সড়ক আইনের বাস্তবায়নে যেন বাড়াবাড়ি না হয়- ওবায়দুল কাদের

নতুন সড়ক আইন নিয়ে যেন কোনো বাড়াবাড়ি না হয়-আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এমন নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রথমে সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।তিনি বলেন, নতুন আইনে জরিমানা আদায় করা মূখ্য উদ্দেশ্য নয়, সরকার চায় সবাই আইন মেনে চলুক। নতুন সড়ক পরিবহন আইনের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই প্রধান উদ্দেশ্য। সেতুমন্ত্রী বলেন, গতকাল (রোববার) থেকে মাঠ পর্যায়ে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ কার্যকর হয়েছে। এ কার্যকর গত ১ নভেম্বরই হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে এটি বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছি। আইনটি কার্যকরে অনেকেই আরও বেশি সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। প্রধানমন্ত্রীও আইনটির বাস্তবায়ন চান। তাই আইনটি কার্যকর করতে শুরু করেছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম পর্যায়ে আইনটি সহনীয় পর্যায়ে কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও এ আইনে শাস্তি দেয়া যাবে-এ বিষয়ে গতকাল একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আইনটির বিধিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ ছিলাম। সবকিছু মিলে এটি প্রণয়নে দেরি হয়েছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই এটি প্রণয়ন হয়ে যাবে। সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটি স্বাভাবিক কারণেই আগের তুলনায় কঠোর করা হয়েছে। কঠোর করার উদ্দেশ্য শাস্তি দেয়া নয়, সকলের কল্যাণ ও সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এ আইনে ট্রাফিকের নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ আইনটির বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলার আহ্বান জানান মন্ত্রী। যাতে আইনটি কার্যকরে কোনো সমস্যা না হয়। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী যাতে এটি কার্যকরে অযথা কোনো হয়রানি বা বাড়াবাড়ি না করে সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি না হয়। হালকা লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি চালানো হচ্ছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন তো বিআরটিএতে হিড়িক পড়ে গেছে। বিআরটিএ কর্মচারী-কর্মকর্তারা অতিরিক্ত সময় কাজ করছে। লোকজনও বাড়ানো হচ্ছে, তারপরও এটা একটা চ্যালেঞ্জ। সবাই সহযোগিতা করলে আমরা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবো।