কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত কোনটি?

মিরাজ রহমান
সাংবাদিক ও লেখক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০১৭, ০৫:০৪
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭, ০৫:০৪

পবিত্র কুরআনুল কারিম। ছবি : সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) পবিত্র কুরআন আল্লাহ মহানের পবিত্র কালাম। কুরআনের জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অবশ্যক একটি জরুরি বিষয়। পবিত্র কুরআনকে আল্লাহ মহান অলৌকিক জ্ঞানের আধার হিসেবে নাযিল করেছেন। কুরআনের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত নিয়ে তাফসিরবিদদের মাঝে কিছুটা মতপার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এই বিষয়টি নিচে তুলে ধরা হলো।

সর্বপ্রথম নাযিল হওয়া আয়াত: আল কুরআনের কোন সূরা বা কোন আয়াত সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে এ ব্যাপারে মূলত দুইটি অভিমত পাওয়া যায়।

প্রথম অভিমত: সূরা ‘আলাক’- এর প্রথম পাঁচ আল কুরআনে সর্বপ্রথম নাযিল-হওয়া আয়াত। এ অভিমতের পক্ষে দলিল হলো- হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি সর্বপ্রথম যে ওহী আসে, তা ছিল ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে ভোরের আলোর ন্যায় প্রকাশ পেত। তারপর তাঁর কাছে নির্জনতা প্রিয় করে দেয়া হলো। অতঃপর তিনি ‘হেরা’র গুহায় নির্জন হতেন এবং সেখানে ইবাদত করতেন। আপন পরিবারের কাছে ফিরে আসা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া- এইভাবে সেখানে তিনি একাধারে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে নিমগ্ন থাকতেন। তারপর খাদীজার (রা.) কাছে ফিরে এসে আবার অনুরূপ সময়ের জন্য কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেতেন। এমনিভাবে ‘হেরা’ গুহায় অবস্থানকালে একদিন তাঁর কাছে ওহী এলো। তাঁর কাছে ফেরেশতা এসে বললেন, ‘পড়ুন’। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আমি বললাম, আমি পড়ি না।’ তিনি বলেন, ‘তারপর তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হলো। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পড়ুন’। রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আমি বললাম, আমি তো পড়ি না।’ তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হলো। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পড়ুন’। আমি জবাব দিলাম, আমি তো পড়ি না। রাসূলুল্লা (স.) বলেন, তারপর তৃতীয়বার তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। এরপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পড়ুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক থেকে। পড়ুন, আর আপনার রব মহামহিমান্বিত। তারপর এ আয়াত নিয়ে রাসূলুল্লাহ (স.) ফিরে এলেন। তাঁর অন্তর তখন কাঁপছিল। তিনি খাদীজা বিনত্ খুওয়ায়লিদের কাছে এসে বললেন,‘আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও’, ‘আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও।’ তাঁরা তাকে চাদর দিয়ে ফেকে দিলেন। অবশেষে তাঁর ভয় দূর হলো। [বুখারী, ১ম খণ্ড, পৃ:৩]

এছাড়া হাকেম ও বায়হাকী আয়েশার (রা.) বর্ণনা সূত্রে উল্লেখ করেন যে-

أول سورة نزلت من القرآن )اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ(  

‘আল কুরআনের প্রথম সূরা যেটি নাযিল হয়েছে, তা ছিল সূরায়ে  اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ [আল মুস্তাদরাক, খণ্ড ১, পৃ:২২০-২২১; দালাইলুন নুবুওয়াহ, খ- ২, পৃ:১৫৫]

দ্বিতীয় অভিমত: জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) -এর বর্ণনা অনুযায়ী সূরা আল মুদ্দাছ্ছির সর্বপ্রথম নাযিল-হওয়া কুরআন। বুখারী ও মুসলিমে এসেছে-

عن أبي سلمة بن عبد الرحمن  ابن عوف قال: سألت جابر بن عبد الله، أي القرآن أنزل قبل؟ قال : يا أيها المدثر ‘আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাযি. কে জিজ্ঞাসা করলাম, কুরআনের কোন অংশ পূর্বে নাযিল হয়েছে? তিনি বললেন, يا أيها المدثر  

