
ছবিঃ পাঠাওর ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
পাঠাও কুরিয়ারের সেবায় গ্রাহকের ক্ষোভ
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৯:৩০
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৯:৩০
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭, ১৯:৩০
(প্রিয়.কম) অল্প সময়ে স্বল্প খরচে গন্তব্যে পৌঁছাতে ইতোমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যাত্রী পরিবহণ ভিত্তিক অ্যাপ পাঠাও। একই সাথে ঢাকা ও তার আশেপাশে স্বল্প সময়ে মালামাল পৌঁছে দিতে কুরিয়ার সার্ভিস সেবাও দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে জনপ্রিয়তার কারণে হোক বা জনবলের অভাবে ঠিকমতো সেবা দিতে না পারায় তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এই সেবা ব্যবহারকারীরা। এমনকি এই বিষয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

পাঠাও কর্মীদের ব্যবহার নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসায়ী শাহ্ এমদাদ ফেসবুকে পাঠাও ইউজারস অব বাংলাদেশ গ্রুপে লিখেন, ‘এতদিন জানতাম পাঠাও বাইক দিয়ে যাত্রী নেয় এখন দেখি কুরিয়ার সার্ভিস সেবাও দেয়। তবে অভিজ্ঞতা খুবই বাজে। সকাল ১০টায় ফোন করে বলে ১টায় আসবে, আমি ২টায় থাকব জানাই, সে বলে না ১টায় আসবে, ওকে ফাইন। আসল ৩টায়। আমি তখন ব্যাংকে, আসতে ১০ মিনিট লাগবে। ও জানাল সে চলে যাবে। আমি বললাম তাহলে আমার পিওনকে নিয়ে বিকাশ দোকানে যান। সে বলে না আমরা এইভাবে সার্ভিস দেই না। অনেক বুঝানোর পর সার্ভিসটা নিলাম।’
এদিকে পাঠাও কুরিয়ার সেবায় বাজে অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের ফেসবুক গ্রুপেও অনেকেই অভিযোগ করেছেন। এদের মধ্যে মোঃ জামান হোসেন শরিফ লিখেছেন, ইদানিং পাঠাও এর সার্ভিস খুব জঘন্য হয়ে গেছে। সব থেকে বড় বাজে ব্যাপার হচ্ছে মার্চেন্টকে কোন প্রকার ফোন না দিয়ে ডেলিভারি অন হোল্ড করে দিচ্ছে। ইনফর্ম ছাড়াই ডেলিভারি অন হোল্ড করে দেয়, মার্চেন্টকে আমরা যখন ফোন দেই মার্চেন্ট বলে আমার কোন ফোন আসেনি।

তিনি বলেন, কাষ্টমার কেয়ারে ফোন দিলে তারা ব্যাপারটি দেখছি বলে জানায়। আমি কোন সমাধান না পেয়ে ২-৩ ঘন্টা পর আবার ফোন দিলে তখনও বিষটি দেখছি বলে জানায়। তাদের কাছে একটি ডেলিভারি নিয়ে একদিন ৫-৬ বার ফোন করা হয়েছে, কিন্তু কোন সমাধান দিতে পারেনি।
জামান আরও বলেন, আমি ই-ক্যাব গ্রুপে অনেক দিন যাবত আছি আমি কোন পোস্ট দেইনি। এখানে দেখেছি সবাই সবাই কে সমাধান দেয়, তাই আমি আশা করি আমি এখান থেকে কিছু সমাধান পাব। কোন কুরিয়ারে ডেলিভারি করলে ভাল হবে আর কোন কুরিয়ার সম্পর্কে জানা থাকলে আমাকে জানাবেন প্লিজ।

একই গ্রুপে উদ্যোক্তা সোহেল আহমেদ লিখেছেন, ইদানিং পাঠাও এর সার্ভিস খুব জঘন্য হয়ে গেছে, ডেলিভারি দিতে এখন সময় লাগে ২-৩দিন, সব থেকে বড় বাজে ব্যাপার হচ্ছে মার্চেন্টকে কোন প্রকার ফোন না দিয়ে ডেলিভারি অন হোল্ড করে দিচ্ছে। আমার প্রত্যেকদিন ২-৩ টা ডেলিভারি ইনফর্ম ছাড়াই অন হোল্ড করে দেয়। সাপোর্টে ফোন দিলে বলে কাষ্টমার ফোন রিসিভ করেনি। আমি বলি সেটা সাথে আমাকে না জানলে বুঝব কিভাবে, তখন বলে আমরা দেখছি বিষটা।
তিনি আরও বলেন, যাই হোক আমি যেটার জন্য পোষ্ট করেছি সেটা হচ্ছে একটা ভালো ই-কুরিয়ার এর নাম বলুন যেটার সার্ভিসে আপনি সন্তুষ্ট, প্লিজ হেল্প ।

আরেক ই-কমার্স ব্যবসায়ী জুনায়েদ মিয়াজি লিখেছেন, কুরিয়ার সার্ভিস হিসেবে পাঠাও বেশ পছন্দের তালিকায় ছিল। কিন্তু লাস্ট কিছুদিনের নেগেটিভ রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে বেশ হিম-শিম খাচ্ছি। নির্দিষ্ট পিক-আপ পয়েন্ট থেকে প্রোডাক্ট কালেক্ট করে সেটা ইন টাইমে ক্লায়ান্টের কাছে পৌঁছে দিবে এবং পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলা করবে না এমন কোনো বিশ্বস্ত কুরিয়ার সার্ভিস আছে কী? আপনারা কে কোনটা ইউজ করছেন আর কেমন সার্ভিস পাচ্ছেন একটু জানাবেন প্লিজ।
এমনকি নারী উদ্যোক্তারাও প্রকাশ করেছেন তাদের ক্ষোভ। সানিয়া রহমান নামের এক উদ্যোক্তা লিখেছেন ওরা সময় মত ডেলিভারী দেয়, পেমেন্ট দেয় কিন্তু পেমেন্ট ফুল দেয় না। সার্ভিস চার্জ ছাড়াও এক্সট্রা চার্জ কেটে রাখে, কিসের জানি না। আমার কয়েকটা ডেলিভারীতে এমন করেছে। ওদের সার্ভিস আর ইউজ করতে চাচ্ছি না। পাঠাও এর কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস ভালো না। ওরা কোন প্রবলেম সলভ করতে পারে না।

