
ছবি সংগৃহীত
২৫ হাজার কিলোমিটার নেটওয়ার্কের আওতায় ফাইবার অ্যাট হোম: মঈনুল হক
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৯:২২
অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক সিদ্দিকী। ছবি: প্রিয়.কম।
(প্রিয়.কম) ২০০৯ সালে দেশে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে লাইসেন্স দেওয়া হলে প্রথম এনটিটিএন (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স পায় ফাইবার অ্যাট হোম। গত সাত বছরে দেশের বৃহত্তম ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশজুড়ে ৬৪ জেলায়, ৪০৪টি উপজেলায় এবং ২ হাজার ৪৪৩টি ইউনিয়নে মোট ২৫ হাজার ২০৫ কিলোমিটার নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে ফাইবার অ্যাট হোম। ১৯৯৬ সাল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ফাইবার অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক সিদ্দিকী এ খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন প্রিয়.কমের সাথে।
প্রিয়.কম: ফাইবার অ্যাট হোম প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট কী ছিল?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: ২০০৯ সালে সরকার যখন সিদ্ধান্ত নিলো নেটওয়ার্কিং লেয়ারের (ইনফাস্ট্রাকচার লেয়ার) জন্য আলাদা একটি লাইসেন্সিং করবে তখন আমরা এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। তৎকালীন মোবাইল অপারেটর এবং আইএসপিগুলো দেশজুড়ে বড় নেটওয়ার্কিং করতে পারছিল না। এ জন্য বড় বিনিয়োগ দরকার ছিল আবার সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা কোনো ইনসেন্টিভও ছিল না। বিশ্বজুড়ে উন্নত দেশে কমন নেটওয়ার্ক করার যে পদ্ধতি চালু আছে তা এ দেশে চালু করার জন্য কয়েকটি এনটিটিএন লাইসেন্স দেয় সরকার। আমরা তখন লাইসেন্স পাই। প্রথম দিকে এ খাতে অনেক বেশি বিনিয়োগ করা হলেও আমাদের কাছে মনে হয়েছিল সেলস ভলিউম বাড়লে আমাদের খরচ কমে যাবে।
প্রিয়.কম: এনটিটিএন নিয়ে শুরু করলেও পরে অনেক কিছুর সাথে আপনারা কাজ করেছেন। এখন আপনাদের ব্যস্ততা কী কী নিয়ে?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: আমরা এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করছি। কারণ এখনও অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্কিং করা বাকি রয়েছে। এই ব্যস্ততা আমাদের আরও কয়েক বছর থাকবে। তবে এরই মধ্যে যতটুকু করেছি তাতে মনে হয় আমরা সফলতার সাথে নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পেরেছি। শুধু নেটওয়ার্ক বানালে হবে না; এটা বিক্রি করা এবং দামদরের বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এখনও আমাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে।
