
ছবি সংগৃহীত
এসএমএস আসলে কতটুকু নিরাপদ?
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১২:১০
(প্রিয় টেক) এসএমএস এর মাধ্যমে চ্যাট করা আজকাল নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন আমরা এসএমএস করে দৈনন্দিন কথাবার্তা ছাড়াও পাসওয়ার্ড এর মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একজন আরেকজন কে জানাচ্ছি। আমাদের দেশের ব্যাংক, বীমা কোম্পানি থেকে শুরু করে সরকারী সংস্থা যেমন বিআরটিএ ও এসএমএস এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের স্পর্শকাতর তথ্য জানাচ্ছে। তবে এই এসএমএস কি আসলেই সুরক্ষিত? চলুন দেখা যাক। এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমটি হ্যাক করা সম্ভব হলেও সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে ফোনে পৌছানো মেসেজগুলোকেই বদলে নেয়া। কাউকে ঝামেলায় ফেলতে হলে তার নাম্বার থেকে হুমকিমূলক মেসেজ এসেছে দাবী করার মত সহজ কাজ আর নেই। হয়ত ভাবছেন মেসেজ নাহয় লিখলাম, কিন্ত সেই নাম্বার থেকে রিসিভ করেছি তা দেখাবো কিভাবে? সেটিও ভয় পাইয়ে দেয়ার মত সহজ কাজ। ফোনের মেমরিতে এসএমএস সাধারনত MySQL এর মত কোনও ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে, এমনকি অনেক সময় থাকে প্লেন টেক্সট ফাইল হিসেবেও। আর ফোনের প্রসেসিং ক্ষমতা কম হবার ফলে এর জন্য তেমন কোনও এনক্রিপশনও ব্যবহার করা হয়না। (বলা যেতে পারে, আজকের স্মার্টফোনের প্রসেসর অনেক ক্ষমতাশীল, তাহলে এনক্রিপশন করা হয়না কেন? ভূলে গেলে চলবেনা এসএমএস প্রটোকলটি সবচাইতে দূর্বল ফোনেও যাতে ব্যবহার করা যায় সেভাবেই তৈরি।) অতএব কোনওভাবে মেসেজিং ডাটাবেসটি খুঁজে বের করতে পারলে তা সহজেই ডাটাবেস এডিটরের মাধ্যমে বদলানো সম্ভব। অর্থাৎ কোন নাম্বার থেকে কি মেসেজ কবে এসেছে বা গিয়েছে তা এডিট করে আবার ফোনে ঢুকিয়ে তা থেকে “অমুক আমাকে হুমকি দিয়েছে” দাবী করা খুবই সম্ভব। নোকিয়া পিসি সুইট, আইটিউনস বা স্মার্টফোনের অ্যাডভান্সড অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ ডাটাবেজটি বের করা খুবই সম্ভব। তবে কেউ এভাবে এডিট করে হুমকির মেসেজ পেয়েছে বলে দাবী করছে কিনা তা প্রমাণ করাও কঠিন নয়। প্রতিটি মেসেজ কোন নাম্বার থেকে কখন এসেছে তার একটি লগ সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে থাকে। তবে যদি সে নম্বরের থেকে যদি আসলেই সেই সময় একটি মেসেজ এসে থাকে এবং সেই মেসেজটিই এডিট করা হয়, তাহলে প্রমাণ করা একটু কঠিন হয়ে দাড়ায়। সেক্ষেত্রে ডাটাবেজটি শেষ কবে কিসের থেকে এডিট করা হয়েছে তা বের করে প্রমাণ করা সম্ভব। এটি আজ লেখার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি। আপনার মূল্যবান ব্যাংক পিন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর এভাবে যাতে চুরি হয়ে না যায় সেজন্য এসএমএস এর ওপর ভরসা না করাই ভালো। ভবিষ্যতে এসএমএস এর আরও সিকিউরিটির ঘাপলা নিয়ে আরো বিস্তারিত লেখার প্রত্যাশা রইল।