
ছবি সংগৃহীত
বিখ্যাত ১০ নারী বিজ্ঞানী
আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:৩৪
প্রথম নোবেল জয়ী নারী মেরিকুরি ছবি: সংগৃহীত
(প্রিয়.কম): নারী পুরুষ উভয়েরই আছে একই ধরণের জটিল গঠনের মস্তিষ্ক। তাই পুরুষের পক্ষে যা সম্ভব নারী তা পারবে না, এমনটি মনে করার কোন কারণ নেই। নারীরা শুধু সমতাকামী নন, তাঁরা সমতার যোগ্য- এর অজস্র প্রমাণ ইতিহাসে আছে। নারীরা শাসন করেছেন রাষ্ট্র, অবদান রেখেছেন সমাজের আমূল পরিবর্তনে। জ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন তাঁরা, করছেন এখনও। ইতিহাসের পাতা থেকে এমন ১০ নারী বিজ্ঞানীর কথা জানব আজ।
মেরি কুরি
১৯০৩ সালে পদার্থে নোবেল অর্জন করেন মেরি। পরবর্তিতে ১৯১১ সালে রসায়নে আবারও নোবেল পান। তিনিই নোবেলজয়ী প্রথম নারী। তিনি মূলত রেডিও এক্টিভিটি নিয়ে কাজ করেছেন। পদার্থ বিজ্ঞানে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
ছবি: সংগৃহীত
লিসে মাইটনার
রেডিও এক্টিভিটি এবং নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের উপর কাজ করেন এই নারী। আবিষ্কার করেন প্রটেক্টিনিয়াম এবং নিউক্লিয়ার ফিশন। এজন্য ১৯৪৪ সালে নোবেল প্রাইজে ভূষিত হোন। তাঁর নামে একটি উপাদানের নামকরণ করা হয় মাইটনারিয়াম।
ছবি: সংগৃহীত
হেডি লেমার
ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাঁর আবিষ্কারক আর কেউ নন, হেডি লেমার। পাশাপাশি তিনি একজন হলিউড অভিনেত্রীও ছিলেন।
ছবি: সংগৃহীত
আইরিন জোলিয়ট কুরি
ফরাসী এই নারী মেরি কুরি এবং পেইরি কুরির সন্তান। কৃত্রিম রেডিও এক্টিভিটি আবিষ্কারের কারণে ১৯৩৫ সালে রসায়নে নোবেল আবিষ্কার করেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত
ডরোথি হডজকিন
১৯৪৫ সালে আবিষ্কার করেন ৩ ডাইমেনশনের বায়োমলিকিউলার স্ট্রাকচার। এরপর তিনি এবং তাঁর সহকর্মী মিলে পেনিসিলিনের গঠনের মিমাংসা করেন। ভিটামিন বি১২ এর মলিকিউলার স্ট্রাকচার আবিষ্কার করেন হডজকিন ১৯৪৮ সালে। তবে এর সর্বশেষ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে যা তাকে এনে দেয় নোবেল প্রাইজ।
ছবি: সংগৃহীত
মারিয়া গোএপ্পার্ট-মায়ার
এটোমিক নিউক্লেই এর গঠন ব্যাখ্যা করেন তিনি। এজন্য ১৯৬৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল অর্জন করেন। মেরিকুরির পর তিনি পদার্থে নোবেল গ্রহণে ২য় নারী।
ছবি: সংগৃহীত
বারবারা এমসিক্লিন্টক
ক্রমোসোমের অভ্যন্তরে জিনের স্থান পরিবর্তনের ক্ষমতাকে আবিষ্কার করেন তিনি। ভুট্টার জেনেটিক গঠন আবিষ্কার খ্যাতি এনে দেয় তাকে। ১৯৮৩ সালে ফিজিওলজিতে নোবেল জয় করেন তিনি। তিনিই প্রথম নারী যিনি পদকটি কোন ভাগাভাগি ছাড়া একাই জয় করেন।
ছবি: সংগৃহীত
গার্টরুড ইলিয়ন
বায়োকেমিস্ট এবং ফার্মাকোলজিস্ট তিনি। ম্যালেরিয়া এবং এইডস এর ঔষধ তৈরিতে অবদান রাখেন। ১৯৮৮ সালে ঔষধের জন্য নোবেল অর্জন করেন এই কৃতী নারী।
ছবি: সংগৃহীত
রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন
তিনি একজন রসায়নবিদ এবং এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফার। তিনিই প্রথম ডিএনএ এর এক্সরে ডিফারেকশান ছবি প্রকাশ করেন। এছাড়াও আরএনএ, ভাইরাস, কয়লা এবং গ্রাফাইটের মলিকিউলার গঠন বুঝতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন তিনি।
ছবি: সংগৃহীত
জেন গুডল
তিনি একজন নৃবিজ্ঞানী, পৃমাটোলজিস্ট, এথোলজিস্ট এবং জাতিসংঘের শান্তিদূত। তিনি তাঁর জীবনের ৫৫ বছর ব্যয় করেছেন শিম্পাঞ্জিদের সামাজিক এবং পারিবারিক জীবনযাপনের উপর গবেষণা করে, গম্বে স্ট্রিম ন্যাশনাল পার্কে। তিনি আবিষ্কার করেন শিম্পাঞ্জিরা সর্বভূক এবং শিখিয়ে দিলে তাঁরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে।
সূত্র- কিউরিসিটি
সম্পাদনা : রুমানা বৈশাখী