প্রোটিনের দারুণ উৎস এই খাবারটি খাদ্যাভ্যাসে রাখা উচিত সবার। ছবি: সংগৃহীত
হার্টের রোগী দিনে কয়টি ডিম খাবেন?
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:২২
(প্রিয়.কম) ডিম খুবই পুষ্টিকর এবং সেই সঙ্গে সুবিধাজনক একটি খাবার। প্রোটিনের দারুণ উৎস এই খাবারটি খাদ্যাভ্যাসে রাখা উচিত সবার। কিন্তু যেসব মানুষের হৃদরোগ আছে, তারা ডিম বেশ ভয়ই পান। কারণ একটি ডিমে গড়ে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। হাই কোলেস্টেরলের রোগীরাও ডিম ভয় পান এ কারণে। আসলে কিন্তু ডিম নিয়ে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ—
- অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ডিম খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না।
- ডিমে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
- হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে সিরাম ট্রাইগ্লিসাইডস, তা কমাতে কাজ করে ডিমের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।
শুধুই ডিমকে কোলেস্টেরল বাড়ানোর জন্য দায়ী করলে হবে না, বরং আমরা দৈনিক অনেক খাবার খাই, যা কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। যেমন গরু ও মুরগির মাংস। আপনি উচ্চমাত্রার কোলেস্টরেলের রোগী হয়েও মাংস নিয়মিত খেলে কুসুম ছাড়া ডিম খেতে পারেন প্রতিদিন বা কুসুমসহ ডিম খেতে পারেন সপ্তাহে ২-৩ বার। এর বেশি নয়। কিন্তু আপনার যদি কোলেস্টেরল ঠিক থাকে, আপনি নিরামিষভোজী হয়ে থাকেন অর্থাৎ মাংস না খান, তাহলে আপনি প্রতিদিন কুসুমসহ একটি ডিম খেতে পারেন।
১) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে দিনে একটি ডিম
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দিনে ২০০০ ক্যালোরির খাবার খেলে এর মাঝে ১৩ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকা উচিত নয়। একটি মাঝারি ডিমে ১.৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তবে একটি ডিমে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে, তা দৈনিক মাত্রার প্রায় ৫৫ শতাংশ। আপনি অন্যান্য খাবার থেকেও কোলেস্টেরল গ্রহণ করছেন। তাই একটি ডিম খাওয়াই যথেষ্ট।
২) একের বেশি ডিম খেতে চাইলে কুসুম বাদ দিন
অনেক সময় কুসুম ছাড়া ডিম খেতে বলা হয়, কারণ এতেই থাকে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল। একটি বড় ডিমের কুসুমে থাকে ৫৫ ক্যালোরি, ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ১৮৪ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। ডিমের সাদা অংশ খাওয়াটাই প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট।
৩) ডায়াবেটিস থাকলে সপ্তাহে দুটি ডিম
ডায়াবেটিস রোগীদের করোনারি আর্টারি ডিজিজ বেশি হতে দেখা যায়। এ কারণে তাদের পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার পাশাপাশি সপ্তাহে দুটি পর্যন্ত ডিম খাওয়া যেতে পারে।
৪) ডিমের সঙ্গে খান সবজি
ডিম অনেক উপায়েই রান্না করা যায়, কিন্তু সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায় হলো ডিম সেদ্ধ করা। কারণ ভাজা বা পোচ করা ডিমে বেশি ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। সেদ্ধ ডিমের সাথে স্টিম করা সবজি, শাক বা সালাদ, স্যামন বা টুনা মাছ খেতে পারেন।
সূত্র: এনডিটিভি
প্রিয় লাইফ/আজাদ চৌধুরী