
মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা
আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৮, ১৮:০৩
(প্রিয়.কম) সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়েছে। তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক পুলিশ সদস্য।
৩ মার্চ, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটে। এখানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দুদিনব্যাপী ‘ইইই ফেস্টিভ্যাল-২০১৮’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, অনুষ্ঠান চলাকালে ছুরি হাতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা করা হয়। হামলাকারীদের একজন পালিয়ে গেলেও আরেকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় এখনো জানা সম্ভব হয়নি। এ সময় পুলিশের এক সদস্যও আহত হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ছুরিকাঘাতে মুহম্মদ জাফর ইকবালের মাথায় আঘাত পেয়েছেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

ওসমানী কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রিয়.কম
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ছয় শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের নামে সারা রাত মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগে ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এর মধ্যে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিইই) শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ হিমেল ও হামিদুর রহমান রঙ্গনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২ মার্চ ‘ইইই ফেস্টিভ্যাল-২০১৮’ উদ্বোধনকালে মুহম্মদ জাফর ইকবাল জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত।
র্যাগিংয়ের দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের শাস্তিকে সমর্থন করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘যারা এ ধরনের কাজ করেছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কোনো অধিকার নেই। যখন তাদের অপরাধ প্রমাণ করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সেই শাস্তিটা গ্রহণ করে ওদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না করে তারা আন্দোলন করা শুরু করেছে। আন্দোলনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি ছাত্রদের কষ্ট দিচ্ছে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেয়াদবিও করেছে।’
বহিষ্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় আইনে অভিযুক্তদের জেলে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।
এর একদিন পরই তার ওপর হামলা হলো।
প্রিয় সংবাদ/রিমন