ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্য: মিরসরাইয়ের কমলদহ ট্রেইল

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০১৭, ১০:২৯
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭, ১০:২৯

ঝর্ণার জল যেন পবিত্রতার আরেক নাম। ছবি- সংগৃহীত।
 
(প্রিয়.কম) প্রকৃতি নানানভাবে কাছে টানে মানুষকে। কেউ ভালোবাসে পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে, কেউ ভালোবাসে সমুদ্র। কারও ভালো লাগে সবুজ প্রান্তর, আর কারও নেশা শুধু পথের পর পথ পেরিয়ে যাওয়া। ভ্রমণ পাগল মন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কমলদহ ঝর্ণায়।
 
বর্ষার সময় এক সফরে কয়েকটি ঝর্ণার দেখা পাবেন এখানে। আসলে সমগ্র মিরসরাই, সিতাকুন্ডের মাঝেই ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঝর্ণা। সারা বছর অনেকেই থাকে সুপ্ত। বর্ষায় জেগে ওঠে তারা।
  
বড় কমলদহ ঝর্ণা। ছবি: সংগৃহীত
 
কমলদহ ঝর্ণার ট্রেইলটি একটু অপরিচিত। বড় কমলদহ ঝর্ণা দেখতে যায় এখানে সবাই। বড় কমলদহ থেকে সামনে এগিয়ে গেলে আরও কয়েকটি ঝর্ণার দেখা পাবেন। যত গভীরে যেতে থাকবেন তত মিলবে আরও ঝর্ণার দেখা। এর মধ্যে একটি বেশ বড়, ৩ ধাপের ঝর্ণাটির উচ্চতা ১২০-১৪০ ফুট।
 
সবুজের সমারোহে কলকল ধ্বনির এই ঝর্ণাগুলো মনকে সত্যিই শান্তিতে ভরিয়ে তোলে। তবে শান্তি পাওয়ার পথ সুগম নয় মোটেও। বর্ষায় বড় কমলদহ বেশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তাই বর্ষার শুরুর দিকে বা শেষের দিকে যাওয়াই ভালো। ৩ ধাপ বিশিষ্ট ঝর্ণাটি নিচ থেকে শুধু এক ধাপ দেখা যায়। বাকি দুই ধাপ দেখতে হলে উপরে উঠতে হবে আপনাকে, যা খুবই পিচ্ছিল। কিন্তু বিপদ কাটিয়ে একবার উঠে গেলে চোখ ভরে যে সৌন্দর্য্য দেখতে পাবেন তার তুলনা হয় না।
 
কমলদহ ট্রেইলের একটি ঝর্ণা। ছবি: সংগৃহীত
 
কীভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে বাসে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের অলংকার থেকে সীতাকুন্ডের বড় দারোগার হাটে যেতে হবে। এরপর লেগুনায় যাবেন ইট ভাটা পর্যন্ত। এর পরের রাস্তা দিয়ে পূর্ব দিকে ২০-২৫ মিনিটের হাঁটা পথ। বাকি পথ ছড়া ধরে গেলেই হবে।
 
কোথায় থাকবেন:
সিতাকুন্ডে মাঝামাঝি মানের কিছু হোটেল আছে। তার মধ্যে একটি হোটেল সাইমুন, ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা। যোগাযোগ: ০১৮২৭৩৩৪০৮২, ০১৮২৫১২৮৭৬৭। মিরসরাইয়ে থাকার তেমন ব্যবস্থা নেই। একটু ভালো ভাবে থাকতে হলে যেতে পারেন ভাটিয়ারী। হোটেল ভাড়া পড়বে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে।
 
সম্পাদনা: ড. জিনিয়া রহমান।
 
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।