কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাজেট সংকটে নির্মাতারা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

দেশীয় নাটকের সাম্প্রতিক বেহাল দশার কারণ হিসেবে যে সমস্যাটি বারবার সামনে আসছে, তা হলো ‘বাজেট সংকট’। ভালো নাটক নির্মাণে গল্প ও বাজেট দু’টোর বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত বাজেট না পাওয়ায় পরিচালকরা ভালো মানের নাটক নির্মাণ করতে পারছেন না। একই ধরনের গল্পে বিরক্ত হয়ে দর্শক নাটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলে ভারতীয় টিভি সিরিয়ালে আসক্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এ সময়ে নাটকের বাজেট নিয়ে দারুণ হতাশ নাটক নির্মাতারা। সব কিছুর দাম যেখানে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে কোনোভাবেই বাড়ছে না নাটকের বাজেট। এদিকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাদের আর্থিক অসঙ্গতির জন্য বিজ্ঞাপনের বাজেট কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন। আর বিজ্ঞাপনদাতারা দায়ী করছেন চ্যানেলগুলোর দর্শক হারানোকে। বাজেট সংকটের এই সময়ে আরো একটি প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। সেটি হলো একটি ভালো নাটকের বাজেট আসলে কত? স্যাটেলাইট চ্যানেলের শুরুর দিকেও একটি খণ্ড নাটেকর বাজেট ছিল তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। গল্প ও লোকেশন অনুযায়ী কখনো কখনো এটি আরো বেশি হতো। কিন্তু এখন একটি খণ্ড নাটকের বাজেট বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক লাখ আশি হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা বলে অনেক নির্মাতা জানান। এরমধ্যে শিল্পীদের সম্মানি বেড়েছে দ্বিগুণ। ফলে এ বাজেট দিয়ে খুব ভালো কাজ করা সম্ভব নয় বলে নির্মাতাদের দাবি। বাজেট স্বল্পতার কারণে একক নাটকে দুই থেকে তিনজন শিল্পী দিয়ে অধিকাংশ সময় নাটক শেষ করছেন নির্মাতারা।  লোকেশনেও থাকছে না তেমন নতুনত্ব। বাজেট সংকট নিয়ে অভিনেতা ও নির্মাতা গাজী রাকায়েত বলেন, নাটকের জন্য আমাদের এখানে কোনো প্রপার বাজেট নেই। ফলে আমাদের প্রথমেই একটা স্ট্যান্ডার্ড বাজেট তৈরি করতে হবে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, স্পন্সর যারা আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে নাটকের জন্য একটা ভালো মানের বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। না হলে এ সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। নতুনরা কাজ করার সাহস হারিয়ে ফেলবে। নির্মাতা সাগর জাহান বলেন, নির্মাতারা বাজেট সংকটে ভুগছেন এটি সত্যি। আগের তুলনায় নাটকের বাজেট এখন অনেক কম। নতুন করে যোগ হয়েছে বাজেট বৈষম্য। এই সময়ে কতিপয় নির্মাতা ভালো বাজেট পাচ্ছেন। বেশির ভাগ নির্মাতা তা পাচ্ছেন না। কাউকে একটি খণ্ড নাটকের জন্য তিন লাখ টাকা বাজেট দেয়া হচ্ছে। আবার অন্য নির্মাতাকে দেয়া হচ্ছে দুই লাখ টাকারও কম। বাজেটের এই বৈষম্য দূর করতে হবে। আমাদের শিল্পীদের সম্মানি এখন বেশি। পাশপাশি শুটিংয়ের অন্য সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে এ বাজেট দিয়ে নির্মাদের ভালো কাজ করা কষ্টকর হয় বলে আমি মনে করি। অনেক নির্মাতাই শুটিং শেষে নিজের সম্মানিও রাখতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক বলেন, বাজেট সংকট একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমরা নানা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের সংগঠন থেকে টিভি চ্যানেল, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপনি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছি। একটা সময় টিভি চ্যানেলগুলোর অজুহাত ছিল তারা বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। এখন নাটক টিভিতে প্রচারের পর সেটি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ লাভবান হচ্ছে। আমি মনে করি, টিভি চ্যানেলগুলোকে বাজেট বাড়াতে হবে। তাদের ভালো বাজেটেই একটি ভালো নাটক নির্মাণ সম্ভব। নাটক সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, পর্যাপ্ত বাজেট না থাকার কারণে বেশির ভাগ নাটক এখন শুধু নায়ক-নায়িকানির্ভর। কিন্তু এভাবে কতদিন দর্শক নায়ক-নায়িকা দেখবেন? এই বাজেট সংকট সমাধানের জন্য টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। না হয় টিভি নাটকের জন্য আরো খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও