উইকেট পেয়ে উচ্ছ্বসিত কাজী অনিক ইসলাম। ছবি: আইসিসি

১৬০ কিলোমিটার বেগে বল করলেন বাংলাদেশের অনিক!

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:৩২
আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০০:৩২

(প্রিয়.কম) পরিসংখ্যান বলে ওয়ানডে ক্রিকেটের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম বলটির মালিক পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেপটাউনে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার। দুরন্ত গতিময় সেই ডেলিভারির পর থেকে 'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস' নামে ক্রিকেটবিশ্বে পরিচিত হন তিনি। শুক্রবার ঠিক তেমনই এক গতিময় বল করেছেন বাংলাদেশে বাঁহাতি পেসার কাজী অনিক ইসলাম। মিডিয়াম পেসার হয়েও চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি!

নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনে তখন বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে ভারত। স্কোরকার্ডে এক উইকেটে ভারতের ১০২ রান। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে স্ট্রাইকে ছিলেন ভারত অধিনায়ক পৃথিবী শ। বোলিংয়ে ছিলেন অনিক। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে অনিকের করা সেই গুড লেন্থ ডেলিভারি পৃথিবী সোজা ব্যাটে খেলতে যান। গতিময় সেই ডেলিভারি ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উপড়ে দেয় অফ স্টাম্প। সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে মাতেন ১৮ বছর বয়সী অনিক। তবে অবাক করেছে তার বলের গতি। টেলিভিশনের স্কোরকার্ডে সেই ডেলিভারির গতি দেখা গেছে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার বা ঘন্টায় ৯৯ মাইল! এটা স্পিডগানের ভুল নাকি টিভির স্কোরকার্ডের ত্রুটি তা এখনও জানা যায়নি। এই ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। 

দুরন্ত গতিময় সেই ডেলিভারিতে পৃথ্বী শ'কে বোল্ড করে অনিকের উদযাপন। গোল করে চিহ্নিত করা আছে সেই বলের গতি। ছবি: সংগৃহীত

দুরন্ত গতিময় সেই ডেলিভারিতে পৃথিবী শ'কে বোল্ড করে অনিকের উদযাপন। চিহ্নিত করা আছে সেই বলের গতি। ছবি: সংগৃহীত

কারণ এই মিডিয়াম পেসারের গতি সাধারণত ১২৫-৩০ কিলোমিটারের মধ্যে উঠানামা করে। সেখানে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বল করা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপারই বটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন বাংলাদেশের অনিকের সেই ডেলিভারি। যুবাদের ক্রিকেট ইতিহাস ঘাটলে এমন গতি সম্পন্ন ডেলিভারি একটিও পাওয়া না। 

ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যুব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের ২৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশি যুবাদের ইনিংস। এই ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৪২ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন অনিক।

বড়দের ক্রিকেটে শোয়েব আখতারের গতির রেকর্ড কেউ টপকাতে না পারলেও কাছাকাছি যেতে পেরেছেন বেশ কয়েকজন। সেই তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার চার ফাস্ট বোলার ব্রেট লি, শন টেইট, মিশেল স্টার্ক ও জেফ থমসন। টেইট ও ব্রেট লি ছাড়া বাকি দুজন কেউ ছুঁতে পারেননি ১৬১ এর কোটা। ২০০৫ সালে নেপিয়ারে ঘন্টায় ১৬১.১ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন সাবেক ডানহাতি ফাস্ট বোলার ব্রেট লি। এর পাঁচ বছর পর ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ১৬১.১ কিলোমিটার বেগে বল করেন সাবেক ডানহাতি অজি ফাস্ট বোলার টেইট। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ওয়াকা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬০.৪ কিলোমিটার গতির আগুনের গোলা ছোড়েন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মিশেল স্টার্ক।

প্রিয় স্পোর্টস/ শান্ত মাহমুদ