প্রিয়.কম: সরকার আরও নতুন এনটিটিএন লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: এনটিটিএন প্রথম যখন আমরা লাইসেন্স নিয়েছিলাম তারপরে একই বছরে সামিট এনটিটিএন লাইসেন্স পেয়েছিল। গত ৫/৬ বছরে আমাদের নেটওয়ার্ক যতটুকু বিস্তৃত করতে পেরেছি; ৬ বছর পরে এসে কেউ এই নেটওয়ার্কিং এর জন্য আসলে অবশ্যই তাদের অনেক সময় লেগে যাবে। আর বাংলাদেশে ছোট নেটওয়ার্ক নিয়ে ব্যবসা করা খুব কঠিন। নতুন লাইসেন্স নিয়ে কেউ আসলে আমরা খুব বেশি ভয় পেয়ে যাবো বিষয়টি এমন নয়। আসতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এর কোনো প্রয়োজন আছে কিনা? এমন যদি হয় আমরা কোনো এলাকায় হয়তো নেটওয়ার্ক দিতে পারছি না তখন সেখানের জন্য লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে। আপনার বাসায় একটি গ্যাস লাইন নিয়ে সেটা দিয়ে গ্যাস সাপ্লাই নিচ্ছেন। কিন্তু আপনি যদি বলেন আমার বাসায় দুটি গ্যাস লাইন নিতে হবে। কারণ আমি ভাল গ্যাস নেওয়ার জন্য চেঞ্জ করছি অথবা কমদামি গ্যাস নেওয়ার জন্য চেঞ্জ করছি। বিষয়টি এমন। আমরা কিন্তু সার্ভিস দিচ্ছি না; রাস্তাটা তৈরি করছি। এই রাস্তা দিয়ে যেমন একটি সাইকেল, বাইক, প্রাইভেট কার, বাস, ট্রাক ইত্যাদি যেতে পারে। আবার ধরেন আপনি কুমিল্লা যাবেন সে জন্য একটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু কম্পিটিশনের জন্য প্রাইভেট আরও তিনটি রাস্তা বানিয়ে ফেললেন তাহলে বিষয়টি এমন হয়ে যাবে। আমাদের কথা হচ্ছে, লাইসেন্স দিলেই তো হবে না উদ্দেশ্য চিন্তা করে দিতে হবে। আমাদের সার্ভিসের যে অবস্থা সেখানে দুইজন থাকলেই কিন্তু একজনের মরে যাওয়ার অবস্থায় হয়ে যায়। সেখানে তৃতীয় কেউ এসে সেটা কতটা ব্যবসাবান্ধব হবে তা আমার জানা নেই।
প্রিয়.কম: ফাইবার অ্যাট হোম প্রথম এনটিটিএন বলে অনেকেই বলছে আপনারা মনোপলি ব্যবসা করছেন। আপনি কী বলবেন?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: ২০১০/১১ সালে ঢাকা থেকে অন্য শহরে একটি এসটিএম ক্যাপাসিটি সার্কিট বা লাইনের খরচ হতো ১২/১৩ লাখ টাকা। আমরা সেই একই লাইন বিক্রি করছি এক থেকে শোয়া লাখ টাকা। তো এখানে লাভবান কে হয়েছে? এখানে আমরা কতটুকু কমিয়ে আনতে পেরেছি বা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে? মূলত ভলিউমের কারণে দাম কমেছে। যদিও এই ভলিউম কিন্তু ১৩ গুণ বেশি বৃদ্ধি পায়নি। তারপরেও আমরা মূল্য কমাতে পেরেছি। সরকার বিভিন্ন জায়গায় আমাদের লাইসেন্সের গাইডলাইন অনুযায়ী সহযোগিতা করেছে বলে আমরা মূল্য কমানোর সুযোগটি অপারেটরদের দিতে পেরেছি। এটা মনোপলি কিনা তা আপনারা বলবেন। যদি এমন হতো যে ক্যাপাসিটি বেড়েছে ১০ গুণ অথচ দাম কমানো হয়েছে অর্ধেক। তাহলেও আপনি কিছুটা মনোপলি বলতে পারতেন। আপনাদের জানা উচিৎ, আমাদের এমন সব জায়গায় নেটওয়ার্কিং করতে বলা হয়েছে যেখানে কোনো ট্র্যাফিক নাই। আমাদের ব্যাপারটি বরং উল্টো। আমরা রিক্স নিয়ে এখানে বিনিয়োগ করেছি। আমার স্পষ্ট মনে আছে শুরুর দিকে ঢাকাতেই আইএসপিদের জন্য এক পয়েন্ট থেকে আরেক পয়েন্টে নিতে প্রতি এমবির জন্য ২৮/২৯ শত টাকা ছিল। অথচ এখন সেটা ৩/৪ শত টাকায় চলে এসেছে। এই মূল্য কী মনোপলি বলবেন?
