কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ক্রেতা তাঁর পছন্দের কথা জানালে ভাবনার সঙ্গে ফ্যাশন সেন্স মিলিয়ে ডিজাইন সম্পন্ন করা হয়। ছবি: প্রিয় ডটকম

সওদার আন্তর্জাতিক নিলামে ওয়্যারঅ্যাবল আর্ট

সারাহ্ দীনা
লেখক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২৭
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:২৭

শিল্পীর শিল্পকর্মের প্রকাশ এবার ১২ হাত ক্যানভাসে। গায়ে জড়িয়ে প্রদর্শন করা যাবে এই সৃজনশীলতা। শিল্পী জিন্নাতুন জান্নাত সৃজনশীল যাত্রা শুরু করেছেন ব্র্যান্ড শিরোনাম ‘র’ নিয়ে। প্রিয় ডটকমের পাঠকের জন্য আজ থাকছে বিস্তারিত গল্প।

‘র’ এর হলো শুরু   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্রী জিন্নাতুন জান্নাত। ভালোবাসেন রং তুলি আর ক্যানভাস। তাই চারুকলার মাস্টার্স পাস করার পর ক্যারিয়ার হিসেবে তিনি এমন কিছু করতে চেয়েছিলেন, যাতে ছবিও আঁকতে পারেন আবার উপার্জনও হয়। এই ভাবনা থেকেই ‘র’ এর যাত্রা শুরু।

ওয়্যারঅ্যাবল আর্ট   

আর্টকে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে চেয়েছেন শিল্পী জিন্নাতুন জান্নাত। আর্ট শুধুমাত্র মিউজিয়াম বা দেয়ালে স্থান পাবে এমন না, আর্ট থাকবে প্রতিদিনের জীবনে। তিনি শিল্পপ্রেমীদের জন্য যাপিত জীবনের সব কিছুতেই আর্ট নিয়ে আসতে চান। ওয়্যারঅ্যাবল আর্ট শিল্পীর মতে, এমন একটি পণ্য যেটা তৈরির মূল উদ্দেশ্য হবে পোশাক হিসেবে ব্যবহার করা। আর্ট টু ওয়্যার, এই লাইনের মাধ্যমে একে সংজ্ঞায়িত  করা যেতে পারে। আর্ট টু ওয়্যার যেটা পৃথকভাবে তৈরি হবে এবং পুরোটাই হাতে তৈরি এবং আর্টিস্ট তার ইউনিকনেস দেখাবে তার পেইন্টের মাধ্যমে।

নিজের কাজ করা শাড়ি পরিহিতি জিন্নাতুন জান্নাত

    

দিকে দিকে ‘র’এর সাড়া

‘র’এর যাত্রা শুরু ২০১৫ তে, এখন চলছে ২০২১। এই লম্বা সময় ধরে নিয়মিত কাজ করেছেন তিনি। শিল্পীপ্রেমীরা প্রতিষ্ঠানটিকে আপন করে নেওয়ার কারণেই এই যাত্রা সম্ভব হয়েছে। নিজের কাজ করা শাড়ি পরিহিতি জিন্নাতুন জান্নাত

‘র’ এর কাস্টমাইজড ডিজাইন

‘র’ মূলত কাস্টমাইজড থিমে কাজ করে থাকে। শিল্পী খুবই উপভোগ করেন এই থিমে কাজ করতে। কাস্টমাইজ থিম প্রসঙ্গে এই শিল্পী জানান, ক্রেতা তাঁর পছন্দের কথা জানালে ভাবনার সঙ্গে ফ্যাশন সেন্স মিলিয়ে ডিজাইন সম্পন্ন করা হয়। ফিউশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় থিমের এবং নিজস্বতা নিজের মধ্যে থাকে।

 ‘র’ পণ্যমূল্য

‘র’ এর পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয় সাধারণত পণ্যের নকশা ও ফেব্রিকসের ওপর নির্ভর করে। সর্বনিম্ন হ্যান্ড পেইন্টের মূল্য ৯ হাজার ৫০০ টাকা।

 ‘র’এর পোশাকের স্টাইলিং

‘র’এর প্রতিটি পণ্য এক একটি আর্টওয়ার্ক। তাই এর স্টাইলিং হতে হবে সাধাসিধে। অতিরঞ্জিত যে কোনো কিছুতে পণ্য হারাতে পারে নিজস্বতা। তাই ক্রেতাকে স্টাইলের বিষয়ে বিস্তারিত টিপস দিতে সব সময়ই আগ্রহী ‘র’। কারণ শাড়ি আর এক্সেসরিজ মিলেই তৈরি হবে একটি সম্পূর্ণ আর্ট।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

‘র’ নিয়মিত কাজ করে যেতে চায় নতুন নতুন থিমে। নিয়মিত হবে এক্সপেরিমেন্ট। ‘র’ দেশে হ্যান্ড পেইন্টে ব্যাপক বিস্তার ঘটাবে, বিশ্ব ‘র’এর সৃজনশীলতা নিয়ে কথা বলবে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন দরবারে ছড়িয়ে পড়বে শিল্পের দারুণ এই ধারা।