ছবি সংগৃহীত

প্রজন্ম চত্বর: ১৪তম দিনের সোশ্যাল মিডিয়া

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ১৬:১১
আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ১৬:১১

আন্দোলনের ১৪তম দিনে এসে কী ভাবছেন মানুষ। ফেসবুক থেকে তারই কিছু ছবি-- দূর্যোধন দূর্যোধন: কি চমেতকার দেখা গেলু ! ভারতের অহিংসা আন্দোলনের কৃতীপুরুষ মহাত্মা গান্ধী যেন আমাদের শাহবাগের ন্যাতাদের ঘাড়ে ভর করছেন । মোমবাতি জ্বালানো-নীরবতা পালনের পর আগামী কর্মসুচি হইলো বেলুন উড়ানো । ভালো । আমার একের পর এক সহযোদ্ধা মইরা যাইতাছে গলার স্বর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে - আজ হার্ট ফেইল কইরা মরলো শান্ত ভাই ,যিনি দিনের পর দিন শাহবাগে মুখের রক্ত তুইলা খাটছিলেন । আর ন্যাতারা ? আপনেরা করেন দালালি আর অহিংস আন্দোলন ? এই রাজীব আজ শাহবাগে সোচ্চার না হইলে কি রাজীবের দিন চলতো না ? এই শান্ত ভাইয়ের সংসারকি থাইম্যা থাকতো শাহবাগের আন্দোলনে না আসলে ? আমার সহযোদ্ধারা একটা স্বপ্ন বাস্তবায়নে আসেন - স্বপ্ন পূরনের বিন্দুমাত্র ছায়া না দেইখা মারা যাইতাছেন । আজ কততম দিন হইল ন্যাতারা ? কি আল্টমেটাম দিলেন ? ৭০ সাংসদের একাত্মতায় ভুইলা গেলেন আমার সহযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা ? ভালই আরামে আন্দোলন করেন , পুলিশে আপনারে পাহারা দেয় , বিভিন্ন জায়গা থিকা খাবার আসে , আপনেরা ভুইলা যান সরকাররে প্রেসার দেয়ার কথা - ফাঁসির দাবীর জন্য । প্রেসার দিলেই তো আর খাবার আসবো না , সাংসদের আদর পরিনত হইব লাঠীর বারিতে , পুলিশের পাহারা পরিনত হইবো রাবারবুলেটে । আহা ! দিনের পর দিন রাজীবেরা ,শান্তরা বইস্যা বইস্যা গলা ফাটাইয়া যায় , কয়েকদিনের মাঝে মইরাও যায় - কিন্তু আন্দোলনের 'সাংস্কৃতিক' ভাব আর কাটে না । আরে ন্যাতারা ! কি হইবো রাজীব শান্ত মইরা গেলে ? এইগুলা ভুদাই বইলা সংসার থুইয়া শাহবাগে আইছিল । মইরা গেলে কার কি ? আন্দোলন তার 'ন্যাতাদের' গতিতেই 'অহিংস' 'সাংস্কৃতিক' ভাব লইয়া চলবো । খালি দিন কাইট্যা যাইবো মনারা ...... এইরকম ৪২ বছর তো গেছেই .....আর না হয় কএক দিন যাক,তাই না ? দেখান আমারে ! লাশের মিছিল দীর্ঘায়িত হয় কিন্তু আন্দোলন কেন সুনির্দিষ��ট ছকে আসে না ? কেন জামাতিদের নিষিদ্ধে ? ঐ লাল সবুজ হলুদ বেলুনে কি সরকার নিষিদ্ধ কইরা দিবো ? জবাব দেন ! যারা ভাল রে উচ্চকন্ঠে ভাল কইতে পারে না,খারাপরে খারাপ কইতে পারে না - তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুয়োররে শুয়োর বলতে পারে না..... এবং প্রায়শই আর একটি শুয়োরে রুপান্তরিত হয় । আমি শুয়োর না । শান্ত ভাই , ক্ষমা কইরা দিয়েন। Mahbubul Hoque Shakil: এইমাত্র ফিরলাম শাহবাগ থেকে। আন্দোলনের তৃতীয় দিনেই আমি Bitu Ashraf Siddiquee এবং Melon Pathan কে বলেছিলাম, আন্দোলনের ব্যাপকতাই বুঝিযে দেবে কারা থাকবে আর কারা থাকবেনা। শাহবাগে আমি ১১ রাত জুড়ে বড়লোকদের যুথবদ্ধ গাড়ী দেখেছি। বৌ-বাচ্চাসহ তাদেরকে আসতে দেখেছি। ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে বিপ্লবী সাজতে দেখেছি। গত দু'রাত যাবত দেখিনা। আমার ভাই ব্লগার রাজিবের মৃত্যুর পর দেখেছি শাহবাগের কাফেলায় কিভাবে সৌখিন বিপ্লবীদের ভিড় কমে যায়। আজ দেখলাম শাহবাগ ছেড়ে গাড়ীরা কিভাবে গ্যারেজে ফিরে যায়। শাহবাগ এখনো আছে। বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা এখনো সেখানে জেগে থাকে। জেগে থাকে আমাদের মতো মধ্যবয়সী মধ্যবিত্ত, জেগে থাকে সতেজ তরুণ, জেগে থাকে বাংলাদেশ। শাহবাগ কোন রোমান্টিক বিপ্লবী চায়না, বড়লোকের ফেসবুকের মেকি পোজ দেয়া ছবি হতে চায়না। যে বাঙালির সাহস আছে রক্ত দিয়ে পূর্বপুরুষের দেনা শোধ করবার শাহবাগ তারই অপেক্ষায়। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। Shiplu Hridoy: আমাদের এলাকার এক চাচা মিয়াঁ যিনি জামাত করে তারে জিগাইলাম চাচা খবর কি? শাহাবাগে তো আপ্নাগো বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতেছে। পারলে এজকেই জামাত ছাড়েন। কাকা তো অগ্নি চোখে তাকাইলো আমার দিকে। আমারে কইলো আল্লাহর কাছে ২৪ ঘন্টা দোয়া হইতাছে। দেখস না একটা একটা কইরা মরতাছে। ঐখানে যেগুলান থাকে মন করস যে তাগো অবস্থা ভাল। আল্লাহর গজব পড়া শুরু করছে সবে। আমি কইলাম আপ্নাগো টিভি চ্যানেল এ তো কেউ অভিনয় করবো না। সবায় শপথ নিছে সে কইলো অইরকম নর্তকীরা না আইলেও দিগন্ত চলবে। সে আরো কইলো জামাতের যে জমি জামা আর টাকা পয়সা আছে তারা চাইলেই এখন বাংলাদেশ এর কোন এক এলাকা স্বাধীন দেশ হিসাবে ঘোষণা করলে সেটা দেশ হইয়া যাইবো। কারন জামাতের সব আছে। জামাতের সুইপার থেকে ভার্সিটির ভিসি পর্যন্ত আছে। ---- আমি তো শুইন্যা অবাক। কই কি? আলাদা দেশ ঘোষণা করতে পারে যে কোন সময়। Debabrata Ghosh: শালার কোথা থেকে কতগুলো ভাদাইম্যা মানবধিকার কমিশন বলে কিনা যুদ্দাঅপরাধীর আইন সংশোধন করাই মানবধিকার লঙ্ঘন হইছে। হালার ভাদাইম্যারা তোরা কই থাকস যখন ফিলস্তিনে বিমান হামলা হই, তোরা কই থাকস যখন পাকিস্তানে প্রতিদিন শত শত লোক বোমা হামলাই মারা যায়??? তোদের এখনি পাকিস্তান অথবা ফিলিস্তিনে রপ্তানি করা উচিত। তোদের কাজ সেখানে। বাংলাদেশে যদি সত্যি মানবধিকার লঙ্ঘিত হইত তাহলে সাহাবাগের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুয়ে থাকা কুত্তাটার একটা বাল ও পাওয়া যাইত না। Badruddoza Mahmud Tuhin: আওয়ামী প্রেসিডিয়াম নাসিম কইলো, ‌ 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে শাহবাগ আন্দোলনে তরুণেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে'। হায়রে বাঙ্গাল নেতা.. তোরা আন্দোলনে এইভাবে যুক্ত হবি জানলে মোটেই শাহবাগ যেতাম না। :( Tanveer Saad: আজকের ত্যানা : "আমরা ন্যায় বিচার চাইতে পারি .. কিন্তু ফাসি চাইব কেন ?" (দুঃখিত গতকালের ত্যানা দিতে না পারায় :D এই ২ দিন খাওন দাওন এর উপর ছিলাম) Sezan Mahmud: আমি ব্যক্তিগতভাবে 'ক্যাপিটাল পানিশনেমন্ট' বা মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছি। কিন্তু যারা যুদ্ধাপোরাধীদের পক্ষে এই মানবতার দাবি জানাচ্ছেন তাদের কে বলি আইনের অপব্যাখ্যা করবেন না। যুদ্ধাপোরাধীরা কোন সাধারণ অপরাধ করে নি। এরা একটি জনগোষ্ঠী কে নির্মূলের ষড়যন্ত্র করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছিল, ম্যাস মার্ডার করেছিল। অন্যদিকে এরা এখনো যেমন ষড়যন্ত্র করছে, সুযোগ পেলে আবারো করবে। এরা এখনো বাংলাদেশের সংবিধান কে মেনে নেয় নি, স্বাধীনতাকে মেনে নেয় নি, অপরাধের জন্য ক্ষমাও চায় নি। দেশি এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এদের কে 'ক্যাপিটাল পানিশনেমন্ট' দেয়াই যুক্তি সংগত। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কে সাধারণ চোখে বিচারের কোন সুযোগ নেই। অতএব যুদ্ধাপোরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই... Promi Naheed: প্রিয় আপা এবং ম্যাডাম, আমরা আপনাদের বিপক্ষে না। আমরা শুধু চাই সরকারী দল-বিরোধী দল দুইটাই যেনো মুক্তিযুদ্ধেরপক্ষের শক্তি হয়। বাংলাদেশের মাটিতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোন দল আমরা দেখতে চাই না... Mohiuddin Niloy: দেশ স্বাধীন হলে আওয়ামীলীগ ক্রেডিট পাবে বলে অনেকে মুক্তিযুদ্ধে যায়নি, এখনো যেমন যাচ্ছে না শাহবাগ...আসলে সকল আন্দোলন থেকেই রাজনীতিক দলের ফায়দা লাভের সুযোগ থাকে... শাহবাগেও তাই হয়েছে, সরকারের দায়সারা বিচারের বিরোধিতা থেকেই আন্দোলনের জন্ম... কিন্তু আওয়ামীলীগ ক্ষিপ্রতার সাথে আন্দোলনে একাত্ম হয়ে নিজেদের দুর্বলতা আড়াল করে ফেলেছে, দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে আন্দোলন আওয়ামীলীগের হয়ে যায়নি, বরং নিরাপদ দূরত্বে থেকে বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে... Masud Anwar: তাদের সিদ্দিকী বলেছেন,”রাগ করে তিনি গু খাবেন, তবু ভাত খাবেন না” ভাবতাছি মাঝে মাঝে তারে আমি আমার বাসায় দাওয়াত দিমু, অনেকগুলো টাকা বাইচা যাবে, কি দরকার এত টাকা খরচ করে হারপিক কিনার? ওরে ডাইকা আনমু চেটেপুটে নিজেই খেয়ে নিবে! Mohammad Sharif Uddin: মুসল্লিদের প্রতিবাদে ‘পীরের’ পলায়ন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার ও শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন জৈনপুরের ‘পীর’ নামে পরিচিত মো. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। এ সময় মুসল্লিরা শুরু করেন প্রতিবাদ, হট্টগোল। হয়ে ওঠেন মারমুখী। একপর্যায়ে বক্তব্য থামিয়ে মাহফিল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন জৈনপুরের ‘পীর’। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে। Sannyasi Sanyasi: ১. তরিকুল ইসলাম শান্ত, তুমি রবে আমাদের মনের মন্দিরে। তোমাকে স্মরণ করবে এদেশবাসী কৃতজ্ঞতাচিত্তে। ২. রংপুরবাসীকে ধন্যবাদ। তবে.......। না, কোন তবে টবে নাই; রংপুরবাসীকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে সারা দেশকে; গুড়িয়ে দিতে হবে জামাতি অর্থনীতিকে। ৩. ছোট ভাই ফোন দিয়ে বলে- "দাদা, তোর কি মনে আছে বছর দুয়েক আগে একটা ম্যাগাজিনে তোর পরিচয় লেখা হয়েছিল 'ব্লগার', যেটা দেখে সেদিন বৌদি ব্যঙ্গ করে বলেছিল-'ব্লগার! এটা একটা পরিচয় হলো!' ? আজ আমার বুক গর্বে ভরে ওঠে যে আমার ভাই একজন ব্লগার। যখন কেউ শোনে যে আমি একজন ব্লগারের ভাই, তখন সবাই খুব অন্যরকম দৃষ্টিতে দেখে। কী যে ভাল লাগে!" Mohammad Sharif Uddin: গণ জাগরন মঞ্চ থেকে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ঘোষিত কর্মসূচী... ১. আগামীকাল ১৯ শে ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ব্লগার তারিকুল ইসলাম শান্তর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে... ২. ২০ শে ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪ টা ১৩ মিনিটে সবাই একটি গ্যাস বেলুন নিয়ে সেই বেলুনে শহীদ দের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে উড়িয়ে দিবেন.... ৩. ২১শে ফেব্রুয়ারী প্রথম প্রহরে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হবে...২১ তারিখ বিকাল ৩ টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে মহাসমাবেশ...২১ তারিখ বিকাল ৩ টায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারের সামনে "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী" গান বাজাতে হবে... ***আর যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারী এর আগেই শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে... জয় বাংলা...।। Sudeepto Salam: দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আজকের ব্যানার হেডিং- ''ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্র''। মাহমুদুর রহমান হলেন ''গায়ে মানে না আপনি মোড়ল'' টাইপের সম্পাদক। তাকে সম্পাদক হতে হয়েছে কারণ সে কিছু উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই এসেছে [যেমন এখন জামায়াতের হয়ে দালালি করছে]। বেশ কয়েকজন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই পত্রিকাটিতে কাজ করে। আমি বিশ্বাস করি না তারা এই ধরনের জঘন্য সাংবাদিকতার পক্ষে, কারণ তারা প্রকৃত সাংবাদিক। আমি আমার ভাইদের আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন- এই বদমায়েশের গুহা থেকে বেরিয়ে আসেন। Amir Hossain: শাহবাগের গণআন্দোলন দেশনেত্রি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের ফসল। তার আহবানে সাড়া দিয়ে আজ তরুনরা সমবেত হয়েছে। -বিটিভির বেলা ২টার খবর Fatema Abedin Nazla: তিন মিনিট নীরবতা, মোমবাতি প্রজ্জলন আর সমস্বরে দাড়ায়া জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মতো হরতালের মতো যন্ত্রণা বর্জন প্রত্যাখান করা সহজ হইতো তাহলে খুব খুশী হইতাম। আমি সারাজীবনই হরতালে অফিস গেছি, আমার বাপ গেছে, আমার বইন আজকে স্কুলেও গেলো। আমি অফিসের জন্য বের হয়া তুরাগের জন্য দাঁড়ায়া ছিলাম ৪০ মিনিট, প্রতি পাঁচ মিনিটে ৩টা তুরাগ গেলেও ৪০ মিনিটে একটা তুরাগ যায় নাই। ৭০টাকা রিকশা ভাড়া দিয়া অফিসে আসতে আসতে দেখলাম পথের চারটা মার্কেট বন্ধ। মেঝোমামা নানা বাড়ি থেকে আসতে পারেন নাই। নানা বাড়ির শহর থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একমাত্র এসি বাসটি হরতালে দূর পাল্লার ভ্রমণে যাচ্ছেন না। হা হা হা সবচেয়ে বড় হরতাল পালনকারী হইল মিডিয়া। প্রতিটা মিডিয়ার গাড়িতে জরুরী সংবাদপত্র লেখা লাল ব্যানার ঝুলতেছে। আসতে আসতে এরকম ৩০টা গাড়ি দেখলাম ৩০টি সংবাদ মাধ্যমের। হরতাল যদি প্রত্যাখানই করবেন তবে নিজেদের এমন ভেক ধরা লাল পতাকা কেনো জনাব। Russell Abdullah Al Mamun আন্দোলনে মুখ্য ভুমিকা আছে এমন ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট দের নিরাপত্তার দায় সরকারের আর গৌন ভুমিকা আছে এমন লাখো মানুষের নিরাপত্তার দায় কার ? আরিফ জেবতিক , ইমরান ওরা নিরাপত্তা পেতেই পারে কিন্তু কতগুলা নাস্তিক ও আন্দোলনের মুল স্রোত কেই যারা অন্য দিকে ধাবিত করছে এমন কি যাদের কারনে আন্দোলনে বিতর্ক সৃস্টি হচ্ছে তাদের কেন গান ম্যান লাগবে ? Joy Azad: যুদ্ধটা আমাদের কোন ধর্মের বিরুদ্ধে না। যুদ্ধটা আমাদের সেই সব যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি দালালদের বিরুদ্ধে যারা এখনো বহাল তবিয়তে শীনা ফুলিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। যুদ্ধটা আমাদের রাজাকারের বিরুদ্ধে যারা বাংলার অগনিত নিরিহ মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে, মা বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করতে যাদের একটুও বুক কাঁপেনি। আমাদের যুদ্ধ কখনই ইসলামের বিরুদ্ধে ছিল না, আর ভবিষতেও এর কোন সম্ভাবনা নেই। দঃখের বিষয় আমাদের আন্দলোনের নাম ভাঙ্গিয়ে ধর্ম নিয়ে খেলা শুরু করেছে সকল মহল, যেখানে বলির পাঠা করা হচ্ছে ধর্মানুগত সাধারন মানুষের ধর্মের প্রতি অনুরাগ ও তাদের সহজ সাধারন চেতনাকে, ইসলাম ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে সমান ভাবে একেক জন কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল দিগন্ত টিভির এক আনুষ্ঠনে জৈনিক নেতাকে (নাম প্রকাশ করলাম না) নাকি এক মুরুব্বি তার হাত ধরে প্রশ্ন করেন আন্দলোনের কারনে কি দেশে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ হয় যাবে কি না? এত বড় নেতা টিভিতে প্রায় তার সাক্ষাতকার দেখায় তিনি এই প্রশ্নের কোন উত্তরদেন নাই সেই মুরুব্বিকে। হায়রে আমার নেতারে একটা বুড়া মানুষের প্রানের প্রশ্নের জবাব যখন আপনি দিতে পারেলেন না সেখানে আপনি শাহাবাগের রাজীবের জানাজার শুদ্ধি অশুদ্ধতা নিয়ে কি করে প্রশ্ন তুলেন? কেউ আবার রাজীবের জানাজা উচিৎ কি না তার প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা খুব ভাল করেই জানি রাজীব কে, তার লেখা বিষয়বস্তু কি ছিল। তার কর্ম বিচারের দ্বায়িত্ব আমাদের না আল্লাহ্ পাকের, মুসলমান নামের কারনে জানাজা আমাদের কাছে তার প্রাপ্প, আমাদের জীবনের ভুল ভ্রান্তির হিসাবের জন্য আল্লাহ্ কেয়ামত নির্ধারন করেছেন। সকলে রাজীবকে নাস্তিক সাব্যস্ত করছে এখানে আমার এক ইমামের খুতবা মনে পড়ে গেল, যে ব্যক্তির জানাজায় যত বেশী মানুষ হবে আল্লাহ্ পাক তার গুনা তার দ্বিগুন মাফ করবেন তার উপর আবার তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা ইসলামকে গালিগালাজ করছেন তাদের উদ্দ্যশে বলব ইসলাম অরাজকতার ধর্ম না, পৃথিবীর সব থেকে আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ ধর্ম। এধর্মের নাম ভাঙ্গিয় কতিপয় ব্যক্তি যে অরাজকতার রাজত্তি স্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, আমরা সেপথেই চলছি তাই ইসলামকে না ঐ সমস্ত কুলাঙ্গার ব্যক্তিকে ঘৃনা করুন ইসলাম আপনাদের সাথে থাকবে। Mahbubul Hoque Shakil: একটু পরেই শাহবাগ যাবো। এটা এখন প্রতিদিনের রুটিনের অংশ। ভাবছিলাম, শাহবাগে কি হারিয়েছি আর কি পেয়েছি। এখন পর্যন্ত হিসাবের খাতা মিলালাম। শাহবাগে হারিয়েছি আয়েশী জীবনের ছন্দ, ব্যক্তিগত হতাশা, দুঃখবিলাস, একাকীত্ব এবং স্বার্থপরতা। শাহবাগে পেয়েছি কৈশোরের শ্লোগান, তারুন্যের হারিযে যাওয়া মিছিল, মানুষের প্রতি আস্থা, নতুন প্রজন্মের অদম্য যুদ্ধস্পৃহা, শিশুর আদরমাখা কন্ঠে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি- জয় বাংলা। শাহবাগের আয়নায় নিজেকে দেখেছি। জেনেছি, মিছিল থেকে হারিয়ে যাওয়া আমি এখনো যেতে পারি যুদ্ধে মহত্তম লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে। এখনো শ্লোগানে কণ্ঠ মেলাতে পারি স্কুল-কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলে আসা দিনগুলোর মতো। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক নব-নবীনের। Masuda Bhatti: আসুন আমরা একটু ভেবে দেখি, ক্ষমতায় আজ আওয়ামী লীগ নয়, অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা ধরে নিই বিএনপি এখন ক্ষমতায়। পারতো কি শাহবাগ এই চেতনার ঔদ্ধ্যত্য দেখাতে? সম্ভব হতো কি এরকম রাত-দিন ওখানে নিরাপদে বসে রাজাকারদের ফাঁসির দাবি জানাতে? আমি জানি না, কেন যেনো আমার অনেক জ্ঞানী-গুণী বন্ধুই এই সত্যকে অস্বীকার করে যান বরাবর। আজকে যদি ২০১৩ না হয়ে ২০০৩ কি ২০০৪ হতো? কই তখনতো আমরা পারিনি আরেকটি শাহবাগের জন্ম দিতে যখন আমারই বুকের ওপর দিয়ে চলে গেছে রাজাকার নিজামী, মুজাহিদের জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি, যে পতাকা আসলে ওরা চায়নিই কেবল নয় যে পতাকার সৃষ্টিকারীদের ওরা আসলে অকাতরে হত্যা করেছে গোটা একাত্তর সাল ধরে এবং তারপরও স্বাধীন বাংলাদেশে এসে ওরা করেছে গলাকাটা রগটাকার রাজনীতি, তাও কাদের বিরুদ্ধে? দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে। আসলে কোনো সত্যই অবহেলার নয়, সব সত্যকেই ধর্তব্যে এনে আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে হবে এবং সামনে এগুনোর হিসেব কষতে হবে। Abu Ashraf Masnun: এ্যালেক্সা বিনুদুনের পর শুরু হইছে Quantcast বিনুদুন । কোয়ান্টকাস্ট এর স্ট্যাটেও ৩০শে জানুয়ারীতে ১টা ভিজিট ‌+ পেইজভিউ দেখা যায় । এছাড়া গুগলের ক্যাশ দেখুন - http://cl.ly/image/2W1I2q3f0M42 - ৮ই জানুয়ারী - জ্বী, এই সাইট ১৫ ফেব্রুয়ারীর আরো কমপক্ষে একমাস আগে হতে ছিলো । নুরানীচাপা ব্লগটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । ওটা চালু থাকতে কেউ সাইটম্যাপ দেখে থাকলেও খেয়াল করেছেন হয়ত লাস্ট এডিট ছিলো ২০১২ এর অক্টোবরে । ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্টের দিন তারিখ ইচ্ছামত পরিবর্তন করা গেলেও সাইটম্যাপ অটো জেনারেট হয়, এটা পরিবর্তন করা যায় না । সুতরাং ঐ সাইট ২০১২ এর অক্টোবরেও ছিলো । নুরানীচাপা থাবা বাবারই সাইট । এটা কেউ তাকে ডিসক্রেডিট করার জন্য বানায়নি । সে নাস্তিক ছিলো, ছিলো প্রচন্ড রকমের ধর্মবিদ্বেষী । কিন্তু তাকে ধর্মের কারণে হত্যা করা হয়নি বলেই বিশ্বাস । তার ব্লগ শেয়ার বেশী করা হচ্ছে তাকে শাহবাগ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত প্রমান করে আন্দোলন এর প্রতি মুসলমানদের সেন্টিমেন্ট জাগিয়ে তোলার জন্য । অন্যদিকে আমরা যারা থাবা এই সাইট থাবা বাবার নয় বলে পোস্ট শেয়ার করছি তারাও কিন্তু একটা পর্যায়ে নিজেরা ভুল প্রমানিত হচ্ছি । একজন মুসলমান হিসেবে থাবাকে এভাবে নির্দোষ প্রমান করার চেষ্টা দেখে আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, হয়তোবা অন্যদেরও একই অনুভূতি হচ্ছে । থাবা বাবা কি ছিলো, কি ছিলো না এটা নিয়ে ফেইসবুক গরম না করে শাহবাগে মনোযোগ দেওয়াই উত্তম । Chowdhury Ripan: এক সমাবেশে তিন নেতার বিপরীতমুখী বক্তব্য - আসলে কোনটা যে বিএনপি'র বক্তব্য?? ব্যারিস্টার মওদুদ বললেন, প্রথম দিকে বোঝা না গেলেও এখন প্রতীয়মান হচ্ছে, 'এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের স্কোয়ারে পরিণত হয়েছে।' সাদেক হোসেন খোকা বললেন, শাহবাগের আন্দোলন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের পক্ষের লোকজনেরই বড় অনাস্থা। দলীয় সরকারের অধীনে যেনতেন একটি নির্বাচনে জামায়াতকে নিতে সরকার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলছেঃ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায় জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকারও কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এতদিন মওদুদ বলে বেড়াচ্ছিলঃ এই ট্রাইব্যুনাল অবৈধ। Rohan Uddin Fahad: ড: আকবর আলী খান... গত তিন চার বছরে বাংলাদেশের কমন জাতীয় বিবেক। দেশে কোন নেতা কি করবে, সরকার কোন ফর্মুলায় দেশ চালাবে, পদ্মা সেতু কার টাকায় কিভাবে হবে ব্লা ব্লা ব্লা...মোটামুটি বাংলাদেশের হেন কোনো ইস্যু নাই যেইখানে উনি টিস্যু নিয়ে হাজির হন নাই...নিজেকে নিরপেক্ষ দাবী করে পক্ষান্তরে সরকারের গত চার ব্ছরের তীব্র সমালোচক দের একজন... শাহবাগের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশে এখন একটা বিশেষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যুদ্ধটা যখন দেশের সার্বভৌমত্বের ইস্যুতে তখন আদতে নিরপেক্ষতা বলে কোনো শব্দে আমি নিজে বিশ্বাস করি না। তারপরেও উনার পক্ষ থেকে নিদেনপক্ষে নিরপেক্ষ একটা মন্তব্য আশা করেছিলাম। পান থেকে চুন খসলেও অত্যধিক সরব এই সম্মানীত ব্যক্তির নিরবতা আদতে তার বিশেষ পক্ষাবলম্বনের উদাহরনও তো হতে পারে তাই না? বি:দ্র: অনলাইনে ঘুরতে ঘুরতে ইন্টারেষ্টিং একটা ছবি দেখলাম একটু আগে (লিংক কমেন্টে)। ছবিটা দেখেই মনে প্রশ্নটা জাগলো... Hillol Haque: ২০১৩ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ থাবা বাবা শাহবাগীর ব্লগ (আপত্তিজনক ও ইসলাম ধর্মকে কুরুচিপূর্ণ ভাবে আক্রমণ করে লেখা) ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু web archive এ তার কুকীর্তিগুলো রয়ে গেছে। BTRC কি দয়া করে নীচের এই web archive/cache গুলি রিমুভ করে থাবা বাবার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র করে দিতে পারে না? Faysal Kabir Shuvo: মরহুম ব্লগার রাজীব/থাবা বাবা'র লেখা নিয়ে আমার তেমন কোন আগ্রহ নাই কিন্তু তার মারা যাবার পর 'ছাগলের তিন নং বাচ্চার' মত অনেকেই উঠে পরে লেগেছে তার লেখাগুলা নাকি তার না প্রমান করার জন্যে। এই লিঙ্ক সেই লিঙ্ক, তারিখ/সাল কত কিছু দিয়ে তাকে 'নিষ্পাপ' বানানোর চেষ্ঠা ঠিক যেভাবে শিবির তাদের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের ডিফেন্ড করে। কতবড় হাস্যকর!!! যে লোক নিজে বেচে থাকতে তার মত প্রকাশের 'হ্যাডম' দেখাতে পারছে, আপনাদের সমস্যা কি?? এখন নিচের লিঙ্কে গিয়ে ক্লিক করে দেখেনঃ আপনাদের কথা বড় নাকি যাকে ডিফেন্ড করতেছেন তার কথা?? https://www.facebook.com/thaba.baba/posts/341786779231910 মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে কোন সত্য দাবী আদায়ের সংগ্রাম সফল হয়েছে বলে কোন ইতিহাস জানা নাই। কেউ জানলে একটু জানাবেন! Saifullah Mahmud Dulal: প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত সবাইকে সতর্ক হবার আহবান- প্রথমত বলছি, ফেসবুকে কিছুদিন নতুন বন্ধু যোগ করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা জামাত শিবিরের ছদ্মবেশী লোকজন আপনাদের বন্ধু সেজে ফেসবুকে ঢুকে পড়ছে , আপনার সাথে ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। এবং সুযোগ মতন তারা কিন্তু ঠিকই সেইসব ব্যবহার করবে। এদের প্রোফাইল গুলো এভাবেই সাজানো যে দেখলে মনে হবে তারা আমাদেরই একজন, কিন্তু আসলে সেটা নয়। কাউকে অ্যাড করার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন যে আইডি টি আসল না ফেক। দ্বিতীয়ত বলছি, ফেসবুকে পরিচিত কাউকে নিজের ব্যক্তিগত যোগাযোগ নাম্বার দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কিংবা কেউ ডাকলে তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে কোনও নির্জন স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং অবশ্যই কাউকে আপনার বাসার ঠিকানা দিবেন না। পুলিশ বা র‍্যাব পরিচয়ে কেউ আপনাকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে বা কোথাও নিয়ে যেতে চাইলে তাদের পরিচয় পত্র দাবি করুন। এবং অবশ্যই সবাইকে জানান যে কারা আপনাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে বিনা কারণে। সম্ভব হলে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করুন। পুলিশ র‍্যাবের পোশাকে তারা হতে পারে ছদ্মবেশী শিবির খুনি। এবং সব চাইতে জরুরি, একা একা চলাফেরা করবেন না। সর্বদা দলবদ্ধ ভাবে থাকুন। কে না জানে যে গুপ্ত হামলা করতে শিবির সিদ্ধ হস্ত। এবং দেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করা সেই ১৯৭১ সাল থেকেই জামাত শিবিরের একমাত্র লক্ষ্য। নিজে সতর্ক থাকুন, সতর্ক করুন প্রতিটি সহযোদ্ধাকে। Abdullah Mamun Even Pakistani scholars are thinking about apology--but the Jamatees...??? ইতিহাস ওল্টানো যায় না, কিন্তু এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। বাংলাদেশের এই দাবি সঠিক যে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু আমরা এ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছি। আসুন, এখন আমরা বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাই; আমাদের দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচনা করি। আমরা যদি সৎ হই, আমাদের যদি এই পদক্ষেপ গ্রহণের সাহস থেকে থাকে, তাহলে বাড়তি পাওনা হিসেবে বেলুচিস্তানের সমস্যাটি বোঝা ও উপলব্ধি করা আমাদের পক্ষে অনেক সহজ হবে; এমনকি সমস্যাটার সমাধানও হয়ে যেতে পারে। Bangladesh is right in demanding an apology from Pakistan — one which we have so far refused to give. Let us do so now and start a new chapter in the relationship between our two states. If we have the honesty and courage to take this step, as a bonus, the problem of Balochistan might become a tad easier to understand — and perhaps, solve. Published in The Express Tribune, February 16th, 2013. Faisal Monir Masum ব্লগ লিখে নোবেল পেতে চাই................................................... দীর্ঘ দিন ধরে মূর্খরা আল্লাহ-রাসুলের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করতে করতে শেষে চূড়ান্ত ভাবে অপমানিত হল। তাদের "উদ্ভট সত্য লেখনী" আজ কিছু 'হলুদ/কমলা' ছাড়া সব পত্রিকাতে এসেছে। মানসিক ভাবে দরিদ্র এসব নাস্তিকদের আবাল সাহবাগবাসীর অন্ধ আবেগকে পুজি করে নেতা হওয়ার খাহেশ মনে হয় এতক্ষণে ছুটার কথা ! অবশ্য এদের ১৪ গুষ্টির আর ভগবানীয় বাম্ - রাম নেতাদের কোনো অপমানবোধ নাই। বিন্দুমাত্র 'ধর্মবোধ' যেসব বাংলাদেশির আছে -তারা কি এখন আর এইগুলার পা চাটতে পারে? একটা প্রশ্ন- আওয়ামী লিগ (যাদের অভিধানে 'অসম্ভব' বলে কিছু নাই) মূল খেলা খেলল কিনা - কে জানে?! মুক্তিযুদ্ধের আবেগ আর স্বচ্ছ ও জাতিসংঘের অধীনে মানবতাবিরোধী বিচারের সাথে আমার ভিন্নমত নাই। কিন্তু এই মানসিক ভারসাম্যহীন দের দিয়ে বিচার নয়!! Akku Chowdhury আজকে কোন হারতাল নাই জামাত দেখলা গন ধোলাই Bidrohee Krishok হরতালে তাল দিয়ে রাস্তা ঘাটে অফিসে আদালতে স্কুল কলেজে সবাই কাজ না থাকলেও ছোটাছুটি করছে, ঘটনাটা কি? Rahman Masud শাহবাগের বিপ্লব আমাকে প্রকৃত বন্ধু চিনতে সহায়তা করেছে। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে কেউ কেউ আছেন যারা সেচ্ছায় সরে গেলে খুশি হবো। তা না হলে ব্লক। মতাদর্শ যাই হোক রাজাকারের বিচার নিয়ে কটাক্ষ্য সহ্য করার নয়। এদের গার্লপ্রেন্ডরাও বাজে কমেন্ট ছড়াচ্ছে আন্দোলন নিয়ে। আবার কেউ আছে এতো দিন ঘাপটি মেরে ছিল। তারা শাহবাগেও আসেনি। কিন্তু আন্দোলন সফল হচ্ছে দেখে এখণ ফেসবুক ফাটাচ্ছে। অন্যদিকে আরে একটি দল আছে তারা শুরু থেকেই আন্দোলনে ছিল একটি পিকনিক পিকনিক ভাবে। তারা জানত এই আন্দোলনে কিছু হবেনা। কিন্তু এখণ হচ্ছে দেখে বিভ্রান্তি ছড়্রচ্ছ। তাই সাবধান বন্ধুরা.... Faruk Wasif তোমরা কেউ থাবা বাবাকে খুন করে ফেলে গেছ। তারও মা-বাবা-বোন আর স্বজন ছিল, যেমন তোমাদেরও আছে। তোমাদের খুনের লাশ আমরা কোলে নিয়ে সম্মান দিয়েছি। কারণ, তোমাদের বিচার নাই, খুন আছে। জীবিতের বন্য হত্যা তোমরা করেছ। তাই মৃতের প্রতিকারের দায় নিতে আমরা বাধ্য। মানুষ মানুষের লাশ সম্মানের সঙ্গে কবর দেবে, এটাই ন্যায় এটাই মানবতা। মা যেমন ছেলের বিভতস লাশও কোলে নিয়ে চুমু খায় আর বলে, 'সোন-বাবা-জান আমার'। আমরা সবার ভাই সবার বোন। সকল মৃতের প্রতি আমার রোদন। এমনকি হে ঘাতক, তোমার লাশও আমাকে কাঁদাবে। তোমার মায়ের কান্না আমার মায়ের মতোনই। কী সুন্দর সকল মানুষের হাসি, তা আমি জানি। আমি তোমাকে কোনোদিন খুন করতে পারবো না। আমি কেবল পারি বিচার করতে। ফাসিঁর দাবি নিয়ে নয়, আমরা শুধু তিরিশ লাখের তিরিশ লাখ মায়ের কান্নার প্রতিদান চাইতে এসেছি। আমাদের ফিরবার আর জায়গা নাই। তোমাদের ফিরবার জন্য আমরা অপেক্ষা করে আছি। আসো তবু স্বনামে, খোলা মনে, নাহয় আসো অস্ত্র হাতে। শাহবাগ আমাদের, যারা টিভিতে আসি না। বিপ্লব কোনোদিন টেলিভিশনে আসে না। তাই তোমরা আমাদের দেখো না। কেবল অন্ধকারে থেকে চাপাতি চালাও। তোমরা হাতিয়ার, হাত চেন নাই। আমাদের হাত আছে, হাতই জয়ী হয়, হাতিয়ার ক্ষয় হয়। Ali Riaz সর্বশেষ ঢাকা সফরের সময় (ডিসেম্বর ২০১২ –জানুয়ারি ২০১৩) দেশের অনেক তরুণ বন্ধুর সঙ্গে আমার কথা হয়। এদের অনেকেই আমার সঙ্গে ফেসবুকের সুবাদে পরিচিত এবং বন্ধু। এক অর্থে মুখোমুখি কথাবার্তাগুলো ছিলো ফেসবুকে যে আলাপ-আলোচনা চলছিল তারই ধারাবাহিকতা। তাঁদের প্রশ্ন, আশংকা এবং মনোভাব দেখে বর্তমান সময়ের তরুণদের সম্পর্কে আমার যা মনে হয়েছিলো তা বলার সুযোগ হয়েছিল সমকালের সহকারি সম্পাদক সুভাষ সাহা ও প্রতিবেদক একরামুল হক শামীমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে। ঢাকায় ৬ জানুয়ারি আমরা কথা বলি; সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় ৯ জানুয়ারি। সেই সাক্ষাতকারের একটি প্রশ্ন এবং উত্তর আজকের প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছেঃ প্রশ্ন : আপনি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে নিয়মিত। তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকে অনেক সক্রিয়। তরুণ প্রজন্ম রাজনীতি নিয়ে কী ভাবছে, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়ে কী লিখছে? আপনার পর্যবেক্ষণ কী? আলী রীয়াজ : আমার প্রচুর বন্ধু আছে যাদের অধিকাংশ বাংলাদেশের এবং বয়সে কম। আমি আসলে ফেসবুককে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের চিন্তাভাবনা বোঝার জন্য ব্যবহার করি। এখন বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক কাঠামো তরুণ-তরুণীরা ঠিক তার মধ্যে কমফোর্টেবল