ছবি সংগৃহীত

মিষ্টির বাজারে অরাজকতা - দৈনিক মানবজমিন

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৩৭
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৩৭

ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) সাধারনএকই উপাদান দিয়ে তৈরি মিষ্টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বাজারে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। নামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে মিষ্টির মূল্যও কম-বেশি হচ্ছে। ফলে মিষ্টির ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। যে হারে ব্যবসায়ীরা মিষ্টির দাম বাড়াচ্ছেন সেই হারে এর কাঁচামালের দাম বাড়েনি।

শনিবার দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত ‘মিষ্টির বাজারে অরাজকতা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাধারণ দোকানে যে মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে, বনফুল, মধুবন, ফুলকলি ব্র্যান্ডের দোকানে সেসব মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের এক বিক্রয়কর্মী জানান, রসগোল্লা ২২০ টাকা, লালমোহন ২২০ টাকা, কালোজাম ২২০ টাকা, মালাইকারি ৪৫০ টাকা, কাঁচাগোল্লা ৪০০ টাকা, পাতাচমচম ৪৫০ টাকা, ল্যান্সা সাদা ও লাল ৩৫০ টাকা, ক্রিম টোস্ট ৪৫০ টাকা, ক্ষির টোস্ট ৪৫০ টাকা, স্পেশাল চমচম ৩৫০ টাকা, পেস্ট্রি চমচম ৭২০ টাকা, ক্রিমজাম ৪৫০ টাকা, জেলিপেরা ৪৫০ টাকা, টপি ৩৮০ টাকা, সন্দেশ ৪৫০ টাকা, রসকদম ৪০০ টাকা, বালুসাই ২৪০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করছেন।

তার ঠিক পাশেই ভাগ্যকূল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের এক বিক্রয়কর্মী জানান, আমরা তো পাশের দোকানের চেয়ে কিছু কম টাকায় বিক্রি করি। কারণ, এখন তো প্রতিযোগিতার মার্কেট। টিকে থাকতে হলে একটু কমবেশি করে বিক্রি করতে হবে। ।

এদিকে ঢাকার সাথে সিলেট চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জায়গায় বনফুলের মিষ্টির দাম অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা ব্যবধানে বিক্রি করা হয়।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন মিষ্টির শোরুমে, একই মানের মিষ্টি স্থানভেদে ও ব্র্যান্ডভেদে ভিন্ন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর মূল সড়কের পাশে থাকে দোকানে মিষ্টির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে। আবার বিভিন্ন পাড়ার ভিতরে একই মানের মিষ্টির মূল্য অন্তত ২০-৩০ টাকা কম নেয়া হয়।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