কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী ডরিস ডে। ছবি: সংগৃহীত

হলিউডের কিংবদন্তী নায়িকা-গায়িকার জীবনাবসান

শামীমা সীমা
সহ সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৯, ০৯:১০
আপডেট: ১৪ মে ২০১৯, ০৯:১০

(প্রিয়.কম) হলিউডের একসময়কার শীর্ষস্থানীয় নায়িকা এবং গায়িকা ডরিস ডে মারা গেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাসভবনে ৯৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান। প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি অভিনয় এবং গান করেছেন। তার সময়ে হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন মার্কিন কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী ডরিস ডে। এই স্বনামধন্য শিল্পীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব।

১৩ মে, সোমবার ডরিস ডে অ্যানিমাল ফাউন্ডেশন থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার কারমেল ভ্যালিতে নিজের বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন শিল্পী। বয়স অনুযায়ী যদিও তার স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো ছিল, তবে শেষ কয়েক দিন নিউমোনিয়ায় ভুগে কষ্ট পাচ্ছিলেন ডরিস। মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।

‘কে সারা সারা’ শিরোনামের এই গানটি ১৯৫৬ সালে মুক্তি পাওয়ার পরেই শ্রোতাদের মনে আলোড়ন তোলে। অ্যালফ্রেড হিচকক নির্দেশিত ‘দ্য ম্যান হু নিউ টু মাচ’ সিনেমায় শোনা যায় এই গান। গানটির রচয়িতা জে লিভিংস্টোন ও রে ইভান্সের নাম ছাপিয়ে গিয়ে শ্রোতামহলে হইচই ফেলে দেন গায়িকা ডরিস ডে। সোনালি চুলের এই সুন্দরী অবশ্য ততদিনে হলিউডি কিছু সিনেমার সুবাদে রুপালি পর্দার পরিচিত নাম।

ডরিসের নিষ্পাপ মুখ, মিষ্টি হাসি আর সুরেলা কণ্ঠস্বরে মোহিত হয়েছেন পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের অসংখ্য দর্শক ও শ্রোতা। সারল্যময় হাসির মধ্যে আনকোরা যৌন আবেদন মিশিয়ে দিতে তিনি বিশেষ দক্ষ ছিলেন। নায়ক রক হাডসনের সঙ্গে তার জুটি বক্স অফিসে বেশ কয়েকটি বড় হিট সিনেমা উপহার দেয়। এর মধ্যে হিচককের সিনেমা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ‘ক্যালামিটি জেন’ এবং ‘পিলো টক’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন ডরিস ডে।

কোনো দিন অ্যাকাডেমি পুরস্কার না পেলেও সারা জীবনের কীর্তির জন্য ২০০৪ সালে ডরিসকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ সম্মানে ভূষিত করে জর্জ ডব্লিউ বুশ সরকার। আশির দশকে তিনি বিনোদনের জগৎ থেকে অবসর নিয়ে পশু অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। শেষ দিন পর্যন্ত তাই নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন ওহায়োর আদি বাসিন্দা ডরিস ম্যারিয়ান ভন ক্যাপেলহফ, যাকে ডরিস ডে হিসেবেই মনে রাখবে বিশ্ব।

সূত্র: বিবিসি

প্রিয় বিনোদন/আশরাফ