
ছবি সংগৃহীত
কার্ল মার্কসের জন্মদিনে অবাক করা ৯ তথ্য
আপডেট: ০৫ মে ২০১৪, ১৬:০৮
আজ কার্ল হাইনরিশ মার্ক্স-এর জন্ম দিন। একজন প্রভাবশালী জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্ক্সবাদের প্রবক্তা হিসেবে তিনি সবার কাছে পরিচিত। অর্থনীতিতে কার্ল মার্কস প্রথম দেখিয়েছেন শ্রম এবং সম্পদের সম্পর্ক। অর্থনীতির অনেক কাজেই তার দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। খ্যাতির চূড়ায় তিনি কারো কাছে শয়তান আবার কারো কাছে ত্রাতা। তবে তার তত্ত্ব বিংশ শতকে বেশ প্রভাবশালী ছিল। তবে পতনটাও ঐতিহাসিক! তারপরও তাঁর মতবাদের অনুসারী এখনও আছে অনেকেই। তা যাইহোক, আজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু অন্যরকম তথ্য জানা যাক! ১। তাঁর একটা বিখ্যাত উক্তি আছে, আমি যা জানি তা হল, আমি মার্কসবাদী নই ২। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি খুব মিশুক ছিলেন। তাঁর বাবা জামিন নিতে হয়ছিল কারন ভার্সিটিতে থাকাকালীন তিনি ঋণের পাহাড় গড়ে তুলেছিলেন ৩। তিনি এমন এক বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যে বংশের পূর্বপুরুষেরা রাব্বি ছিলেন।লুথারীয় সংখ্যালঘু হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা লাভের আশায়ই তিনি এই ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। অবশেষে হন নাস্তিক। নিজে নাস্তিক হবার কারনে তিনি ভার্সিটির শিক্ষক হতে পারেননি ৪। শ্রমজীবীদের নিয়ে সারা জীবন সংগ্রাম করলেও নিজে কোনদিন শ্রমনির্ভর কাজ করেননি ৫। লন্ডনে নির্বাসিত হবার পর প্রচণ্ড হাতের লেখা খারাপ হবার কারনে সেখানকার রেলওয়ের চাকুরী হারিয়েছিলেন ৬। এক প্রুশীয় ব্যারনের শিক্ষিত কন্যা জেনিকে তিনি বিয়ে করেন। লেখার কারনে জার্মানি থেকে বিতাড়িত হবার পর প্যারিসে যান। সেখান থেকে লেখার কারনে বিতাড়িত হবার পর লন্ডন আছেন। এই লন্ডনে তিনি ছিলেন ৩০ বছর। তখন তাঁর সন্তান ছিল ৬ সন্তান। কাজের মেয়ের গর্ভেও জন্ম নিয়েছিল তাঁর এক সন্তান। খুব মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন তিনি। অতি দারিদ্রতায়, অপুষ্টিতে তাঁর ৪ সন্তান এবং স্ত্রী মারা যায়। এরপর তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আপনারা জানেন যে, আমি আমার জীবন বিপ্লবী কাজে উৎসর্গ করেছি। আমাকে যদি আমার জীবনটা আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়, তবে আমি যা করেছি তাই করতাম, তবে বিয়ে করতাম না! ৭। অনেক কঠিন রোগে তিনি ভুগতেন। মাঝে মাঝে ফোঁড়া উঠত যেগুলো চলে না যাওয়া পর্যন্ত তিনি কোন কাজই করতে পারতেন না ৮। ১৮৮৩ সালের ১৪ই মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় কার্ল মার্কসের কোন জাতীয়তা অর্থাৎ দেশ ছিল না, তাকে ১৭ই মার্চ লন্ডনের হাইগেট সেমিটারি-তে সমাহিত করা হয়। ৯। তাঁর সমাধি ফলকে দুটি বাক্য লেখা আছে। প্রথমে লেখা, কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোর শেষ লাইন "দুনিয়ার মজদুর এক হও" (Workers of all land unite), এরপরে লেখা ১১তম থিসিস অন ফয়ারবাখ-এর এঙ্গেলীয় সংস্করণের বিখ্যাত উক্তি, "এতোদিন দার্শনিকেরা কেবল বিশ্বকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাই করে গেছেন, কিন্তু আসল কাজ হল তা পরিবর্তন করা।" (The Philowophers have only interpreted the world in various ways - The point however is to change it)
- ট্যাগ:
- লাইফ
- জীবন চর্চা