তাসনিম নিশাত নামের আরেক উদ্যোক্তা ই-ক্যাবে লিখেন, কয়েক মাস আগে অন্য এক কুরিয়ার থেকে সুইচ করে পাঠাও এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করা শুরু করেছিলাম আমরা,শুধুমাত্র পাঠাও এর ভালো সার্ভিস এর কারনে। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত পাঠাও এর প্রোডাক্ট ডেলিভারি সিস্টেম যাচ্ছে-তাই হয়ে গেছে। কাস্টমার কেয়ারে দিনের পর দিন কল করেও কারও সাথে কথা বলা যাচ্ছে না। ঢাকার বাইরে প্রোডাক্ট পৌঁছাতে স্বাভাবিক এর চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে। কার সাথে কথা বলে প্রবলেমগুলো সলভ করব?
এদিকে পাঠাও কুরিয়ার এবং কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা শিরোনামে ফেসবুকের জনপ্রিয় গ্রুপ ডেস্পারেটলি সিকিং ঢাকায় পোষ্ট করেছেন আরেক উদ্যোক্তা নাবিলা রহমান। তিনি লিখেছেন, আমার অনলাইন ছোট একটি শপ আছে যার যাবতীয় পণ্য ক্রেতার কাছে পাঠানোর জন্য ‘পাঠাও কুরিয়ার’ সম্পর্কে ফেসবুতে জানতে পারি। এরপর তাদের ওয়েবসাইট থেকে কাস্টমার কেয়ার এ ফোন দিয়ে আমি জেনে নেই কিভাবে অনলাইনে রেজিস্টার করে প্রোডাক্ট পাঠাব।
তিনি বলেন, গত ২৬ মে দুপুরে আমি পাঠাওকে ফোন দেই। যে ডেলিভারিটা আমি পাঠাতাম ওইটা অন্য কুরিয়ারে পাঠানোর কথা ছিল। সেজন্য ক্রেতার কাছ থেকে বিকাশ এ পেমেন্ট নিয়ে নেই। তখন পাঠাও সম্পর্কে জানতে পারি যে তাদের অনলাইন রেজিস্টার করলে ডেলিভারি ম্যান এসে নিয়ে যাবে! আমি ফোন দেই কাস্টমার কেয়ারে। ওরা বলে আপনাকে মার্চেন্ট হিসেবে রেজিস্টার করতে হবে। ওদের লাইন এত ডিস্টার্ব করছিল যে কি বলছিল তার অর্ধেক কথাই কেটে আসছিল। আমি তারপর অনলাইন রেজিস্টার করি। বিকেলে ডেলিভারি ম্যান আসলে আমি তাকে ডেলিভারি চার্জ দিতে গেলে সে বলল আপু আমাদের টাকা লেনদেন নিষেধ। আমি বুঝিয়ে বলতে বললে সে বললো আপু আপনি রেজিস্টার পাঠাওতে করবেন আর আমাদের ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম।
আমি তখন তাকে বললাম যে আমি তো বিকাশে টাকা নিয়েছি। তো আজকের জন্য আমার কাছ থেকে চার্জ নিন। নেক্সট দিন থেকে প্রোপার ওয়েতে টাকা কালেক্ট করেন। সে বলল আচ্ছা আমি আমাদের অফিসে কথা বলতেছি। তারপর আমার সামনেই কল দেয় এবং অফিস থেকে সাড়া পেয়ে আমাকে বলে জ্বি আপু, আজকে যেহেতু আপনি প্রথম দিচ্ছেন তাই কনসিডার করা হলো। তো আমি তাকে ৬০ টাকা চার্জ দিলাম। এরপর পরের সপ্তাহে যখন আমি ডেলিভারি দিব আমি কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে বলি যে আপনাদের সিস্টেম মতো দিলে আমি টাকা রিটার্ন কবে পাব এবং কীভাবে? ওরা বলল ডেলিভারি চার্জ এর সাথে তিন পারসেন্ট টাকা কাটবে আমাকে বিকাশ করবে টাকা তাই সেক্ষেত্রে সপ্তাহের সোম ও বুধবার টাকা পাঠায় তারা। আমি এরপর ৫৬০ টাকার প্রোডাক্ট পাঠাই যেখানে চার্জ ও অন্যান্য খরচ কেটে আমি ফেরত পাব ৪১৪ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমাকে প্রথম সপ্তাহ টাকা বিকাশ করা নিয়ে ঘুরাতে থাকে। কাস্টমার কেয়ারে কয়েকদিন টানা ফোন দিয়ে বলি টাকা কেনো আসতেছে না। এরপর ২ জুনের টাকা আমাকে ৮ জুন বিকাশ করে। আমি রীতিমত অবাক বনে যাই। টাকা পাবো ৪১৪ কিন্তু তারা দিয়েছে ৩৫৪ টাকা। আমি তৎক্ষনাত ফোন দেই কাস্টমার কেয়ারে। তারা বলে, ম্যাম, ডিটেল মেইল করা হয়েছে। মেইল চেক করেন। আমি মেইল চেক করে দেখি তারা ২৬ তারিখের সেই প্রথম ডেলিভারির টাকা কেটেছে। যা কিনা আমি ডেলিভারি ম্যান কে দিয়েছিলাম। আমি তখন আবার ফোন দিয়ে বিস্তারিত বলি। যে ফোন ধরে সে বলল আমরা যোগাযোগ করছি আপনার সাথে একটু পর।
নাবিলা বলেন, এর এক ঘন্টা পর একজন ফোন দিয়ে বলে কি ব্যাপার খুলে বলুন। বললাম। এরপর উনি বললেন তাহলে ডেলিভারি ম্যান টাকাটা অফিসে দেয় নি। ওর নাম্বার দিন। আমি বললাম ও তো আমার সামনে অফিস এ কথা বললো । তো অফিস চেয়ে নেয় নি ওর কাছ থেকে? তখন সে বলল, আমরা সরি। স্টেপ নিচ্ছি। আপনার অতিরিক্ত কাটা টাকা নেক্সট ডেলিভারির টাকার সাথে এ্যাড করে দেয়া হবে।

