স্ত্রীর মাথা টাক করা সেই বাবলু আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়
বাংলাদেশের জয়পুরহাটের বাবলু মন্ডল এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচিত নাম। তাকে নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে লন্ডনের ডেইলি মেইল, বার্তা সংস্থা এএফপিতে। না, বাবলু মন্ডল কোনো নতুন উদ্ভাবন ঘটান নি। তিনি স্ত্রী নির্যাতনকারী। সম্প্রতি সকালের নাস্তায় তিনি চুল পেয়েছিলেন। এ জন্য ব্লেড দিয়ে স্ত্রীর মাথার সব চুল ফেলে দিয়ে তাকে টাক করে দিয়েছেন। এ খবর বাংলাদেশের মিডিয়ায় ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তাতে দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের। লন্ডনের ডেইলি মেইল বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতনের একটি চিত্রও ফুটিয়ে তুলেছে। এতে বলা হয়েছে এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ধর্ষিত ৩৭ জন নারীকে খুন করা হয়েছে। এ বছর প্রথম ৬ মাসে প্রতিদিন ধর্ষিত হয়েছেন গড়ে ৩ জন নারী। এতে আরো বলা হয়, স্ত্রীর মাথা টাক করে দেয়ার অপরাধে বাবলু মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা পুলিশে এ বিষয়ে খবর দিলে তারা জয়পুরহাটে বাবলু মন্ডলের বাড়ি ঘেরাও করে। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান শাহরিয়ার খান বলেছেন, ঘটনার দিন বাবলুর স্ত্রী তাকে সকালে দুধ-ভাত খেতে দিয়েছিলেন। খাওয়ার সময় তাতে মানুষের চুল পান বাবলু। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং স্ত্রীকে দোষারোপ করতে থাকেন। এর এক পর্যায়ে একটি ব্লেড নিয়ে জোর করে স্ত্রীর মাথা টাক করতে থাকেন। এর মাধ্যমে তিনি যে অপরাধ করেছেন তাতে তার সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল হতে পারে। কারণ তিনি তার ২৩ বছর বয়সী স্ত্রীর মর্যাদার ওপর আঘাত করেছেন। এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন দেশে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো কড়া সমালোচনা করছে। অধিকারকর্মীরা বলছেন, আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে নারীদের ওপর কিভাবে নিষ্পেষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এই ঘটনায় প্রকাশ পেয়েছে। স্থানীয় মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ আইন ও সালিস কেন্দ্রের মতে, বছরের প্রথম ৬ মাসে গড়ে প্রতিদিন তিনটি ধর্ষণ ঘটেছে। এই সংগঠনের মতে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশে কমপক্ষে ৬৩০ জন নারী ধর্ষিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে লজ্জায় অপমানে ৭ জন নিজেরাই তাদের জীবন শেষ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে ১০৫টি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিলে ১৯ বছর বয়সী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান যৌন নির্যাতন করা নিয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ফেনিতে তার স্কুলের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এর চারদিন পরে ১০ই এপ্রিল মারা যান তিনি। তারপর থেকে পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ৭ জন সরাসরি এই হামলার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করে পুলিশ। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের দু’জন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ, ওই সময় একজন নারী গণধর্ষিত হয়েছিলেন। ধর্ষণকারীদের একজনকে বিয়ে করতে ধর্ষিতাকে বাধ্য করে পুলিশ, যাতে সন্দেহভাজনদের বিচার এড়ানো যায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.