বোধ করে না। কেননা বাংলাদেশ নিয়ে তাদের যেসব প্রত্যাশা এবং বাংলাদেশের মধ্যে তারা যে সম্ভাবনা দেখতে পান তা ধারণ করার মতো এখানকার রাজনৈতিক কাঠামোকে তারা মনে করেন না। কাঠামোগত সমস্যা একটা তৈরি হয়েছে। এখানকার বিরাজমান রাজনৈতিক কাঠামো এবং দলগুলোর কাঠামো আসলে তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না। দ্বিতীয়ত, যা আমার কাছে মনে হয়েছে তরুণ-তরুণীরা আসলে বিভিন্নভাবে যুক্ত। ষাটের, সত্তরের, আশির এমনকি নব্বইয়ের দশকের রাজনীতি বলতে আমরা যেমনটা বুঝতাম তেমন করে রাজনীতিতে তারা দেখে না। রাজনৈতিক সক্রিয়তার বিভিন্ন পর্যায় আছে, প্রক্রিয়া আছে। বিভিন্ন সোশ্যাল ইস্যুতে তরুণ-তরুণীরা প্রতিবাদ করতে চায়, কিন্তু তখন স্ট্রাকচার খুঁজে পায় না। ফলে ফেসবুকেই হয়তো তারা এক ধরনের ক্ষোভ, বিক্ষোভ, আহাজারি লিখে প্রকাশ করে। শেষ পর্যন্ত কিছু হয়, কিছু হয় না। আমার ধারণা, ভবিষ্যতে এ ধরনের ইস্যুতে কাঠামো তৈরি হবে। সেটা শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক কাঠামোকে পরিবর্তন করতে পারবে কি-না জানি না। আমি এটা মোটেও বিশ্বাস করি না যে, বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা রাজনীতির ব্যাপারে অনুৎসাহী। রাজনীতির ব্যাপারে তাদের ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। দল করে না বলেই আমরা ধরে নিচ্ছি, এরা বোধহয় রাজনীতিতে উৎসাহী না। সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে রাজনীতির ধারণা, অর্থনীতির ব্যাপারে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা তাদের কাছে রাজনৈতিক ধারণা। শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, সামনের দিকে তাকানো সেই ধারণার অংশ। যাতে করে একই ধরনের সমস্যা সামনে না হয়। এগুলো আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আসলে বিবেচনাতেই নিতে পারছেন না। তারা অত্যন্ত বেশি মাত্রায় অতীতের কাঠামোতে আটকে গেছেন। কাঠামোটা যেহেতু তরুণ-তরুণীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না, ভবিষ্যতে তারা নতুন কাঠামো তৈরি করবে কি-না সেটা তাদের ব্যাপার। আমি সবসময় তরুণ-তরুণীদের বলি, এখন থেকে ২৫ বছরের পরের বাংলাদেশ তাদের। সেটা নিয়ে তাদেরই আসলে কাজ করতে হবে। সম্ভাবনা যা আছে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের। সেটা তাদের স্বার্থেই দরকার। আমি বলব, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এক ধরনের সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে, ২৫ বছরের পরের বাংলাদেশ তাদের বাংলাদেশ। বাবু আহমেদ ১৯ জন ব্লগারের নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেয়া হৈছে। এই লিস্টের অনেকরেই চিনি না, জানি না কি করছে কিন্তু অন্তত দুইজনরে চিনি যারা টিভিতে,পেপারে আর মিছিলে মুখ দেখানো ছাড়া কিছুই করে নাই । জামাত-শিবির নিয়া কোন ব্লগও তারা কোনদিন লেখে নাই। আরো অবাক হৈলাম এই লিস্টে নাই Baki Billah, Parvez Alam, সবাক পাখি, সহীহ শিবিরনামা খ্যাত আনিস রায়হান, মহামান্য কহেন। মহামান্য কহেন এর মতো কৈতে হয়, কয়েকজন আছে তাদের হয় ব্লগ লিস্টি আইন্যা দেন নাইলে চামচামীর নিদর্শন আইন্যা দেন। পরেরবারের লিস্টিতে যাতে আমরাও থাকতে পারি সেই মোতাবেক কাজ করুম। কেম্নে কার হাতে পায়ে ধৈরা মঞ্চের কাছে থাকা যায় অথবা পেপারে বক্তব্য দেয়া যায় সেই ব্যাপারেও প্রশিক্ষণ নিতে হবে বৈকি। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক আরো সুখী হোক এই দুইজন মানুষ যারা এখন বিখ্যাত হৈতে চায়। Ahasan Lenin আপাতত আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে সংষ্কার কাজ চলছে। কেউ বাদ পড়লে বুঝে নেবেন জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্টতা বা আপনার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় বাদ দেয়া হয়েছে। সামাজিকভাবেও রক্ষা নেই। বয়কট, প্রতিহত, প্রত্যাখ্যান। Osomapto Golpo কাল আমি ভার্সিটি যাচ্ছি !!! হ্যাঁ, আমারো পিছুটান আছে......আমি নিজেও বাবা, মা'র একমাত্র পুত্র সন্তান । আমারো ইচ্ছে আছে,আকাশ ছোঁয়ার ।আমার বাবা-মা, অনেক আগেই না করে দিয়েছিলেন,কাউকে যেন আমি ব্লাড না দেই, পৃথিবীকে ব্লাডের অভাব পড়েছে কি না, এ নিয়ে প্রায়ই বলেন । বন্ধুরাও ফাজলামি করে মাঝে মাঝে কিছু বলে । কিন্তু আমি তাদের কথা, মানি নি । সব বাধ্যতা আমায় মানায় না হয়ত । সব ভালবাসা পিছনে ফেলে কাল আমি যাব ক্লাশ করতে,ক্লাশ না হলে শাহবাগে গিয়ে বসে থাকবো । আর আমার কিছু হলে...... আমি খুব বেশী কষ্ট পাবো না । নিজেকে অন্তত অপর্দাথ মনে হবে না । ভাবতে পারবো, ছোট ছোট অনেক ভাল-বাসা পিছনে ফেলে বৃহৎ স্বার্থে দেশ- মাতার জন্য এগিয়ে যাওয়ার সাহস করতে পেরেছি । মনের কাছে বলতে পারবো, আমি সত্যি পরিবর্তন চেয়েছিলাম ! আমার ভাল-লাগার ভালবাসার অনেকগুলি পিচ্চি ভাগ্নে-ভাগ্নি আছে তারা বলতে পারবে : তাদের মামা সত্যি ভাল ছিল, সে শুধু ঘরে বসে ভাল ভাল কথাই বলতো না , প্রয়োজনে বাহিরে পা রেখে দেশের জন্য স্লোগান দিত, প্রতিকূলতা ভাঙ্গতে পারতো ! এটাই বা কম কিসের ? আর কিছু মানুষের কাছে হয়তো স্বার্থপর, পাগল, বেশী বুঝে , ফাল পারা, খারাপ, আওয়ামীলীগ, ফটর ফটর পাবলিক হিসেবে থাকবো !!!থাকনা এটুকু, পূর্নতার সুরতো কোথাও দিতে পারি না , এটা না থাকলে যে আরো বেমানান লাগতো ! আমিতো জানি, আমি ভালবাসার জন্য এসেছিলাম ! যদি মরি কখনো, তখন যেন আমার মুখে আকর্ণবিস্তৃত হাসি থাকে......