কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ছবি: সংগৃহীত

বিসিসিআইয়ের ভয়ে এখনো আইপিএল খেলছেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা!

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ১৭:৩৪
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ১৭:৩৪

(প্রিয়.কম) আর মাত্র ১৯ দিনের অপেক্ষা। এরপরই মাঠে গড়াবে ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। চলতি বছরের ৩০ মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাঠে পর্দা উঠছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসরের। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলগুলো ইতোমধ্যেই তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

এদিক থেকে অবশ্য অনেকটাই পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এখনো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে এই মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। ফলে দল নিয়ে এখনো চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করতে পারেননি কোচ ওটিস গিবসন।

বাধ্য হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গিবসন। আইপিএল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা যেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন, সে জন্য বোর্ডকে অনুরোধও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। ভারতের সঙ্গে অযথা বিতর্কে জড়াতে চায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছে অধিকাংশ দেশ। অধিকাংশ বোর্ড বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের আইপিএল থেকেও দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। এই তালিকায় ব্যতিক্রম কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড।

তাদের এই নীরবতা ক্রিকেট মহলে রীতিমতো রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এবার জানা গেল প্রোটিয়াদের এমন নীরবতার কারণ। মূলত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের রোষানল থেকে বাঁচতে এই পন্থা অবলম্বন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা! দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ওটিস গিবসন ক্রিকেটারদের ক্যাম্পের জন্য চাইলেও খেলোয়াড়দের ডেকে পাঠানোর দুঃসাহস দেখায়নি প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড।

অনেকটা দেরি করে হলেও আগামীকাল থেকে শুরু হবে প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। তবু বিশ্বকাপ ক্যাম্পের শুরু থেকে থাকছেন না দলের কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসি ও ইমরান তাহির। আইপিএল ফাইনাল না খেলে ভারত ছাড়তে পারছেন না তারা।

এবারের আইপিএলে খেলতে গিয়েই ইনজুরিতে পড়ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকজন নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। এদের মধ্যে বিশ্বকাপ স্কোয়াড সদস্যরাও আছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলতে গিয়ে বড় রকমের ইনজুরিতে পড়েছেন পেস আক্রমণে দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র কাগিসো রাবাদা। তার ইনজুরির মাত্রা এতটাই বেশি যে বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন কি না, সেটা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

দলের আরেক অভিজ্ঞ পেসার ডেল স্টেইনের একই অবস্থা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে মাঠে নেমে চোট পেয়ে ২২ গজ থেকেই ছিটকে গেছেন প্রোটিয়াদের এই গতিতারকা। চার পেসারের বাকি দুজন লুঙ্গি এনগিদি ও আনরিখ নর্তিয়ের চোট এখনো সারেনি। যে কারণে নর্তিয়ের বদলে বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছেন অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস। কিন্তু সেই মরিসও এখন পর্যন্ত আইপিএলে ঘাম ঝরাচ্ছেন।

প্রিয় খেলা/আজাদ চৌধুরী