প্রতীকী ছবি

মাত্র ৯টি কৌতুক

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৮
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৮

(প্রিয়.কম) নিজের চনমনে ভাব বজায় রাখতে হাসির বিকল্প নেই। নানা কারণে মানুষ হেসে থাকেন। এর অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে কৌতুক। আজ থাকছে ৯টি কৌতুক।

০১. নতুন সানগ্লাস

নতুন সান গ্লাস পরে স্বামী তার স্ত্রীকে ছবি পাঠিয়ে বলল, বউ সানগ্লাসটা নতুন নিয়েছি। দেখো তো কেমন হয়েছে?

স্ত্রী কোনো কথা না বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, ছবিটি তুলছে কে?

স্বামী দ্রুত উত্তর দিল তার স্ত্রীকে। বলল, আমার এক ছেলে বন্ধু। বলো না কেমন হয়েছে ছবিটা?

জবাবে স্ত্রী বলল, ওয়াও! তোমার সানগ্লাস তো দেখি জাদু জানে। স্বামী এ উত্তরের কোনো মানে বুঝতে পারে না। তাই সে জিজ্ঞেস করল, এর মানে কি?

স্ত্রী বলল, আমি ছবি জুম করে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সানগ্লাসের ভিতরে একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। আর তুমি বলছ তোমার ছেলে বন্ধু ছবি তুলে দিছে। তাইলে তোমার সানগ্লাস কি ছেলেরে মেয়ে বানায়া দিলো? বাসায় আসো একবার। জাদু দেখাচ্ছি।

০২. পাশের বাসার মেয়ে

পাশের বাসার মেয়েটাকে সরাসরিই অফার করে এক ছেলে বলল, আমি তোমার সাথে প্রেম করতে চাই।

মেয়ে: কি বললা?

ছেলে: বলেছি, আমি তোমার সাথে প্রেম করতে চাই।

কয়েকদিন পর মেয়ের বাবা-মা বাসার বাইরে যাওয়ার সুযোগে ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেয়েটি বলল, না-ও, শুরু করো।

ছেলেটি তখন ভাবছে, আমি তো প্রেম করা বলতে অন্য কিছু বুঝতাম। একসাথে লংড্রাইভে ঘোরা, চাইনিজে খাওয়া, সিনেমায় যাওয়া, আরও কত কী!

ছেলেটির চুপটি মেরে থাকা দেখে মেয়েটি আবার বলল, কি হলো, শুরু করো। এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে! তুমি না ছেলে মানুষ? এই যে এদিকে হাত ধুয়ে নাও। দেখো তোমার সব পছন্দের খাবার রেঁধেছি। হোস্টেলে থাকো, কি খাও-না-খাও; একদম শুকিয়ে গেছ।

ছেলেটি খাওয়া শুরু করল। মেয়েটি যত্ন সহকারে প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছে।

তখন ছেলেটি ভাবছে, আমি বুঝতে পারলাম প্রেম করা নিয়ে আমার ধারণা ভুল ছিল। আসলে এটাই প্রকৃত প্রেম! অনেকদিন পর তৃপ্তি সহকারে ছেলেটি পেট ভরে খেলো।

খাওয়া-দাওয়া শেষে মেয়েটা তার বেডরুমে নিয়ে গেল ছেলেটিকে। বলল, এই সব কাজ করতে গায়ে অনেক শক্তি থাকা লাগে। তাই তোমাকে আগে খাইয়ে নিলাম। আসো, এবারে শুরু করো।

ছেলেটি তখন ভাবছে, অথচ আমি একটু আগেই প্রেম করা মানে অন্য কিছু বুঝতে শিখেছি। যার সৌন্দর্য শারীরিক নয়; যার সৌন্দর্য মানসিকতায়!

ছেলেটির মন তখন খারাপ হয়ে গেল। তার ইচ্ছে হচ্ছিল ছুটে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু মেয়েটার চোখের তেজি দৃষ্টি দেখেই সে বুঝতে পেরেছে, আজ তার নিস্তার নেই। যা খাইয়েছে তার এনার্জি পুরোটা শুষে না নিয়ে ছাড়বে না।

ছেলেটি চুপটি মেরে আছে। তা দেখে মেয়েটা আবার বলল, কি হলো শুরু করো! পুরুষ না তুমি? গায়ে জোর নেই নাকি? কি আর করা!

বাধ্য হয়েই ছেলেটি শুরু করল! তারপর দুজনে মিলে মেয়েটির রুমের খাট, সোফা, আলনা, ওয়ারড্রপ, সবকিছুর স্থান পরিবর্তন করে নতুনভাবে সাজাল। প্রচণ্ড ভারী জিনিসগুলোর সরাতে গিয়ে এখন ছেলেটির সারা শরীর ব্যথা করছে।

০৩. কথা বন্ধ

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেন না। আর যতটুকু বলা প্রয়োজন, তা ইশারায় জানিয়ে দেন।

স্বামী দেখলেন, পরের দিন ভোরে তার ফ্লাইট। তাকে উঠতে হবে ভোর পাঁচটায়। কিন্তু স্ত্রী যদি জাগিয়ে না দেন, তবে কিছুতেই ভোরবেলায় তার ঘুম ভাঙবে না। কিন্তু তারা কথাও তো বলেন না। কী আর করা!