এছাড়া আবু মায়সারা (রা.) বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী আল কুরআনের সর্বপ্রথম নাযিল হওয়া সূরা হলো সূরা আল ফাতিহা। [দালাইলুল নুবুওয়াহ, খ- ২, পৃ:১৫৭-১৫৮]

এসব বর্ণনার মধ্যে আয়েশা (রা.) বর্ণনাটি অধিক নির্ভরযোগ্য। অর্থাৎ সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে।

কুরআন তিলাওয়াতে ব্যস্ত কিছু শিশু-কিশোর। ছবি : সংগৃহীত

সর্বশেষে নাযিল হওয়া আয়াত: আল কুরআনের কোন আয়াত সর্বশেষে নাযিল হয়েছে এ ব্যাপারে পাঁচটি বিশেষ গ্রহণযোগ্য অভিমত রয়েছে। এছাড়া আরো কিছু অভিমতও লক্ষ করা যায়।

প্রথম অভিমত: রিবা বা সুদ বিষয়ক আয়াত সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত। এ অভিমতের পক্ষে দলিল হলো- ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: সর্বশেষে নাযিল-হওয়া আয়াত হলো আয়াতুর রিবা (সুদ বিষয়ক আয়াত) (সহীহ বুখারী, খ-:৫, পৃ:১৬৪-১৬৫) অর্থাৎ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ

‘হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও’ (সূরা আল বাকারা:২৭৮)।

হজরত উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল কুরআনের সর্বশেষ যা নাযিল হয়েছে, তা হলো ‘রিবা’র আয়াত। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা ব্যাখ্যা করার পূর্বেই পরলোকগত হন। অতএব তোমরা সুদ ও সন্দেহ পরিত্যাগ করো।’ [দেখুন তাফসীরে তাবারী, খ-:৬, পৃ:৩৮]

আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘উমর (রা.) আমাদের উদ্দেশ্য করে খুতবা দিলেন, অতঃপর তিনি বললেন: নিশ্চয় সর্বশেষ নাযিল হওয়া কুরআন হলো ‘রিবা’র আয়াত।’ [সূয়ুতী, আল ইতকান, খণ্ড:৬, পৃ:৩৫] এছাড়া শায়খ মাহমুদ শাকের বলেছেন যে হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদের (দ্র: তাফসীরে তাবারী, খ-:৬, পৃ:৩৯)

দ্বিতীয় অভিমত: কিছু কিছু তাফসিরবিদদের মতে আল কুরআনের সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত হলো

 وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ

‘আর তোমরা সে দিনের ভয় কর, যে দিন তোমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে সে যা উপার্জন করেছে, তা পুরোপুরি দেয়া হবে। আর তাদের যুলম করা হবে না’(সূরা আলা বাকারা:২৮১)।

এ অভিমতের পক্ষে নিম্নবর্তী দলিলসমূহ পেশ করা হয়- ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল কুরানের সর্বশেষ যা নাযিল হয়েছে, তা হলো وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ  [নাসাঈ; বায়হাকী, ]

ইবনে মারদুবেহ ও ইবনে জারীর তাবারীও ইবনে আব্বাস (রা.). থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। [দেখুন, আদ্দুররুল মানসুর, খ-:১, পৃ:৩৭০,তাবারী, খ-:৬, পৃ:৪১]

তৃতীয় অভিমত: কারো কারো মতে আলা কুরআনের সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত হলো সূরা নিসার কালালাহ সম্পর্কিত আয়াতটি। কালালাহ হলো পিতামাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি। ইরশাদ হয়েছে-

 يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلَالَةِ إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ وَهُوَ يَرِثُهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا وَلَدٌ فَإِنْ كَانَتَا اثْنَتَيْنِ فَلَهُمَا الثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَ وَإِنْ كَانُوا إِخْوَةً رِجَالًا وَنِسَاءً فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ أَنْ تَضِلُّوا وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