প্রিয়.কম: আপনারা দেশজুড়ে নেটওয়ার্কিং করার পরেও মোবাইল অপারেটররা নিজেরাই এনটিটিএন সেবা দিতে চায়। এর কারণ কী মনে হয়?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: তাদের ব্যবসায়িক ধরন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বানিয়ে ব্যবসা করতে গেলে লাভ হবে না। কারণ এখানে প্রচুর বিনিয়োগের দরকার। এতে করে ক্যাপেক্সের পাশাপাশি অপেক্স বেড়ে যাবে। এতে করে তাদের লভ্যাংশে সরাসরি প্রভাব পড়বে। আপনি যদি রবি আজিয়াটার দিখে খেয়াল করেন তাদের গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের তুলনামূলক নেটওয়ার্ক কম ছিল। অথচ বাংলালিংকের আগে প্রফিটে চলে গেছে রবি। গত ৩/৪ বছরে রবি ৫/৬ হাজার কিলোমিটার সেবা নিয়েছে এনটিটিএন থেকে। এই বিশাল নেটওয়ার্ক যদি তারা নিজেরা বিনিয়োগ করে বানিয়ে সার্ভিস দিত, তাহলে তাদের লভ্যাংশে প্রভাব পড়তো কিনা সেটা ডাবল চেক করতে হবে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা এখনও কেন নিজেরাই নেটওয়ার্ক বানাতে চায়? আমার কাছে মনে হয়েছে টেলিকম অপারেটররা পরনির্ভরশীলতা চায় না। তারা মনে করে আমরা যাদের ওপর নির্ভর করবো তারা যদি সঠিকভাবে সেবা দিতে না পারে তাহলে গ্রাহক অসন্তুষ্ট হবে বা গ্রাহক হারাবে। তবে গত ৬/৭ বছরে আমরা তাদের যে সেবা দিয়েছি তাতে তাদের কোনো অভিযোগ থাকার কথা না। তারা নিজেরাও করলে হয়তো এর চেয়ে খুব ডেভেলপ কিছু করতে পারতো না। তাদের নেটওয়ার্ক চালায় বাঙ্গালি ছেলেরা ঠিক টেলিকম থেকে আসা ছেলেই আমাদের নেটওয়ার্ক চালায়। সত্যিকারের অর্থে এই দুয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বা থাকার সুযোগ নেই।
প্রিয়.কম: বিটিআরসি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি প্রতিষ্ঠান এখনও এনটিটিএন সেবা দিচ্ছে। অনেকদিন হলো কিন্তু রেগুলেটর তাদের বন্ধ করতে পারছে না কেন?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: বিটিআরসি চাইলে এটা বন্ধ করতে পারে। আপনি দেখেছেন দেশে যখন অবৈধভাবে ভিওআইপি সেবা দেওয়া হয়েছে তখন বিটিআরসি র্যাব নিয়ে তাদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে এসেছে। বিটিআরসি তাদের লাইসেন্সিং ও গাইডলাইনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছে। বিটিআরসি যদি এটা করতে পারে তাহলে কেউ অবৈধ সেবা দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা তা বন্ধ করতে পারে। তাদের সেবা বন্ধ করার জন্য বিটিআরসি দীর্ঘ সময় দেওয়া ঠিক হয়নি। তাদের হয় লাইসেন্স দেওয়া উচিৎ ছিল নতুবা তাদের অবৈধ সেবা বন্ধ করে দিতে পারতো।
প্রিয়.কম: সে ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো করণীয় আছে কী না?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: আমাদের আর কী করণীয় থাকতে পারে? আমরা দুই একটা চিঠি লিখে বিটিআরসির কাছে অভিযোগ দিয়েছি। আমরা এখানে গ্রাহকও হারাচ্ছি। আপনি যদি অবৈধভাবে আমাদের সার্ভিস দেওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার সাথে গিয়ে আমি যুদ্ধ করতে পারবো না। আমি বিটিআরসির কাছে গিয়ে বলেছি যে আমরা অনেক বড় বিনিয়োগ করে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছি আবার অন্যজন কোনো লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করছে, এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাই। এটা আমরা অনেকবার বলেছি। দেরি হলেও বিটিআরসি বিষয়টি এখন গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রিয়.