কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি

‘দ্বন্দ্ব’ এড়াতে সংগঠন করছে টাওয়ার শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৫
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৩৫

(প্রিয়.কম) টাওয়ার শেয়ার ব্যবসার শুরুতেই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এড়াতে নতুন একটি সংগঠন করতে যাচ্ছে লাইসেন্স পাওয়া চার প্রতিষ্ঠান। নতুন এই সংগঠনের গঠনের প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান। লাইসেন্স পাওয়া চার টাওয়ার শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবকিছু ঠিক থাকলে অচিরেই টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে লাইসেন্স পাওয়া ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড।

এই সেবা দিতে প্রথমেই প্রয়োজন দেশে থাকা অপারেটরগুলোর স্থাপন করা মোবাইল টাওয়ারগুলো। এসব টাওয়ার অধিগ্রহণে প্রয়োজন দরদাম। দরদামে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এড়াতে একটি সংগঠন করার চিন্তা-ভাবনা করছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। সংগঠনটি টাওয়ার অধিগ্রহণে মোবাইল অপারেটদের সঙ্গে দরকষাকষি করবে এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে ভূমিকা রাখবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সংগঠন করার বিষয়ে অধিকাংশই পজিটিভ মনোভাব দেখিয়েছে। সংগঠন করার প্রক্রিয়া এখন রেজিস্ট্রেশন পর্যায়ে রয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, টাওয়ার শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে অপারেটরগুলোর পদক্ষেপ যথাযথ নয়। অপারেটরগুলো অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে বসছে, যা যুক্তিযুক্ত নয়। অপারেটরগুলোর ইতিবাচক মনোভাব টাওয়ার শেয়ারিং কার্যক্রমে মূল ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রধান সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মোবাইল টাওয়ার অবকাঠামো সেবা প্রদানে সরকার অনুমোদিত ওই চার প্রতিষ্ঠানের কাছে লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।

বিটিআরসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট টাওয়ারের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার ৪০০টি। নিজেদের মধ্যে এসব টাওয়ার শেয়ারের পরিমাণ মাত্র ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ। এই টাওয়ার শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধিতে নতুন টাওয়ার শেয়ারিং গাইডলাইনের খসড়া তৈরি করে কমিশন। গাইডলাইন অনুযায়ী চার প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয় বিটিআরসি।

বিটিআরসির মতে, এই টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের ফলে মোবাইল অপারেটরগুলোর সিএপিইএক্স ও ওপিইএক্স হ্রাস পাবে, টেলিকম স্থাপনাগুলোর অপটিমাম রিসোর্সেস ইউটিলাইজেশন নিশ্চিত করা যাবে, সুলভ মূল্যে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত হবে, থ্রিজি বা ফোরজি সেবার বিস্তার লাভ করবে, টাওয়ার থেকে রেডিয়েশন হ্রাস পাবে, নতুন অপারেটরের বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যুতের চাহিদার ওপর চাপ কমবে এবং আবাদি জমিতে টাওয়ার স্থাপন হ্রাস পাবে।

প্রিয় প্রযুক্তি/আজাদ চৌধুরী