
বিয়ের প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত।
ঋণের বিয়ে আপনাকে দরিদ্র করে দিচ্ছে না তো?
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:০৬
(প্রিয়.কম) ‘দারুণ আবহাওয়ায় আপনাকে একটি ছাতা ধার দেওয়াই ব্যাংকের আসল কাজ। যখনই বৃষ্টি শুরু হবে, তখনই ঐ ছাতাটি ব্যাংক ফেরত নিয়ে নিতে চাইবে’- এ উক্তিটি মার্কিন কবি ‘রবার্ট ফ্রস্ট’এর। তাঁর এ উক্তির বাস্তবতা মাঝে মধ্যে উপলব্ধি করা যায় খবরের কাগজ পড়ে; বিশেষ করে বিয়ে করে ঋণ নিয়ে গলদঘর্ম হওয়ার সংবাদে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নয়টি বেসরকারি ব্যাংক বিয়ের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। কিছু ব্যাংক এই ঋণকে সরাসরি ‘বিয়ে ঋণ’ বললেও কিছু ব্যাংক আবার ‘ব্যক্তিগত’ ঋণ নামে আখ্যায়িত করছে। কিছু শর্ত আরোপ করে এ ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদান করে থাকে। যেমন, কোনো ব্যক্তি যদি চাকরিজীবী হয় এবং মাসে যদি ১০ হাজার টাকা রোজগার করে, সেক্ষেত্রে তিনি বিয়ের জন্য ঋণ পাবেন। ব্যক্তি যদি চাকরিজীবী না হয়ে আত্ম-কর্মসংস্থান করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে তার মাসিক আয় হতে হবে ন্যূনতম ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। মূলত ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা 'বিবাহ ঋণ' পেতে পারেন। যদি বিবাহইচ্ছু ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার কোনো অভিভাবক এ ঋণ নেন, সেক্ষেত্রে বয়সসীমা ৬০ বছর। সর্বনিম্ন তিন লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। ঋণ পরিশোধের সময় দিচ্ছে তিন থেকে পাঁচ বছর। আর সুদের পরিমাণ? সেই সংখ্যা এখনও 'ডাবল ডিজিট'। এ যাবত পাওয়া তথ্যানুযায়ী সর্বনিম্ন সুদের হার ১২ শতাংশ আর সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ঋণ নিয়ে বিয়ে করার পর আপনার নতুন দাম্পত্য জীবন অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়বে না তো?
একটু হিসেব কষা যাক। ধরুন আপনি চাকরিজীবী, মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পান। আপনি সর্বনিম্ন ঋণ গ্রহণ করলেন, অর্থাৎ- ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা ‘বিয়ে ঋণ’ নিলেন। বার্ষিক সুদের হার যদি সর্বনিম্ন ১২ শতাংশও হয়, তাহলে তিন লাখ টাকার বার্ষিক সুদ কত আসে? সুদ আসে ৩৬ হাজার টাকা, যা আপনার প্রায় সাড়ে তিন মাসের বেতনের সমান। তাহলে, বিয়ের প্রথম বছর পর শুধু সুদের পেছনেই গেল আপনার সাড়ে তিন মাসের উপার্জন। এছাড়াও সব ব্যাংকে সুদের হার এক নয়। ১২ শতাংশ হচ্ছে কেবলমাত্র ন্যূনতম সুদের হার। এইচএসবিসি ব্যাংক থেকে এ ধরনের ঋণ নিলে বার্ষিক সুদের হার দাঁড়াবে ১৯ শতাংশে। ব্যাংক এশিয়া দিচ্ছে বার্ষিক ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সুদে, আইএফআইসি ব্যাংক দিচ্ছে ১৬.৫ শতাংশে, ডাচ বাংলা ব্যাংক দিচ্ছে ১৭.৫ শতাংশে, ইস্টার্ন ব্যাংক দিচ্ছে ১৫ শতাংশে, ট্রাষ্ট ব্যাংক চাকরিজীবীদের ঋণ দিচ্ছে ১৪.৫ শতাংশ সুদে এবং ব্যবসায়ীদের ১৭ শতাংশে। কিছু ব্যাংক তো আবার খাজনার সঙ্গে বাজনাও আদায় করে। এ ধরনের ঋণ গ্রহণ করতে হলে ‘প্রসেসিং ফী’ হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কেটে নেয় ঋণের পরিমাণের ২ শতাংশ এবং সিটি ব্যাংক নেয় দেড় শতাংশ। ব্যাংকগুলো এটিকে ‘ঋণ সুবিধা’ বলে। কিন্তু এই ঋণ নব্য দম্পতির জীবনে সুবিধা বয়ে আনে নাকি অসুবিধা- সেটি ঋণ নিয়ে বিয়ে করা দম্পতিরাই ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবেন। আর তাই প্রিয়.কম যোগাযোগ করেছিল এমন একজনের সঙ্গে, যিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিয়ে করেছেন।