কম: এনটিটিএন ব্যবসায় আপনাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: সব ধরনের নেটওয়ার্ক অপারেটরদের আমাদের সেবা দিতে হচ্ছে এবং এটা নিয়মিত দেখাশোনা করার জন্য, সেবার মান উন্নয়নের জন্য এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় করার জন্য আমাদের নানামুখি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়। এই সেবা আমাদের নিয়মিত দিতে হলে আমাদের সার্ভিস ট্যারিফ আগে ঠিক করতে হবে। আমাদের কাছে আসলে এই সার্ভিস ট্যারিফ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের কোনো কিছুর খরচ যদি ১০ টাকা হয় তাহলে সেটা আমাদের ১০ টাকার বেশি বিক্রি করতে হবে। এখন আমাদের টিকে থাকার জন্য এই কস্টবেইজ ট্যারিফ নির্ধারণ করতে হবে। মোবাইল অপারেটরসহ অন্য সব জায়গায় এই ট্যারিফ নির্ধারণ করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। আপনি একটি পদ্মা ব্রিজ করছেন কিন্তু সেখানে যদি ট্যারিফ ঠিক করে না দেন তাহলে পাশে আরও একজন ব্রিজ করলো তার পাশে আরও একজন ব্রিজ করলো, তাহলে তো এটা কোন দিনই টিকবে না। গত সাত বছর ধরে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বিটিআরসি আমাদের কোন ট্যারিফ ঠিক করে দেয়নি। আমরা বহুবার এ বিষয়ে কথা বলেছি। কিন্তু সেটা এখনও হয়ে ওঠেনি।
প্রিয়.কম: বিটিআরসি আপনাদের এনটিটিএন লাইসেন্স দেওয়ার সময় ১০ বছরের একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছিল। সেটা কতটা পূরণ হয়েছে?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: আমাদের লাইসেন্সিং গাইডলাইন অনুযায়ী যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তা ঠিকঠাক মতো পূরণ করতে পেরেছি। আমাদের এ জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছিল। গত পাঁচ বছরে যখন যে পরিমাণ ব্যাংক গ্যারান্টি ফেরত দেওয়ার কথা ছিল তা আমরা পেয়েছি। তবে আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত আমরা ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলায়, ৪০৪টি উপজেলায় এবং ২ হাজার ৪৪৩টি ইউনিয়নে পৌঁছে গেছি। সাড়া দেশজুড়ে আমাদের মোট ২৫ হাজার ২০৫ কিলোমিটার এলাকায় নেটওয়ার্ক কাভার করতে পেরেছি। আমাদের নিয়মিত কাজ করতে হচ্ছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবো।
প্রিয়.কম: এনটিটিএন সেবা বিস্তৃতি করার ক্ষেত্রে সরকার থেকে আপানদের কোনো চাওয়া আছে কী না?
মঈনুল হক সিদ্দিকী: পাহাড়, সমুদ্র বা নদী এলাকায় আমাদের ক্যাবল নিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন। খরচ বেশি। আবার সেখানে ট্র্যাফিক নেই। এসব ক্ষেত্রে সরকারের উচিৎ আমাদের 'ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ড' দিয়ে সহয়তা করা। প্রত্যন্ত এলাকায় স্কুল কলেজগুলোতে নেটওয়ার্ক স্থাপনে সহায়তা করা। এনটিটিএন গাইডলাইন অনুযায়ী একটি কমন নেটওয়ার্ক দিয়ে সবার সেবা নেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখছি বাড়ির দরজা জানালা দিয়ে বিভিন্ন সেবার কেবল চলে যাচ্ছে। রেগুলেটর থেকে আমরা এসব ব্যাপারে সহায়তা আশা করছি। আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে কেবল থাকার পরেও যদি মাথার ওপর দিয়ে ফাইবার কেবল ঝুলতে থাকে এবং আমাদের সেবা যদি ব্যবহার করা না হয় তাহলে আমাদের এত বড় বিনিয়োগ সম্পূর্ণ ভুল পাত্রে দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা এনটিটিএন গাইডলাইনে যেসব নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে সেসব বিষয়ে সরকার থেকে সহায়তা আশা করি।
সম্পাদনা: ফারজানা রিংকী