কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিশ্বকাপ ফাইনালেও অব্যাহত থাকে ধর্মসেনার ভুল আম্পায়ারিং। ছবি: সংগৃহীত

ভুল স্বীকার করেছেন ধর্মসেনা, তবে অনুতপ্ত নন!

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০১৯, ২০:১১
আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯, ২০:১১

(প্রিয়.কম) ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন কুমার ধর্মসেনা। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর ফাইনালেও অব্যাহত থাকে ধর্মসেনার ভুল আম্পায়ারিং। আর তাতে কপাল পুড়েছে নিউজিল্যান্ডের, হাতছাড়া হয়েছে শিরোপা।

বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ধর্মসেনার এমন ভুল আম্পায়ারিং নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হলেও তাতে কান দেননি কেন উইলিয়ামসন ও তার দলের কোনো সদস্য। এমনকি আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো কথা পর্যন্ত বলেননি তারা। তবে নিজের ভুল অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন ধর্মসেনা। কিন্তু ওই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য কোনো অনুশোচনা নেই এই লঙ্কান আম্পায়ারের!

গেল ১৪ জুলাই ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ১২তম আসরের ফাইনালে জয়ের জন্য ইনিংসের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান পাননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান স্টোকস। তাতে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৯ রান। ওভারের চতুর্থ বলটি লং অন দিয়ে খেলেন স্টোকস। সেখান থেকে বল কুড়িয়ে উইকেটরক্ষকের উদ্দেশে থ্রো করেন মার্টিন গাপটিল।

ওই সময় দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটছিলেন স্টোকস। এদিকে গাপটিলের ছোঁড়া বলটি উইকেটরক্ষক পর্যন্ত পৌঁছানোর আগে দ্বিতীয় রান নিতে আসা স্টোকসের ব্যাটে লেগে সঙ্গে সঙ্গে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। ওভার-থ্রো মিলিয়ে ইংল্যান্ডকে ৬ রান উপহার দেন ধর্মসেনা। কিন্তু টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় ভুল করে ইংল্যান্ডকে এক রান বেশি দিয়েছেন এই লঙ্কান আম্পায়ার।

গাপটিলের করা থ্রো স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। ছবি: এএফপি

লঙ্কান আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অর্থাৎ ১ রান অতিরিক্ত পাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের সমান স্কোর পায় ইংল্যান্ড। এরপর ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও টাই হয় ম্যাচটি। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি সংখ্যার বিচারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।

সম্প্রতি সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই মুহূর্ত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের ভুলটা স্বীকার করেছেন ধর্মসেনা। তার ভাষ্য ‘আমি যখন টিভিতে রিপ্লে দেখি, তখন নিজেই বুঝতে পারি আমার বিচারে ভুল ছিল। কিন্তু আমাদের তো আর মাঠে বসে আয়েশ করে টিভির রিপ্লে দেখার সুযোগ নেই। যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা নিয়ে আমার কোনো আফসোস নেই। আমি যে তখন একটা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, সেজন্য আইসিসি আমার প্রশংসাও করেছে।’

এই ঘটনায় যারা সমালোচনা করছেন, তাদেরও একহাত নিয়েছেন ধর্মসেনা। তিনি বলেন, ‘টিভি রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়া অনেক সহজ। অনেকে অনেককিছু বলতে পারে।’

ধর্মসেনা আরও দাবি করছেন, সিদ্ধান্তটা তিনি একা নেননি। মাঠের বাকি আম্পায়ার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যেটা অন্য দুই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি শুনেছেন। তারাও আমার মতো টিভি রিপ্লে দেখতে পারছিলেন না। কিন্তু তারা সবাই বলেছিলেন, ব্যাটসম্যানরা দ্বিতীয় রান নিয়েছে। এরপরই আমি সে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

প্রিয় খেলা/রুহুল