আমি ডেলিভারি ম্যানকে নেক্সট দিন জিজ্ঞেস করি যে অফিস থেকে ওকে কল দিয়েছিলো কিনা। ও বলল যে কেউ কল দেয়নি। ও টাকা ওইদিনই ফেরত দিয়েছে অফিসে ।
এরপর ১০ তারিখ নেক্সট ডেলিভারি দেই। ওটার টাকা ফেরত ওরা দেয় কিন্তু সেই আগের কাটা টাকাটা ফেরত দিলো না। আমি আবার কল দেই। কাস্টমার কেয়ারে আরেকজন আবার ডেলিভারি ম্যান এর নম্বর চায়। আমি বলি যে আগেও দুজনকে দিয়েছি। ৬০ টাকা ব্যাপার না। কথা হল এভাবে ঘুরাবেন কেন! এখন ১০০০ টাকা হলেও কি তাই করবেন! তো সে বললো, ম্যাম একদিন টাইম দেন। তারপর আর খোঁজ নেই। আমি পরে আবার জানতে চাই। আবার শুনি আরেকজন বলে ম্যাম একদিন টাইম দেন। ২০ জুন আমি ৬২০ টাকার ডেলিভারি দিলাম। যেটার ২১ জুন ডেলিভারি হওয়ার কথা। প্রোডাক্টও যায় নি। আমি নির্দিষ্ট সময়ের পর সকালে থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কল দিলাম বেশ কয়েকবার। আমার কল ও রিসিভ করা হলো না। আর শুধু ৬০ টাকা না, ৬২০ টাকার প্রোডাক্ট ও এখন ঝুলে আছে ... কেনো এখনো যায়নি তাও জানতে পারছি না। ৬০ টাকা না পাওয়া আফসোস না, কিন্তু শুধু শুধু মানুষকে ঘুরানো, মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করাটা কাম্য নয়।
এই স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছেন আরও কয়েকজন গ্রাহক। তাদের মধ্যে সুমাইয়া রূম্পা লিখেছে, পাঠাও’র সার্ভিস এখন পুরাই ফালতু। টাইম মতো না দেয়ার কারণেই আমাদের অনেক প্রোডাক্ট রিটার্ন আসছে। হুম, সার্ভিস চার্জও ৫৫ টাকার পরিবর্তে ৭০/৯০ টাকা কাটে। অনেক কমপ্লেইন জানানোর পর টাকা ফেরত দিয়েছে বাট আবার একই প্রবলেম।
অরণ্য রানা নামের আরেক ব্যবহারকারী কমেন্ট করেছেন, পাঠাও এর সাথে রেজিস্ট্রেশন করে যেইদিন ওদের প্যানেলে ফার্স্ট ডেলিভারি অর্ডার করসি সেদিন ই আমার সাথে ব্লাফ মারছে। ওদের কাস্টমার সার্ভিস এর কথা অনুযায়ী প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে ওদের প্যানেলে রিকোয়েস্ট দিলে নেক্সট দিনে ওরা প্রোডাক্ট রিসিভ করে তারপরদিন ডেলিভারি দেয়ার কথা। বাট, পরেরদিন ওদের কেও প্রোডাক্ট নিতে আসে নাই। তাই তখনই ওদের সার্ভিস কেমন হবে একটা ধারণা পাইছি। তাই আমার অর্ডারগুলা আমি ক্যান্সেল করে দিসি ওদের প্যানেল থেকে। আর ওদের কাস্টমার সার্ভিসের যেই দুরবস্থা তা নাই বললাম। আর ইন্সট্যান্ট চ্যাটিং এ একটা ম্যাসেজ দিলে উত্তর আসে একদিন পরে। ডিসগাস্টিং।

প্রিয়.কম থেকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে পাঠাওর অফিসে যোগাযোগ করা হলে প্রেরিত বার্তায় তারা জানায়, আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা থাকে আমাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা প্রদান করার। এক্ষেত্রে গ্রাহকরা যদি কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের চেষ্টা থাকবে এই অসুবিধা গুলোর দ্রুত সমাধান করে গ্রাহকদেরকে তাদের পছন্দসই সেবা প্রদান করতে। আর এজন্য তাদের মতামত আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন কারণে যদি গ্রাহকরা আমাদের কাস্টোমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে অপারগ হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ থাকবে যেন আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেজে https://www.facebook.com/ pathaobd/ যোগাযোগ করা হয়। আমরা যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করবো।
প্রিয় টেক/মিজান
www.ajkerpatrika.com
| গাজা
৪৭ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ৭ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১২ মিনিট আগে
প্রথম আলো
| সুইজারল্যান্ড
১ ঘণ্টা, ৪০ মিনিট আগে
১৪ ঘণ্টা, ১১ মিনিট আগে
১৯ ঘণ্টা, ২৪ মিনিট আগে
১৯ ঘণ্টা, ৩৫ মিনিট আগে
২০ ঘণ্টা, ২ মিনিট আগে
২১ ঘণ্টা, ২৮ মিনিট আগে
২২ ঘণ্টা, ২৬ মিনিট আগে