অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার
অনলাইনে এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বছরে কয়েকশ কোটি টাকা পাচার করছে একটি চক্র। বাংলাদেশের কিছু ট্রাভেল এজেন্ট বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সির পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দেদারসে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রির এ টাকা সরাসরি চলে যাচ্ছে বিদেশের ট্রাভেল এজেন্সির একাউন্টে। শুধু তাই নয়, অনলাইনে টিকিট বিক্রির ফলে সরকার বিভিন্ন প্রকার কর থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টিকিট বিক্রির জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগ দিয়ে থাকে। তারা এয়ারলাইন্সের পক্ষে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে থাকে। টিকিট বিক্রির পর কমিশনের টাকা দেশে রেখে বাকী টাকা বিদেশি এয়ারলাইন্সের একাউন্টে পাঠিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে জিএসএগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে থাকে। এছাড়া জিএসএগুলো টিকিট বিক্রির অর্থের ওপর সরকারকে নির্দিষ্ট হারে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে থাকে। কিন্তু অনলাইন ট্রাভেল এজেন্টগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে নগদ কোনো অর্থ গ্রহণ করে না। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের অর্থ সরাসরি চলে যায় বিদেশি এয়ারলাইন্সের অ্যাকাউন্টে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কয়েকদিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি বিদেশি ট্রাভেল এজেন্টের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্টগুলো টিকিট বিক্রি করছে। এসব দেশি এজেন্ট এবং তাদের ব্যবহার করা ওয়েবসাইট হচ্ছে- ট্রিপ অ্যান্ড কেয়ার (ট্রিপএনকেয়ার ডটকম), জিটিআরআর( জিটিআরআরট্রাভেলস ডটকম), আকবর ট্রাভেলস(এক্সইন্ডিয়া ডট আকবরট্রাভেলসঅনলাইন ডট কম), স্টার ডিএমসি (স্টারডিএমসি ডটকম), নিড৮২(নিড৮২ ডটকম), ভিয়া ডটকম (ইন ডট ভিয়া ডটকম), টিভিও হলিডেজ (ট্রাভেলবুটিকঅনলাইন ডটকম), মাইসটিফ্লাই (মাইসটিফ্লাই ডটকম)। আরো পড়ুন: ওবায়দুল কাদের-মির্জা ফখরুলের সেই আলোচিত ফোনালাপ ফাঁস অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (আটাব) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বেশকিছু ট্রাভেল এজেন্সি বিদেশি কোম্পানির পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে টিকিট বিক্রি করছে।