন, গান হচ্ছে। আবির উড়ছে-- এ সব দৃশ্য ছিল স্বাভাবিক। এমনকী রঙ গোলা জলও থাকত। গত বছর পর্যন্ত রাজনাথ সিং সহ অনেক মন্ত্রীর বাড়িতে রীতিমতো হইহই করে হোলি খেলা হয়েছে। কিন্তু এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করে দিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের জন্য হোলি মিলনে অংশ নেবেন না। তারপর বিজেপির কোনও মন্ত্রী বা নেতা প্রকাশ্যে হোলি খেলেননি। কংগ্রেস ও বিজেপি-র প্রধান নেতারা তো মঙ্গলবার হোলি না খেলে মধ্য প্রদেশে সরকার ফেলা ও বাঁচানোর জন্য সকাল থেকে বৈঠক করে গিয়েছেন। বসন্তের উৎসব, রঙের উৎসব ‘হোলি’ ‘হ্যাপি হোলি’ বছর ঘুরে আবারো এসেছে অনেক প্রতীক্ষার হোলি৷ তবে পশ্চিমবঙ্গে একদিন আগে, মানে ‘দোলে’-র দিন এ উৎসব পালন করা হয়৷