প্রতীকী ছবি

হস্তমৈথুন আসক্তি থেকে মুক্তি মিলবে যেভাবে

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০১৮, ২১:৫৯
আপডেট: ০৯ জুন ২০১৮, ২১:৫৯

(প্রিয়.কম) বিভিন্ন বয়সী পুুরুষদের শতকরা ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ এবং নারীদের ৫০ থেকে ৮৯ শতাংশ হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নারী ও পুরুষ প্রথমবার যৌনস্বাদ গ্রহণ করেন হস্তমৈথুনের মাধ্যমে। যৌনসুখের এই উপায় নিয়ন্ত্রিত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত হস্তমৈথুন আসক্তির মতো, যাতে হতে পারে নানাবিধ শারীরিক ক্ষতি। কিছু বিষয় মেনে চললে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

- যেকোনো ধরনের নেশা বা আসক্তি থেকে বের হওয়ার জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। তাই ইচ্ছাশক্তিকে দৃঢ় করুন। 

- যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।

- কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। টয়লেটে বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন বা হঠাৎ করে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুক ডাউন বা অন্য কোনো ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মতো আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছা জাগলে শুধু ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন ও দ্রুত গোসল সেরে টয়লেট থেকে বের হয়ে আসুন।

- নারীদের দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাবেন না। 

- যতটা সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন। 

হস্তমৈথুন আসক্তিকে না বলুন। প্রতীকী ছবি

- ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে মুক্তি পাবেন, এমনটা হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যেকোনো নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝেমাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না, চেষ্টা করে যান।

- যেকোনো উপায়ে পর্ন চলচ্চিত্র এড়িয়ে চলুন। কম্পিউটারে পর্ন দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে যান, যাতে অন্যরাও দেখতে পায়, আপনি কী করছেন। এতে পর্ন সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।

- যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান, তাহলে পর্ন চলচ্চিত্রের কালেকশন থাকলে, সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন; পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইভ বা মেমোরি থেকে এখনই সব ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারের প্যারেন্টাল কন্ট্রোলে গিয়ে অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন। কোনো সেক্স টয় থাকলে এখনই গার্বেজ করে দিন।

- হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে, মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়।

- যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ন চলচ্চিত্র নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদের এড়িয়ে চলুন।

- হস্তমৈথুনে চরমভাবে আসক্ত হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সঙ্গে পড়াশোনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।

- সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে ছবি দেখুন বা বই পড়ুন। ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।

- যৌনতার ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এ ধরনের কোনো শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।

- ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুই দিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুই দিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।

- যখন-তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে বসুন।

- টয়লেটে শাওয়ার নেওয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।

- বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

- ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগব্যায়াম করতে পারেন।

- ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন

- অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সঙ্গে রুম শেয়ার করুন বা দরজা-জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, চিকিৎসকের সাহায্য নিন। এখানে লজ্জার কিছু নাই।

- উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।

- বিকেলের পর উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।

- গার্লফ্রেন্ড বা প্রেমিকার সঙ্গে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাপ করবেন না। 

যদি হস্তমৈথুনে অতি মাত্রায় আসক্ত হয়ে থাকেন এবং এর থেকে বের হতে না পারেন, তাহলে বিয়ের পর সঙ্গীর সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না, যা আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ধ্বংস করে দিতে পারে।

সূত্র: ইএমএস নিউজ, বিডি হেলথ, হেলথ বাংলা

প্রিয় সংবাদ/হিরা/আজহার