ঘুরে আসুন কালের সাক্ষী পুঠিয়া রাজবাড়ি

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৫, ২১:৪৭

বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ এক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পুঠিয়া রাজবাড়ি। এটি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার অন্তর্গত। রাজশাহী শহর থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার, আর নাটোর থেকে ১৮ কিলোমিটার। রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে অবস্থিত পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণেই এর অবস্থান।


এই রাজবাড়ির রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাজশাহীর পুঠিয়ার এই রাজবাড়ি পরিচিত ছিল 'পাঁচআনি' রাজবাড়ি নামে। এটি ছিলো পুঠিয়ার মহারানী হেমন্তকুমারী দেবীর আবাস। এখানে এখন রাজবাড়ি বলতে মানুষ যা দেখতে আসে, তা কিন্তু এখানকার প্রথম নির্মাণ নয়। বর্তমানে দাঁড়িয়ে থাকা আয়তাকার দ্বিতল রাজবাড়িটি হেমন্ত কুমারী দেবী নির্মাণ করেন ১৮৯৫ সালে। এটি নির্মিত হয় ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতিতে।


দোল মন্দির, বড় আহ্নিক মন্দির ও গোপাল মন্দির, ছবি: মাহমুদ নেওয়াজ জয়
হেমন্তকুমারীর স্বামী পরেশ নারায়ণ ছিলেন পাঁচআনির রাজ পরগনার রাজা। কলেরা মহামারির হাত থেকে প্রজাদের বাঁচানোর জন্য 'ঢোপকল' নির্মাণ করে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন হেমন্তকুমারী। তিনি তার শাশুড়ি মহারানি শরৎ সুন্দরী দেবীর সম্মানে এই রাজপ্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন।


পুঠিয়ার ইতিহাস অবশ্য এরও কয়েকশ বছর আগের। ১৫৫০ সালে বৎসাচার্যের পুত্র পিতাম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন। মোগল আমলে বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন রাজবাড়ি ছিলো এটিই। সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে তার কাছ থেকে পীতাম্বরের উত্তরপুরুষ নীলাম্বর 'রাজা' উপাধি পান। তখন থেকেই এটি পরিচিত হয় 'পুঠিয়া রাজবাড়ি' নামে।


১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হলে জমিদারের বড়ছেলে সাড়ে পাঁচআনা ও অন্য তিন ছেলে সাড়ে তিনআনা করে পান। তখন এর নাম হয় 'পাঁচআনি রাজবাড়ি।' ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়, তবে টিকে থাকে স্থাপনাগুলো।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও