
২৯তম সম্মেলনের একটি ছবিতে ছাত্রলীগের লোগো কোলাজ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে
আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৭
(প্রিয়.কম) ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের আড়াই মাস পর সংগঠনটির শীর্ষ চার নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়। ‘চমক জাগানো’ এই নেতাদের নাম ঘোষণার পর আরও পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা একধরনের অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত এই ছাত্র সংগঠনটির এবার শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাই করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গত বছরের ৩১ জুলাই সভাপতির পক্ষে ছাত্রলীগের এ কমিটি ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির চারজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পর সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় থেকে একজনকে নির্বাচিত করা হয়।
বর্তমান কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ে নির্দিষ্ট কোনো এলাকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের শীর্ষ চারটি পদের একটিতে সবসময় বরিশাল ও বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল থেকে একজন করে দুজনকে নেতৃত্বে আনা হতো। কিন্তু এবার তা করা হয়নি। এবার কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উভয় কমিটিতেই থেকেই বাদ পড়েছে বরিশাল অঞ্চল। এবার উত্তরবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সেশন অনুযায়ী জুনিয়রকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি করা এবং সিনিয়রকে সাধারণ সম্পাদক করা।
কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। অথচ শোভনকে সভাপতি করে রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ২৯তম সম্মেলনে বয়সের হিসাবে রাব্বানী শোভনের চেয়ে মাত্র ২৪ দিনের বড়। যদিও ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে ঘোষিত সর্বোচ্চ ২৮ বছর বয়সসীমা রাখার ঘোষণার প্রতিফলন দেখা যায়নি কমিটিতে। কারণ কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদেরকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে তাদের বয়স সম্মেলনের সময় ২৮ বছরেরও বেশি ছিল। এদের মধ্যে শোভনের বয়স ছিল ২৮ বছর ৭ মাস ৬ দিন এবং রাব্বানীর বয়স ছিল ২৮ বছর ৮ মাস। এর আগে শোভন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রাব্বানী শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দ্রুতই ঘোষিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির রূপরেখা। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নিজেদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীর জীবনবৃত্তান্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাচাই করতে দিনরাত নিরলস পরিশ্রমও করেছেন। এখন কমিটি ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। সেক্ষেত্রে চলতি মাসে না হলে আগামী মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। একইসঙ্গে দুই মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মো. ইব্রাহিম প্রিয়.কমকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ ঘোষণার পরপরই আমরাও আমাদের নেতৃত্বে থাকা কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করব। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা যাচাই-বাছাই শুরু করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘নেতৃত্বগুণে মেধাবী, যারা আওয়ামী পরিবারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির আদর্শে গড়ে উঠতে চায়, যারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশিত দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী অর্পিত কাজ করেছে, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতিকে বুকে ধারণ করে যাচ্ছে মূলত তাদেরকেই কমিটিতে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের উল্লেখযোগ্য ক্যাম্পাসগুলোতে। কারণ ছাত্রলীগে যেসব এলাকা থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়, সেসব এলাকার নেতাকর্মীদের একধরনের আধিপত্য থাকে। বিভিন্ন কমিটিতেও সেসব অঞ্চলের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পরপরই ক্যাম্পাসগুলোতে নতুন নতুন গ্রুপ সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এলাকাভিত্তিক গ্রুপ সৃষ্টি হওয়াতে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আবার পদপ্রত্যাশীরা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের অফিস ও বাসায় ছুটছেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজিরা দিচ্ছেন তারা। জানান দিতে চেষ্টা করছেন নিজের মেধা ও যোগ্যতার। যদিও এর আগে বেশকয়েকবার কমিটি ঘোষণা হবে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মহানগর-দক্ষিণের সভাপতি মেহেদী হাসান প্রিয়.কমকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের জন্য নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যেভাবে যা ভালো মনে করেছেন তাই করেছেন। তার সিদ্ধান্তের পর আর কোনো কথা নয়। কারণ সময়োপযোগী সিদ্ধান্তগুলোই তিনি সবসময় নেন। তবে চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বড় বিষয় হচ্ছে আপা (শেখ হাসিনা) সব বিষয়ে অবগত রয়েছেন। উনার নির্দেশনার বাইরে কিছুই হবে না। উনার নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর মহানগর শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। রাজপথের ত্যাগী, নিয়মিত ছাত্র, অবিবাহিত, জামায়াত-শিবির সম্পৃক্ত নাই, চাঁদাবাজী ও মাদকব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নাই, এমন নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সবাইকে নিয়েই হবে আমাদের যাত্রা। যেখানে সবাই একত্রিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করব।’
পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতার দাবি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যে মণ্ডিত। ছাত্রস্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলের অনেক সংকটে ছাত্রলীগ ছিল আন্দোলনের নেতৃত্বের ভূমিকায়। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রত্যেকটি আন্দোলনে ছাত্রলীগ প্রধান ভূমিকা রেখেছে। সংগঠনটি পেরিয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও ছাত্র সমাজের ১১-দফাভিত্তিক স্বাধীকার আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালে জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র যুদ্ধ ও নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মুখর সময়। দাবি আদায়ের সংগ্রামে ঝরে গেছে বহু নেতাকর্মীর প্রাণ। সাম্প্রতিক সময়েও ছাত্রস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং অনেক মানবিক কাজেও মনোযোগী ছাত্রলীগ। তবে তৃণমূলের বিভিন্ন ইউনিটের অপকর্মের ভারও সইতে হচ্ছে ছাত্রলীগকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন প্রিয়.কমকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রুপান্তরকরণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত। আর কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ ঘোষণার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ে শেষ করা হবে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে সাদ্দাম হোসাইন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম, অবিবাহিত, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি ও সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগসহ ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এমন ছাত্রনেতাদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের সাবেক এক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়.কমকে বলেন, কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব যাচাই-বাছাই অপেক্ষা বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে যায় ‘নিজ বলয়’ তৈরিতে। কেননা যারা সংগঠনটির মূল দায়িত্বে চলে আসে তখন তাদের নিজ বলয়ে অনুসারী (নেতাকর্মী) থাকে না বললেই চলে। তাই তারা নেতৃত্বে এসে নিজ অনুসারীর নেতাকর্মীর সংখ্যা বাড়াতে উঠে-পড়ে লাগে। এ ছাড়াও থাকে বিগত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পছন্দের তালিকায় থাকা বেশকিছু নেতাকর্মীর পদপদবীর চাহিদা। সেসব নেতাকর্মীদেরকে সাবেক নেতারা নিজেদের অনুসারী হিসেবে গড়ে তুলেছে তাদের কে পরবর্তী কমিটিতে জায়গা করে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখে। তাই হয়তো কিছুটা সময় বেশি চলে যায়। প্রত্যাশা থাকবে অতীতের সকল নেতিবাচক তকমা পাশ কাটিয়ে প্রাণের সংগঠন তার স্বকীয়তা বজায় রাখতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের সাবেক এই সভাপতি ও বর্তমান আওয়ামী লীগের একটি উপকমিটিতে থাকা এই নেতা বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ও রাজপথে এ মুহূর্তে শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষ নেই ছাত্রলীগের। তাই নতুন নেতৃত্ব সংগঠনকে গতিশীল ও আধুনিক করে গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হিসেবে নিতে হবে। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন হিসেবে নেতাকর্মীদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখাটাই হবে নতুন নেতৃত্বের জন্য মুখ্য চ্যালেঞ্জ।
পদপ্রত্যাশীরা জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে নাগাদ ঘোষণা করা হবে, এই নিয়ে হতাশা কাজ করছে তাদের মাঝে। আবার এলাকাভিত্তিক গ্রুপ তৈরির কারণে বাড়ছে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা আর ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা। সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে দ্রুত হলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা।
একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমনদেরই নিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটিতে প্রতিবারই ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে অনেকে পদ পান। ফলে বঞ্চিত হন রাজপথে লড়াই করা নেতাকর্মীরা।
এদিকে ছাত্রলীগের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন, পদপ্রত্যাশীদের তালিকা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই করে নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হবে। পরিশ্রমী, ত্যাগী, মেধাবী, নিয়মিত ছাত্র, সাহসী, শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়, পরিচ্ছন্ন ইমেজ ও সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন এবং যারা অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তাদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এসব নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার কয়েকদিন যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রিয় সংবাদ/রিমন