তারা তোমার কাছে সমাধান চায়। বল,‘আল্লাহ তোমাদেরকে সমাধান দিচ্ছেন কালালা (‘পিতা মাতাহীন নিঃসন্তানকে ‘কালালা’ বলা হয়) সম্পর্কে। কোনো ব্যক্তি যদি মারা যায় এমন অবস্থায় যে, তার কোনো সন্তান নেই এবং তার এক বোন রয়েছে, তবে সে যা রেখে গিয়েছে বোনের জন্য তার অর্ধেক, আর সে (মহিলা) যদি সন্তানহীনা হয় তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে। কিন্তু যদি তারা (বোনেরা) দু’জন হয়, তবে সে যা রেখে গিয়েছে তাদের জন্য তার দুই তৃতীয়াংশ। আর যদি তারা কয়েক ভাই বোন পুরুষ ও নারী হয়, তবে পুরুষের জন্য দুই নারীর অংশের সমান হবে’। আল্লাহ তোমাদেরকে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যাতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হও এবং আল্লাহ প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সর্বজ্ঞ’-(সূরা আন নিসা: ১৭৬)। [বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম]

উক্ত বর্ণনার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে তা মূলত মিরাছ তথা মৃতব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদের ভাগবণ্টন বিষয়ক হুকুম-আহকাম বর্ণনার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ আয়াত।

চতুর্থ অভিমত: কারো কারো মতে সূরা তাওবার ১২৮ নং আয়াত হলো সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার বাণী;

لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ

‘নিশ্চয়ই তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আত-তাওবা:১২৮)। [বর্ণনায় হাকেম]

এ আয়াতের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, তা মূলত সূরায়ে বারাআত তথা সূরা তাওবার  শেষ আয়াত। অর্থাৎ সূরা তাওবার আয়াতসমূহের মধ্যে এটি হলো সর্বশেষে নাযিল হওয়া আয়াত।

পঞ্চম অভিমত: কারো কারো মতে সূরা আল মায়েদা হলো সর্বশেষ নাযিল হওয়া সূরা। তিরমিযী ও হাকেম আয়াশা (রা.) থেকে এ বিষয়ক একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। এ মতের খণ্ডনে বলা হয়েছে যে সূরা মায়েদা মূলত হালাল হারাম বর্ণনার ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সূরা যার  কোনো হুকুমই মানসুখ হয়নি।

পরিশেষে বলা যায় যে আলা কুরআনের সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত বা সূর  কোনটি এ ব্যাপারে সুনিশ্চিতভাবে কিছু বলা মুশকিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তিরোধানের পূর্বের দিনগুলিতে যে ব্যক্তি যে অংশ শুনেছেন,  সেটিকেই সর্বশেষ নাযিল হওয়া অংশ মনে করেছেন। এ ব্যাপারে কাজী আবু বকর আল বাকেল্লানী বলেন, ‘এ কথাগুলোর কোনোটিই মুত্তাসিল তথা অবিচ্ছদ্য সনদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়নি। বিষয়টি হয়তো এমন  যে অভিমত-ব্যক্তকারী নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ধারণার ওপর নির্ভর করে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন। আর এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দিন ইন্তেকাল করেছেন অথবা তাঁর অসুস্থতার কিছু পূর্বে তাঁর কাছ থেকে সর্বশেষে যা শুনেছেন,  সেটাকেই সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত মনে করেছেন। অন্যকেও হয়ত এর পরেও শুনেছেন যা সে শুনেছি। এও সম্ভাবনা রয়েছে যে এ আয়াতটি, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষে তিলাওয়াত করেছেন, অন্য আরো আয়াতের সঙ্গে নাযিল হয়েছে। অতঃপর সাজিয়ে লেখার সময় ওই আয়াতটি লেখার পর তার সঙ্গে নাযিল হওয়া আয়াতগুলো  লেখার নির্দেশ দিয়েছেন। যার কারণে এ ধারণা করে নেয়া হয়েছে এ আয়াতগুলোই হলো সর্বশেষ নাযিল হওয়া আয়াত।’ [সুয়ূতী, আল ইতকান:খণ্ড:১, পৃ:২৭]

সম্পাদনা: ফারজানা রিংকী