কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাঁ থেকে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার রাজ্জাক, আফ্রিদি ও আমির। ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিদির চড়েই স্পট ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করে আমির!

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৯, ১১:৪৬
আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯, ১১:৪৬

(প্রিয়.কম) ক্রিকেট মঞ্চে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির চেয়ে বেশি রঙিন ও আলোচিত চরিত্র খুব কমই পাওয়া যাবে। এক সময় তার অদ্ভূতভাবে আউট হওয়া, দু’হাত উঁচিয়ে উদযাপনের কথা সবারই জানা। নিজের আত্মজীবনীতে কিছুদিন আগেই আফ্রিদি লিখেছিলেন ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের স্পট ফিক্সিংয়ের ব্যাপারটা তিনি জানতেন। আরও জানিয়েছিলেন সাবেক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক প্রথম সন্দেহ করে বিষয়টি এবং তিনিই বিষয়টি তাকে প্রথম জানান। কিন্তু ঠিক কীভাবে সত্য উদ্ধার করেছিলেন আফ্রিদি তা প্রকাশ করেননি তার আত্মজীবনীতে। তবে এবার সে সত্য প্রকাশ করেন আব্দুল রাজ্জাক।

পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক জানান, ফিক্সিংয়ের সন্দেহ ঘনীভূত হলে আমিরকে চড় মেরেছিলেন তখনকার অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে রাজ্জাক জানান, শহীদ আফ্রিদি চড় মারার পরে আমির স্পট ফিক্সিংয়ের কথা স্বীকার করে নেন। তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় আফ্রিদি আমাকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই চড় মারার শব্দ পাওয়া যায়। আর আমির সত্য কথা আফ্রিদির কাছে স্বীকার করে।’

আফ্রিদির চড় খেয়ে মুখ খুলেছিলেন আমির। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান বোর্ডের সেই সময়ের প্রশাসকদেরও সমালোচনা করে রজ্জাক বলেন, ‘আমার মনে হয় সেই সময় আইসিসির কাছে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে না গিয়ে পিসিবির উচিৎ ছিল অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটারের দিকে নজর দেওয়া। তাদের অভিযোগ অস্বীকার করা সত্ত্বেও দেশে ফেরত আনা। ওদের এক বছরের জন্য নির্বাসিত করাও উচিত ছিল। এসব না করে শেষ পর্যন্ত পিসিবি বিশ্বের সামনে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।’

রজ্জাক বলছেন, ‘সে সময় সালমান বাট ইচ্ছে করে অনেক ম্যাচে আউট হতো ও অনেক সময় ইচ্ছে করে ডট বল করত। আমি আফ্রিদিকে এই বিষয়গুলো বলতাম। ও বলত, এসব আমার মন গড়া কথা। সব কিছু ঠিক ঠাক রয়েছে, কোনো সমস্যা নেই। এরপর যখন বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে বাটের সঙ্গে ব্যাট করছিলাম, তখনই বুঝতে পারি ও ইচ্ছে করে রান নিচ্ছে না। এক সময় রান না হওয়ায় আমি বাটকে একটা সিঙ্গল রান নিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু ও সেই কথা কানে নেয়নি। আমি খুবই অবাক হয়ে যাই ও যখন এই স্ট্র্যাটেজি অস্বীকার করে। এরপর আমি যখন বুঝতে পারি, ও ইচ্ছে করে এটা করছে, তখন আমি জোর করে বলি সিঙ্গেলস নিয়ে আমাকে স্ট্রাইক দিতে। তখন দেখলাম, প্রত্যেকটা ওভারে ও দুই থেকে তিনটা বল খেলে আমাকে স্ট্রাইক দিচ্ছে। এর ফলে আমি এসব দেখে হতাশ হয়ে পড়ি, চাপের মুখে আউটও হয়ে যাই।’

সালমান বাট, আমির ও আসিফকে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। প্রথমে তাদের সাসপেন্ড করা হয় ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে। পরে ২০১১-এর গোড়ার দিকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসনের শাস্তি। তিন ক্রিকেটারই শাস্তি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন। তবে এরমধ্যে শুধু আমিরকেই পাকিস্তান দলে ডাকা হয় বিশ্বকাপের জন্য।

প্রিয় খেলা/আশরাফ/রুহুল