
ছবি সংগৃহীত
নিজেকে তৈরি করুন, চাকরিই আপনাকে খুঁজবে!
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০৯:৪০
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০৯:৪০
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ০৯:৪০
(প্রিয়.কম) বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে চাকরির জীবনে যারা প্রবেশ করতে যাচ্ছেন, তারা একটা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। তাদের একটা বড় অংশ চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। আবার অন্য অংশটি সময়মতো ঠিকই চাকরি পেয়ে যান। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই দুই অংশের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট তফাৎ। অথচ আপনি নিজেও সফলদের তালিকায় থাকতে পারেন নিজে যদি একটু কৌশল অবলম্বন করে চলেন কিংবা আপনার চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে, চাকরি জীবনে প্রবেশের সময় বড় পিচ্ছিল পথ। এসময় যে কেউ পিছলে যেতে পারে। আর আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত রাখলে সহজেই পিচ্ছিল পথটুকু পাড়ি দেওয়া সম্ভব। এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনি নিজেকে তৈরি করবেন।
লক্ষ্য নির্ধারণ ও সে অনুযায়ী নিজেকে তৈরি
স্নাতক শেষ করে নয়, আরও আগে থেকেই আপনার চাকরির লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার সময়টা এজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয়ে বা কোন প্রতিষ্ঠানে, কি ধরণের চাকরি আপনি করতে আগ্রহী তা নির্ধারণ করে ফেলুন। এবার সেই অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলুন। এসময় নিজের যোগ্যতা, দুর্বলতা, পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে হবে। যার যে বিষয়ে বিশেষ পছন্দ আছে সে বিষয় সম্পর্কে আগেই খোঁজ-খবর নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। নিজ নিজ পছন্দ এবং যোগ্যতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে হবে।পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ
নিজের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ বা উপস্থাপন করতে হবে। এই প্রয়োগের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মেধা ও কাজের ক্ষমতা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণে যে যত এগিয়ে থাকবে, চাকরির পাওয়ার ক্ষেত্রের সে ততো এগিয়ে থাকবে।সংশ্লিষ্ট পেশা বা চাকরি সম্পর্কে খোঁজ রাখা
যেখানেই চাকরির দরখাস্ত করুন না কেন অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পেশা বা চাকরি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খোঁজ খবর রাখবেন। সবচেয়ে বিবেচ্য বিষয় হলো সেটা আপনার জন্য কতটা উপযোগী তা যাচাই করবেন। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রার্থী বাছাইয়ের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।নেটওয়ার্কিং তৈরি বা যোগাযোগ রাখা
চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আর একটি বিষয় হলো নেটওয়ার্কিং। নিজস্ব কোনো সুপ্ত মেধা থাকলে তার বিকাশ ঘটিয়ে, বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে যারা আগে চাকরি পেয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই, শিক্ষকদের সাহচর্য এবং পরিচিতদের যারা চাকরিজীবী তাদের সাহচর্যে যেতে হবে। তাদের কাছে ‘জীবনবৃত্তান্ত’ জমা দিয়ে রাখতে হবে।চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানসিকতা
সবসময় চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট চাকরি বা পেশার বিভিন্ন দিক বিচার-বিবেচনা করে ঝুঁকি নিতে হয়। চাকরিতে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেয়ার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ অনেকসময় মানসিক দৃঢ়তা ও সাহস বড় বড় সাফল্য এনে দেয়। কিন্তু চ্যালেঞ্জ না নিয়ে বসে থাকলে কখনই সফল হওয়া যাবে না।সিদ্ধান্তহীনতায় সুযোগ হারানো চলবে না
সুযোগ সবসময় আসে না। আর সময়মতো সুযোগ চিনে নেওয়ার ক্ষমতাও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বিচক্ষণতা। যারা এক্ষেত্রে দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারাই ভালো ভালো অফারগুলো ভোগ করে। বলাবাহুল্য সিদ্ধান্তহীনতায় অনেক সুযোগ নষ্ট হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই অক্ষমতা কারো কারো ক্রমেই অভ্যাসে পরিণত হয়।হতাশ হওয়া যাবে না
হতাশা অন্যান্য যোগ্যতাকে স্তিমিত করে দেয়। তাই হতাশ হওয়া যাবে না কোনো অবস্থাতেই। কারণ বাস্তব জগৎ যেমন কঠিন তেমনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দু একবার ব্যর্থ হয়ে হতাশ হলে চাকরি কপালে জুটবে না। তবে চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে ব্যবধানটা অবশ্যই অনুধাবন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই বাস্তব-সম্মত প্রত্যাশা থাকা উচিত। আকাশ কুসুম কল্পনা যেমন সম্ভব নয় তেমনি তা করাও উচিত নয়। প্রথমেই ফুল টাইম চাকরি না পেলে পার্ট টাইম চাকরি পেলেও করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সুবিধা সেটা হলো হতাশা কিছুটা কাটবে। তবে তার চেয়েও বড় কথা অভিজ্ঞতা অর্জিত হবে, যা একজন প্রার্থীর চাকরির জন্য বিশেষ প্রয়োজন।- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- শিক্ষা
- চাকরি
- চাকরি প্রার্থী
- নিজেকে তৈরি
২২ মিনিট আগে
জাগো নিউজ ২৪
| আমেরিকা / যুক্তরাষ্ট্র
৪৯ মিনিট আগে
২২ মিনিট আগে
ঢাকা পোষ্ট
| ঢাকা মেট্রোপলিটন
৫৩ মিনিট আগে
প্রথম আলো
| ঢাকা মেট্রোপলিটন
১ ঘণ্টা, ৮ মিনিট আগে
১৩ ঘণ্টা, ২৪ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ৪১ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ৪৩ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ৫০ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ৫৬ মিনিট আগে