‘ক্ষমতা হারানোর ভয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না সরকার’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ জিকে গউছ বলেছেন- ‘লাগামহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার কারণেই আশঙ্কাজনক হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। চালের বাজার উর্ধ্বমুখী, সাধারণ মানুষ দিশাহারা। কারণ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রবেশ করেছে।গত শুক্রবার বিকালে সুতাং বাজারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন- শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যখাত আরো ভয়াবহ। জিনিসপত্র ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। দেশে আইনের শাসন না থাকার কারণেই সরকার দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। তাই সরকার প্রশাসন নির্ভর হয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছে, ফরমায়েশী রায় দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেছে। এই সরকারকে দেশের মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্যও ক্ষমতায় দেখতে চায় না।জিকে গউছ বলেন, মধ্যরাতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। আর গণতন্ত্র ফিরে না আসলে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছলিম উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম সানু, জেলা বিএনপির সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, বিএনপি নেতা ফজলুল করিম, আব্দুল হাই, সিরাজুল ইসলাম ধন মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম ফারুক, নুরুল ইসলাম এংরাজ, উস্তার খান, আব্বাস তালুকদার, আব্দুস সহিদ মেম্বার, আব্দুল আজিজ ফরহাদ, সফিকুল আলম সজিব, মানিক মিয়া, মহরাজ মিয়া প্রমুখ।সভায় শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন, নুরপুর ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হয়েছেন নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মর্তুজ আলী, তৌফিক মিয়া ও হুমায়ুন মিয়া। নুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হয়েছেন আব্দুল মোত্তালিব ফরিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী আব্দুস সোবহান, দিলাল মিয়া সরদার ও নিজামুল ইসলাম। ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হয়েছেন মো. সারাজ মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ, নিজাম উদ্দিন আহমেদ মোহন ও নাসির মিয়া।