বিয়ের উদ্দেশ্যে চার লাখ টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন সাংবাদিক আল মারুফ রাসেল। ঋণ নিয়ে তিনি কতটা উপকৃত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন, সে বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল তার সঙ্গে। তিনি প্রিয়.কমকে তার ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়েছেন। বলেছেন- ‘ঋণ নিয়ে বিয়ে করলে খুব একটা উপকৃত হওয়া যায় না। প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যেই ব্যাংক টাকার জন্য তাগাদা দিয়ে মনে করিয়ে দেয়- ‘আপনি কিন্তু বিয়ে করেছেন-আপনি কিন্তু বিয়ে করেছেন’। আর ঋণ নিয়ে কী করা হয়? বিয়েতে ধুমধাম করে মানুষদের খাওয়ানো হয়। খেয়ে দেয়ে মানুষ বলে- মাংস রান্না ভালো হয়নি, পোলাও ভালো হয়নি, খাবার ভালো লাগেনি, এই-সেই। খাইয়ে মানুষের মন পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র অনুষ্ঠান করার জন্য ঋণ করার দরকার কী! এরচেয়ে ভালো হয়, যদি কেউ ঋণ নেয়, সেই টাকা দিয়ে ঘর সাজাতে পারে, বাকি টাকা দিয়ে হানিমুনে যেতে পারে। আর আমাদের বর্তমান যে আর্থ-সামাজিক অবস্থা, তাতে একজন ব্যক্তি ঋণ করে বিয়ে করার পর সংসার চালাবে, নাকি ব্যাংকের ঋণ শোধ করবে! কেউ যদি বিয়ের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তাহলে সে ব্যক্তির উচিত হবে ভেবে-চিন্তে সেই টাকা খরচ করা’।
এই যে দাম্পত্যের শুরুতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়া, বিভিন্ন ব্যাংকের ‘বিয়ে ঋণ’ এবং সুদের হারের বাড়াবাড়ি প্রসঙ্গে প্রিয়.কম যোগাযোগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের অবসর প্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে। ‘বিয়ের ঋণ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা অনেক। যেমন নগর উন্নয়ন, শিল্প উন্নয়ন কিংবা মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে ব্যক্তি অর্থাভাবে বিয়ে করতে পারছেন না, তাকে সহায়তা করার জন্যই এই বিয়ে ঋণ। সেই অর্থে এটিকে সাধুবাদ জানানো উচিত। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংক চাইছে যে- প্রতিটি মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাক। প্রতিটি মানুষ বলতে কিন্তু শুধু সম্পদশালী ব্যক্তিই নয়, বরং একজন কৃষকের কাছে, একজন যুবকের কাছে, একজন ছাত্রের কাছে পৌঁছে যেতে চাইছে ব্যাংক। যাতে তারা ব্যাংক থেকে লাভবান হতে পারেন। বিদেশে যাওয়ার জন্যও ঋণ দিচ্ছে ব্যাংক। বিয়ে ঋণ তো একটি সংসার গড়ার জন্যই, মানুষের ভালোর জন্য। সুতরাং এর আরও প্রসার তথা বিস্তার ঘটানো উচিত'।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের অবসর প্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, যারা বিয়ে ঋণ নিয়ে উন্নতির বদলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাদের সম্পর্কে বক্তব্য কী? এ এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দেখুন, লক্ষ লক্ষ মানুষ ঋণ নিলে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো উন্নতি করতে পারেন না। কারো কারো জীবনে হয়তো এ ঋণ- বোঝা হয়ে ওঠে। কিন্তু সামগ্রিক হিসেবে বিয়ের ঋণ কিন্তু ভালোর দিকেই ধাবিত করে’।
কিছু কিছু ব্যাংক বিয়ের ঋণ দেওয়ার পর উচ্চ হারে সুদ নেয়, এ বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘সেই সকল ব্যাংকের উচিত হবে সুদের হারকে সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা। ঋণ নেওয়ার পর ঋণ গ্রহণকারী যাতে সেই ঋণ সহজেই পরিশোধ করতে পারেন, ব্যাংককে সেই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এ ধরনের ক্ষুদে ঋণ দিয়ে লাভ করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে ব্যাংককে’।
শেষ প্রশ্ন ছিল, কেউ যদি ঋণ করে বিয়ে করার পর ঋণের টাকা শোধ করতে একেবারেই অপারগ হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির করণীয় কী? আসাদুজ্জামান বলেন ‘দেখতে হবে যে- তিনি কেন ঋণ পরিশোধ করতে পারলেন না। এটি কি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত। এসব ক্ষেত্রে- যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে, সেই ব্যাংকের কিছু নীতিমালা থাকে, সর্বোপরি দেশের ব্যাংকের একটি নিয়ম-নীতি আছে, আইন-আদালত আছে, সেই অনুযায়ী সমাধান হবে’।