এটুকুই আমার প্রার্থনা !!! Luthfullah Mahmud আজ সকাল থেকে শাহবাগ চত্বরে গান গাচ্ছিলাম আমরা। আমি ভোর ৬টার দিকে যখন মূল মঞ্চের মাঝে গেলাম, তখন দেখলাম আরিফ ভাই গান গাচ্ছেন চমৎকার গলায়! আমি আর রনী ভাই সকালে দুটো গান গাইতেই গীটারের তার ছিড়ে গ���ল। এই ভোরে আর গীটারের তার পাই কোথায়! রনী ভাই মূহুর্তের মধ্যেই কোথা থেকে যেন তার নিয়ে আসল। তারটা লাগাচ্ছিলাম, আবার ছিড়ে গেল! এদিকে মাইকে স্লোগান চলছে। স্লোগান দিচ্ছি আর তার বাঁধছি। আবার শুরু হল গান। আমরা সূর্য সারথীরা আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই গাইছি। আমাদের গান "জেগে উঠো, জেগে উঠি সবাই", এই পথ ছাড়বার নয়, গান আর স্লোগান, শাহবাগ আজ বাংলাদেশের হৃদয় এবং ৭১এর জাগরনী গান গুলো গাইলাম। আমাদের সাথে গাইলো মূল মঞ্চের সব মানুষ। সকাল দশটার আগে আমি যখন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য অন্য কয়েকজনের সাথে কাজ করছিলাম, রনি ভাই তখন ছায়ানটের শিল্পীদের সাথে সুর বেঁধে নিচ্ছিলো "আমার সোনার বাংলা"। এরপর সবাই মিলে গাইলাম আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। একসাথে গাইলো সারা বাংলাদেশ। জাগরনী মঞ্চে আগেও গান গেয়েছি, কিন্তু আজ আমার গানের জীবন সার্থক হল। আমি যদি জীবনে আর কোন গান নাও গাইতে পারি "কোন আফসোস থাকবেনা"। জাতীয় সংগীত গাইবার সময় বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছিলো। এই পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে প্রিয় গান "আমার সোনায় বাংলা", যেমন প্রিয় জায়গা আমার শহর, যেমন প্রিয় আমার মা, আমার প্রেমিকা। আমার হৃদয়ের সকল ভালবাসা দিয়ে গাইলাম এই পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর গানটি। গাওয়ার সময় ঠিকই আমার পাশে ছিল আমার প্রেমিকা, আমার মা, আমার প্রিয় বাংলাদেশ, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, গীটার, আমার আব্বুর দেয়া জাতীয় পতাকা, আমার প্রেমিকার দেওয়া আমার আরেকটি পতাকা, সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার সমস্ত ঘৃনা আর ক্রোধ। আমার বন্ধুদের অনেকেই তখন শাহবাগে ছিলেন না, কিন্তু আমি জানি তারা এই পৃথিবীর যেখানেই থাকুকনা কেন তখন আমার সাথে এই শাহবাগেই ছিল। বাংলা মা, তোমাকে অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেকঅনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেকঅনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক............অনেক অনেক বেশী ভালবাসি। তোমার বিরুদ্ধতাকারীদের প্রতি আমাদের চির ধিক্কার, তীব্র ঘৃনা থাকবে সবসময়। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হতেই হবে, হবেই হবে। ভাই হত্যার প্রতিশোধ নেবই নেব, নাহলে আমাদের বাঁচা হবে কলঙ্কময়। বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার যে দৃপ্ত দৃঢ় শপথ আমরা নিয়েছি তা পালন করেই বাঁচব, নাহলে মৃত্যু চাইবো নিজের। কারন আমরা যদি আমাদের প্রিয় জননী জন্মভূমিকে শত্রুমুক্ত না করতে পারি, তাহলে আমার মা বোন পিতা তাদের প্রতিটি নিশ্বাসের সাথে নিবে কলঙ্কের বিষ, আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে আমার যৌবন-দৃপ্ততা নিয়ে, আমার দেশের মহান মুক্তিযোদ্ধারা, বীর শহীদেরা হয়তো আমাকে ক্ষমা করে দিবেন জানি, কিন্তু আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবোনা কোনদিন। আমি সুদিন এনে দিতে চাই বাংলার প্রতিটি মানুষের জন্য, আমি আমার সাপাখি'র জন্য একটি সুন্দর-পরিচ্ছন্ন দেশ গড়তে চাই, কলঙ্ক মুক্ত স্বদেশ দেখাতে চাই আমার সন্তান কল্প নীল কে ERic Halder ব্লগার থাবা বাবা (আহমেদ রাজিব হায়দার শোভন) নাস্তিকই হোক বা আস্তিকই হোক আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্যের সাথে এর তেমন কোনো সামঞ্জস্যতা নেই । কারণ এই আন্দোলন ধর্ম নিয়ে নয়, বরং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জাতীয় উদ্দেশ্য তথা যুদ্ধাপরাধিদের সঠিক বিচার নিয়ে । তাই আমরা যদি সোচ্চার ব্যক্তিবর্গ হই তবে আমরা ধর্মব্যবসায়িদের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করবো এবং অবশ্যই ধর্মের আসল উদ্দেশ্য বজাই রাখবো । “রাজাকারদের ফাসি চাই”.......................................... Omi Rahman Pial একাত্তরে দৈনিক সংগ্রামের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো একটা বই আছে (আমার টাইমলাইনে লিংক পাবেন)। তাদের খবরগুলো পড়লে আতঙ্ক নিয়ে আবিস্কার করবেন কিভাবে তারা বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড ঘটাতে উস্কানি দিয়েছিলো। একই ভাবে দৈনিক আমার দেশ তার জন্মলগ্ন থেকেই মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর বিদ্রোহে উস্কানি, সেনা বিদ্রোহের উস্কানি দিয়েছে তারা। এবার দিলো সাম্প্রদায়িক দাঙার উস্কানি। নৃশংসভাবে খুন হওয়া ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের (থাবা বাবা) নামে হত্যাকান্ডের দিনই একটা ব্লগ খোলা হয়েছিলো মারাত্মক উস্কানিমূলকভাবে ধর্মকে আক্রমণ করে। এই ব্লগটি খুনী চক্রের কাজ, কারণ থাবার টাইমলাইনে এমন কোনো ব্লগের অস্তিত্ব নেই। আমার যদি একটা পার্সোনাল ব্লগ থাকেই, আমি নিশ্চয়ই সেটা আমার টাইমলাইনে রাখবো সবাইকে দেখাতে। কিন্তু সেটা হয়নি। অথচ আমার দেশ সেই নকল ব্লগের পোস্টগুলো হুবহু কপি করে দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকারের উচিত হবে এই জঘন্য মিথ্যাচারের খবরটি বাজারে আসার আগেই সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করা এবং তাদের অনলাইন ব্লক করা। অনেক হয়েছে পাকিস্তানের দালালী, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়া, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। খন্দকার মোশতাকের আপন ভাগিনা জনাব মাহমুদুর রহমান, এইবার আপনি ক্ষান্ত হোন। নাইলে তরুণ প্রজন্ম পাছার ছাল রাখবে না। Zulfiqar Rahaman Saikat রাজীব হত্যার পর থেকেই গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে লেজে গোবরে অবস্থা। দেখতে পাচ্ছি অজ্ঞ! মানুষদের শাহবাগের মাটি কামড়ে পড়ে থাকা অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে বিজ্ঞ মানুষদের নানা যুক্তি খন্ডন... সুশীল কথা বার্তা, লাভ লোকসানের হিসাব... আমি নিশ্চিত ৭১ এ যদি এই ২ দলকে ছেড়ে দেয়া হতো তাহলে ওই অজ্ঞ মানুষদের দলই বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারতো। মাজাভাঙ্গা বিজ্ঞদের দিয়ে কিচ্ছু হতো না। ৭১ এ কিন্তু তাইই হয়েছে। যেই তরুন প্রজন্ম নিয়ে এতো গর্ব করা হচ্ছে সেটায় বিজ্ঞদের কোন ভাগ নেই। সেটা ওই মাটি কামড়ে পড়ে থাকা মানুষগুলোর জন্যই শুধু। আমি জানি বিজ্ঞবানেরা বলবেন তাদের সেই ভাগের দরকার নেই। ভাগ নিয়ে লাভ কি? তারা তদের মত নিরপেক্ষ আছে , ঘোমটা মেরে বসে থাকবে...... সুযোগ বুঝে মন্দের ভাল দেখে সুবিধামতন জায়গায় মিশে যাবে! :P শিল্পী প্রীতমের মত আমিও তাদের বলি, তারা ওই আন্দোলনে ভিক্ষা করে উপার্জন করা ৩৫০ টাকা দিয়ে শামিল হওয়া ভিখিরির চেয়েও নীচ। Abu Sayeed Nishan ভালোবাসা আছে বলেই আমরা এখনো বেঁচে আছি। ভালোবাসা আছে বলেই আমরা একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসি। ভালোবাসা আছে বলেই আমরা এখনো দেশের জন্য লড়ে যাচ্ছি। ভালোবাসাই একমাত্র অনুভূতি যা মনের ভিতরটাকে পরিশুদ্ধ করে। একে অপরের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করে। একটু পিছিয়ে দেখলে দেখবো, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ; মাতৃভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসাই প্রথমে প্রতিবাদের ডাক দেয়! ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেশের প্রতি ভালোবাসাই এক সাথে করেছে কৃষক, শ্রমিক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষকে! ১৩ এর এই রাজাকার নিধন আন্দোলনও শুরু হয় ভালোবাসা থেকেই। প্রতিটা আন্দোলনই ভালোবাসা থেকেই শুরু হয় যা পরবর্তীতে একটা সিস্টেমে পরিচালিত হয়। আগামীকালের হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে সর্বস্তরের মানুষ। স্কুল, কলেজ চলবে। দোকান পাট খুলবে। গাড়িও চলবে তার আপন গতিতে। ভালোবাসাই মানুষের মধ্যে মানুষের একাত্মতা তৈরি করে। জয় ভালোবাসার জয়! Nahidul Islam Rumel ইশার নামাজ পড়ে বাজারে একটু ঢু মারতে গেলাম । গাজর ও টমেটোর দাম খুব কম । মাত্র ২০ টাকা কেজি । প্রিয় দুই সবজির এমন নিম্নমুখি অবস্থান দেখে নিজের মধ্যে সবজি প্রেমের ঘণ্টা বাজতে শুরু করল । এমন সময় একজন কে বলতে শুনলাম , শাহবাগে যা হচ্ছে এটা নিয়ে আমার আপত্তি নাই , কিন্তু কাল থাবার মরার পর তার পোস্ট পড়ে মন উঠে গেলো । উত্তর দেবার আশায় বললাম , আঙ্কেল একটা গল্প শুনেন , এক মুসলিমের আখের জমিতে দুই চোর চুরি করতে নামছে । ধরা খাইছে মালিকের কাছে । মালিক দুই চোরকে একা পেদাতে পারবে না বুঝে তাদের জিজ্ঞাসা করল , তোরা কোথা থেকে আসছিস ?? একজন বলল , আমি পাশের গ্রামের নাম কামরুল , আর ও একটু দুরের গ্রামের হরিলাল নাম ও হিন্দু । মালিক হিন্দু চোরের দিকে তাক করে বলল , তোর পাশের জন না হয় আমার পাশের গ্রামের মানুষ , তার উপর আবার মুসলমান । আমার জাতি ভাই , সে আমার জমিতে আখ খাইতেই পারে । ব্যাটা , তুই বিধর্মী , হিন্দু হয়ে আমার জমিতে খাইলি ক্যা ??? মুসলিম চোর ভাবল , যাক বাবা বাইচা গেলাম । এই বলে , মালিক ও মুসলিম চোর দুইজনে হিন্দুকে পেদাতে লাগলো । হিন্দু চোর আধমরা হবার পর , মুসলিম চোরের দিকে তাকিয়ে এবার মালিক বলল , ও না হয় হিন্দু । তুই মুসলিম হয়ে চুরি করলি ক্যা ??? এই বলে মুসলিম চোরকে প্যাঁদানো শুরু করল মালিক । আপাতত , দেশের দুই দাঙ্গাবাজ কে প্যাঁদানো শুরু হয়েছে । আগে পুরানো দাঙ্গাবাজ জামাত শিবির কে প্যাঁদানো শেষ হোক তারপর নব্য দাঙ্গাবাজদের প্যাঁদানো হবে । যতক্ষণ একপক্ষকে নিধন শেষ না হয় ততক্ষন এক থাকতে হবে । লোকটি আপাতত চুপ । বললাম , এই আন্দোলন এখন আর নেতাগিরির মাঝে নাই । এটা যে এখন জনগনের আন্দোলন তার প্রমাণ হল , ৩ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত আন্দোলনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া নেতাদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জনগন মাঠে থেকেছে । এদের উঠাতে পারে নাই । এখন কেউ যদি মনে করে , রাজাকারদের বিচার হলেই জনতা মাঠ ছেড়ে উঠে আসবে , তবে চরম ভুল । প্রতিদিন , ফেসবুকে অনেক ইভেন্ট হয় এসব আন্দোলন নিয়ে । এটাও হটাত শুরু হয়েছে । বলা যায় না এখান থেকেই হয়ত কিবা হটাত আর এক আন্দোলন থেকে জনতা গত ৪২ বছরের অভিশাপ মুক্তির জন্য মাঠে নামবে । তখন সরকার বা বিরোধীদল কেউই কিছু করতে পারবে না । ইহার বড় কারন হল , এই আন্দোলনে দেশের আপামর জনতা এবং সংগঠন একাত্মতা জানিয়ে দিয়েছে । সরকার চাইলেও এদের আগামী যে কোন আন্দোলনে হাত উঠাতে পারবে না । কবে কখন যে কার গদিতে এরা আগুন ধরায় বলা যায় না । Morshedul Quayyum Maraz বিদেশী সাংবাদিক : ভাই শাহবাগ যাবে... টেক্সি ড্রাইভার : কোন শাহবাগ... বিদেশী সাংবাদিক : বলো কি... তুমি শাহবাগ চিনো না... আমি বিদেশ থেকে চলে আসলাম শাহবাগ কাভার করতে... আর তুমি... টেক্সি ড্রাইভার : ভাই আমি কইসি... কোন শাহবাগে যাইবেন... আপনেরা পুরা কথা না শুইনাই বেশি মাতাব্বুরি করেন কেন... বিদেশী সাংবাদিক : এসব তুমি কি বলো... বাদ দাও... বাদ দাও... কোন শাহবাগ মানে... বাংলাদেশে কয়টা শাহবাগ আছে... টেক্সি ড্রাইভার : ভাই পুরা বাংলাদেশই এহন শাহবাগ... পাড়ায় পাড়ায়... মহল্লায় মহল্লায়... গ্রামে গ্রামে... এমনি কি শুনছি... বিদেশেও নাকি শাহবাগ হইছে বহুত জায়গায়... বিদেশী সাংবাদিক : বুঝছি বুঝছি... আমি ঐ শাহবাগে যাইতে চাইতাছি... যেখানে রাস্তা বন্ধ কইরা তোমরা আইন না মাইনা কিছু মানুষরে ফাঁসি দিতে চাও... টেক্সি ড্রাইভার : কি কইলেন আমরা আইন মানি না... বিদেশী সাংবাদিক : সেই রকমই তো শুনছি... টেক্সি ড্রাইভার : আমরা আইন না মানলে... এতোক্ষণে রাজাকাররা কি বাইচা থাকতো... আর আপনেরা যে কত আইন মানেন তা তো আমরা জানিই... ইরাক... আফগানিস্তানে আপনেরা কত শিশু পোলাপান মারছেন তার কোনো হিসাব আছে আপনাগো কাছে... আমরা আপনাগো কাছে আর আইন শিখতে চাই না... বিদেশী সাংবাদিক : আচ্ছা বাদ দাও বাদ দাও... চল শাহবাগ চলো... টেক্সি ড্রাইভার : না আমি যামু না... বিদেশী সাংবাদিক : কেন যাবা না... আমি তোমারে ডলার দিমু... টেক্সি ড্রাইভার : ভাই ডলারের লোভ মন্ত্রীগো দিয়েন... আমরা জনতা ডলার খাই না... এখন একটাই দাবী রাজাকারের ফাঁসি... আর যারা রাজাকারের বন্ধু... তাগো লগে আড়ি... ভাই দুরে গিয়া মরেন... বিদেশী সাংবাদিক : কস্ কি... Omi Azad আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম: যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে শাহবাগ আন্দোলনে তরুণেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মন্তব্য: ভাইজান, বক্তব্য দেবার সময় অনুগ্রহ করে একটু বিচার বুদ্ধি ব্যবহার করুন, নাহলে মানুষ নির্বোধ বলবে!