ছবি সংগৃহীত

যাদের জাকাত দেয়া যাবে এবং যাদের দেয়া যাবে না

মাওলানা রোকন রাইয়ান
লেখক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০১৬, ০১:৫৪
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৬, ০১:৫৪

জাকাত কারা নিতে পারবে বা কাদের দিবেন বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। জাকাতের উদ্দেশ্যই হলো দরিদ্র দূর, কিন্তু সেটা না হয়ে জাকাত যদি অপাত্রে যায় তবে সেই জাকাতে উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে না। আসুন জেনে রাখি কাদের জাকাত দেয়া যাবে আর কাদের যাবে না। জাকাত যাদের দেয়া যাবে ১. ফকির : ফকির মানে অর্থ নিছক ভিক্ষুক নয় বরং সেসব অভাবগ্রস্থ পরিবার, যাদের কাছে সন্তান সন্ততির প্রয়োজন পূরণ করার মত সম্বল নেই অথবা যাদের কাছে জাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ অর্থ সম্পদ নেই। যেমন, বিধবা, বাস্তুহারা, রোগী, দুর্বল-অসহায়। ২. মিসকিন : মিসকিন সেসব অভাবগ্রস্থ, সম্ভ্রান্ত দরিদ্রদের বুঝায় যারা আত্মমর্যাদা ও সম্মানবোধের কারণে কারও কাছে স্বীয় অভাব ও দারিদ্রের কথা প্রকাশ করে না অথচ কঠোর শ্রম ও প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও নিজেদের অন্ন-বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে না। ৩. জাকাত বিভাগের কর্মচারী ও জাকাত আদায়কারী। ৪. নও মুসলিম : নও মুসলিমদের পুনর্বাসনের জন্য জাকাতের সম্পত্তি প্রদান করা যায়। ৫. বন্দী ও দাস মুক্তির জন্য জাকাত আদায় করা যায়। ৬. ঋণগ্রস্ত : ঋণগ্রস্থ ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের জন্য জাকাত দেয়া যাবে। ৭. আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধরত মুজাহিদদের। ৮. এতিম : এতিম, যদি সে অসহায় হয় তবে জাকাত প্রদান করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো এতিমখানার দরিদ্র তহবিলে গরিব-এতিমদের দেয়াই উত্তম। ৯. বিপদগ্রস্থ মুসাফিরকে জাকাত প্রদান করা যাবে। জাকাত যাদের দেয়া যায় না ১. অমুসলিমকে জাকাত দেয়া যায় না। ২. মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনের জন্য বা মৃত ব্যক্তির ঋণ ইত্যাদি পরিশোধ করার জন্য জাকাতের অর্থ দেয়া যায় না। ৩. সরকার যদি জাকাতের মাসআলা অনুযায়ী সঠিক স্থানে জাকাতের অর্থ ব্যয় না করে, তাহলে সরকারের জাকাত ফান্ডে ও জাকাত দেয়া যাবে না। ৪. জাকাত দ্বারা মসজিদ মাদরাসার স্টাফকে বেতন দেয়া যায় না। [ফাতওয়ায়ে দারুল উলূম: ৬/২৯২, ২১২,২১৩,২৩৮ আহসানুল ফতওয়া: ৪/৪৬৯] মাওলানা রোকন রাইয়ান সহ-সম্পাদক, ইসলামি চিন্তার কাগজ