জলঢাকায় পিছিয়ে পড়া শিশুদের সাক্ষরতায় আলোর কণা

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

নীলফামারীর জলঢাকার সামাজিক সংগঠন আলোর ‘কণা’ নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ সামগ্রিক সামাজিক উন্নয়নে এখন ভূমিকা রেখে চলছে আলোর পথে। সেই ২০১৫ সালে ৫ জন পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রী নিয়ে আলোর সন্ধানে সামাজিক অবদান রাখতে যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। যা বর্তমানে প্রায় ১ হাজার জনে পৌঁছেছে। সমাজের সামাজিক অবক্ষয় দূরীকরণে দৃপ্ত চেতনায় তৃপ্ত শপথ ‘আলোর কণা’র পরিচালক ফুরাদ হোসেনের। নিজ শিক্ষার পাশাপাশি দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের সন্তানদের সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করতে পেরেছে ফুরাদ। অজোপাড়াগাঁ জলঢাকা পৌরসভাধীন দুন্দিবাড়িতে এর কার্যক্রম চালু হয়। শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর পরিবেশে পাঠদান হয় নিত্যদিন। শিক্ষক সংখ্যাও ১৯ জন। যারা এখানকার শিক্ষক তারা সবাই জলঢাকা সরকারি কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রী। গতকাল সরজমিনে দেখা গেছে, গোটা উপজেলায় এর ১১টি পাঠ্যকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ফ্রি-তে পাঠদান হয়। এছাড়াও চলমান রয়েছে মাসিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, মাসিক কুইজ প্রতিযোগিতা, সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতা, রচনা ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, আবৃতি প্রতিযোগিতা, বইপড়া প্রতিযোগিতা, সংগীত প্রতিযোগিতা, সুন্দর হাতের লেখায় পারদর্শিতা, সাপ্তাহিকভাবে গুণীজন দ্বারা ভালো মানুষ হতে উৎসাহ প্রদান, মানবতার দেয়াল, গ্রন্থাগার ও সততা স্টোর, শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, ‘আলোর কণা’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুরাদ হোসেন বলেন, ২০১২ সালে সংগঠনটি চালু করার পর ২০১৫ সালে আমার সকলস্তরের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে আলোর কণার ফ্রি পাঠদান কর্মসূচি সফল করার যেসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে তা এক সময় দুন্দিবাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল যা আজ গোটা উপজেলায় বিস্তৃত। বাংলাদেশ সরকার ‘আলোর কণা’কে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলে ‘আলোর কণা’ শুধু জলঢাকা নয়, জেলা কিংবা বিভাগে এর কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। শিক্ষিকা আতিকা আক্তার, লিপছি আক্তার, আকলিমা আক্তার, শিক্ষক তুহিন ইসলাম, সাজু ইসলাম জানান, আমরা এখানে পাঠদান করতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছি। নিরক্ষরতা দূরীকরণে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে ‘আলোর কণা’। শিক্ষার্থী আঁখি, রহিমা, সাকিব, পিংকি, দীপ্তি রানী, মোস্তাকিন, মানিক, বলেন আমরা শিক্ষালাভে অনেকটা এগিয়ে, মানসম্মত পাঠদানসহ নানান কিছু শিখেছি। অভিভাবক মিলাল ইসলাম ও হাসান জানিয়েছেন, অর্থ ছাড়াই আমাদের সন্তানরা যে শিক্ষালাভ করেছে আমরা তাতে ধন্য। এলাকার গুণী ব্যক্তিত্ব ছাইদুল ইসলাম পিকু বলেন, এ পাঠশালা গুণগতমানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ভাণ্ডার যে আলো ছড়াচ্ছে পুরো উপজেলায়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজাউদ্দৌলা সুজা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ ছাড়াও বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও