গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, আমলা ও রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর অন্তত ১০ জন সাবেক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত চালাচ্ছে সংস্থাটি। কিছু অভিযোগে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। পাশাপাশি অনেকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, দপ্তর ও অধিদপ্তরে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা রয়েছেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে তাদের অনেকের হদিস মিলছে না। তাদের ব্যবহৃত ফোন নম্বর ও হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি।
দুদক বলছে, অভিযোগের প্রতিটি ঘটনায় দুদকের অন্তত তিনজন করে কর্মকর্তা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন। তাদের অনেকের সঙ্গে আলাপের চেষ্টা করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। তবে তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাননি কেউই।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেসব অভিযোগ এখন অনুসন্ধানাধীন, সেগুলোর কার্যক্রম নিয়মমাফিক এগোচ্ছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন।
‘অনুসন্ধান শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা দল কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।”