অতঃপর, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পাবলিক রিলেশন অফিসার মেজবা উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বললে তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে বলতে গেলে দাম্পত্যের শুরুতেই ঋণগ্রস্ত হওয়াটা কিছুটা খারাপ; তবে অন্য দৃষ্টিতে দেখলে ভালো। যেমন, যিনি ঋণ করছেন তিনি যদি ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে নেন, সেক্ষেত্রে মুনাফা গুনতে হবে বেশি। আর বিয়ের জন্য একসঙ্গে এতগুলো টাকা জোগাড় করতে ব্যাংক তাকে সহায়তা করতে পারে’।
বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা? বিয়ের ঋণ এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে প্রিয়.কম যোগাযোগ করেছিল অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড.জাহিদ হোসেনের সঙ্গে।
বাম দিকে অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং ডান দিকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড.জাহিদ হোসেন। ছবি: প্রিয়.কম।
ড.জাহিদ হোসেন প্রিয়.কমকে বলেন, ‘প্রথমে ঋণ ফেরত পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশে ঋণ খেলাপির একটি বিষয় রয়েছে। সেটি যদি দূর করা সম্ভব হয় তাহলে বিয়ের জন্য দেওয়া এই ঋণ নেতিবাচক কোনো ভূমিকা ফেলবে না। তবে অন্যান্য ঋণের মতো এই বিয়ের ঋণেও যদি ঋণ খেলাপি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভবিষ্যতে এর ফলাফল হিতে-বিপরীত হতে পারে’।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রিয়.কমকে বলেন, 'ঢালাওভাবে না দিয়ে একটু যাচাই বাছাই করে ঋণ দিতে হবে। এই ঋণ নিয়ে অনেকে জমকালোভাবে বিয়ে করে। পুরোটাই খরচ হয়ে যায়, ঐ টাকাগুলো তো তার কাছে থাকে না। যিনি ঋণ নিচ্ছেন, তাকেও অযথা খরচ কমাতে হবে। মানে, বিষয়টি এমন হতে পারে যে, অল্প কিছু টাকার জন্য যদি বিয়ে আটকে থাকে সেক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি ব্যাংকের ঋণ সহায়তা নিতে পারেন। বড় পরিমাণ ঋণ না নিয়ে অল্প পরিমাণ যাতে নেয়, সেই টাকা যাতে ঋণ গ্রহীতা অযথা খাতে খরচ না করে- সেই মেসেজটি ঋণ গ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে'।
পরিশেষে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ের জন্য ঋণ করা কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রসঙ্গে জানতে প্রিয়.কম যোগাযোগ করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং লালকুঠি দরবারের পীর মোহাম্মদ আহসানুল হক হাদী’র সঙ্গে। তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, 'ইসলামে বিয়ে করা ফরজ। কিন্তু তাকে হতে হবে সামর্থ্যবান। অর্থাৎ শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর বিয়ে ফরজ। কেউ যদি আর্থিকভাবে অসচ্ছল হন, তার উপর বিয়ে ফরজ বলা চলে না। এছাড়াও আরও অনেক বিষয়াদি রয়েছে। যেমন, ব্যাংকের সঙ্গে সুদ জড়িত। তাই সেখান থেকে ঋণ করে বিয়ে করা ঠিক নয়'।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং লালকুঠি দরবারের পীর মোহাম্মদ আহসানুল হক হাদী। ছবি: সংগৃহীত।
যা হোক, বিয়ের জন্য ঋণ নিয়ে কেউ হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কেউবা হয়েছেন উপকৃত। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তার সারমর্ম হিসেবে বোঝা যায়, ব্যাংকাররা মূলত মানুষকে সহায়তা করার জন্য এ ঋণ দিয়ে থাকেন। অর্থনীতিবিদরা বক্তব্য দিচ্ছেন সুষ্ঠু যাচাই বাছাইয়ের পর ঋণ প্রদান করতে এবং ঋণ গ্রহীতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন ঋণের টাকার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে। অপর দিকে ধর্ম একে নাকচ করে দিচ্ছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিয়ে করার উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকটা যেন বড় না হয়ে ওঠে সেদিকটা খেয়াল রাখতে বললেন তারা। আর ঋণের বিয়ে ব্যক্তিকে দরিদ্র করে দিচ্ছে কিনা সেটাও ভেবে দেখার সময় এসেছে।
প্রিয় অর্থনীতি/গোরা