স্বামী একটা কাগজে লিখে দিলেন, দয়া করে ভোর পাঁচটায় আমাকে জাগিয়ে দেবে। কাগজটি টেবিলের ওপর রেখে দিলেন, যাতে স্ত্রী দেখতে পান।

কিন্তু পর দিন যখন তার ঘুম ভাঙল, তখন সকাল ৯টা বেজে গেছে এবং বিমানও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি রেগে টং হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তাকে জাগানো হলো না।

এ দিকে স্ত্রীও সমান ত্যাড়া। সে বলল, এত রাগছ কেন? আমি তো তোমার ওই কাগজটিতে লিখে রেখেছি যে, এখন ভোর পাঁচটা বাজে, ঘুম থেকে ওঠো। কিন্তু তুমি তো টেরই পেলে না। আমার কি দোষ?

০৪. মশার প্রকারভেদ

একদিন এক শিক্ষক ছাত্রকে পড়া জিজ্ঞেস করছেন।

শিক্ষক: বল তো মশা কয় প্রকার?

ছাত্র: স্যার, মশা ৯ প্রকার।

শিক্ষক: ৯ প্রকার হয় কীভাবে?

ছাত্র তখন মশার প্রকারভেদ বলতে লাগল...

১. যে মশা গায়ে বসা মাত্রই কামড়ায় তাকে রাক্ষস মশা বলে।

২. যে মশা দিনের বেলায় কামড়ায় তাকে সন্ত্রাসী মশা বলে।

৩. যে মশা নাকের ভেতর ঢুকে কামড়ায় তাকে নমরুদী মশা বলে।

৪. যে মশা সুযোগ পেলেই কামড়ায় তাকে সুযোগসন্ধানী মশা বলে।

৫. যে মশা কানের কাছে এসে গান গায় তাকে গায়ক মশা বলে।

৬. যে মশাকে থাপ্পর দিলে ফাঁক দিয়ে চলে যায় তাকে গোল্লাছুট মশা বলে।

৭. যে মশা কামড় দিলে জ্বর হয় তাকে বিষাক্ত মশা বলে।

৮. যে মশা মশারির ভেতর ঢুকে কামড়ায় তাকে মুর্খ মশা বলে।

৯. যে মসা রক্ত খেয়ে উড়তে না পারে না তাকে পেটুক মশা বলে।

০৫. ফেসবুকে বিয়ে

২০৩০ সালে যেভাবে ফেসবুককে কেন্দ্র করে বিয়ে হতে পারে।

কাজী: তুমি কি তোমার ফেসবুক স্ট্যাটাস সিঙ্গেল থেকে ম্যারিড করতে রাজি আছ? রাজি থাকলে বলো, একসেপ্ট।

ছেলে: একসেপ্ট।

মেয়ে: একসেপ্ট।

কাজী: অভিনন্দন।

কাজী: স্টাইলিশ বয় ওরফে হাতভাঙ্গা মন, ৩০০০ ফলোয়ার আর ৩৭ জন ফ্যামিলি মেম্বার, ৯০০ লাইকওয়ালা প্রোফাইল পিকচার পাওয়া আইডি নিয়ে তোমার সহিত ম্যারিড স্ট্যাটাসশিপ করিবার রিকোয়েস্ট করিয়াছে, রাজি থাকলে বলো মা একসেপ্ট।

মেয়ে: একসেপ্ট।

কাজী: অ্যাঞ্জেল রোজ ওরফে রোজিনা বানু একসেপ্ট করেছে। এবার বাবা তুমি বলো কনফার্ম।

ছেলে: কনফার্ম।

কাজী: অভিনন্দন। তোমাদের ফেসবুক প্রোফাইল এখন থেকে আপডেট হয়ে গেছে। তোমরা এখন থেকে স্বামী স্ত্রী।

০৬. পরীক্ষার তারিখ পেছানো

প্রেমিকা: তুমি কি আমায় ভালোবাসো?

প্রেমিক: বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করো?

প্রেমিকা: ধরো তোমার কাছে মাত্র পাঁচশ টাকা আছে, তা থেকে আমি চারশ’ টাকা চাইলাম, তুমি দিতে পারবে?

জরুরি টাকাটায় প্রেমিকা চোখ পড়েছে দেখে, বিব্রত প্রেমিক নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, কেন পারব না, একশবার পারব। তবে পরীক্ষার তারিখটা একটু পেছানো যায় না?

০৭. বাবা উকিল
শিক্ষক বললেন, লেখাপড়ায় তুমি বেজায় খারাপ করছ, কাল তোমার বাবাকে স্কুলে আসতে বলবে, তার সাথে পরামর্শ করতে হবে।

ছাত্র: কিন্তু তার জন্য যে ফি লাগবে স্যার।

শিক্ষক: ফি! কিসের জন্য?

ছাত্র: আমার বাবা যে উকিল। ফি ছাড়া পরামর্শ করেন না।

০৮. বিয়ের আগে চুমু

স্বামী: আচ্ছা বিয়ের আগে তোমাকে কেউ চুমু খেয়েছিল?

স্ত্রী: একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে একা পেয়ে একটা ছেলে ছোরা বের করে বলেছিল, যদি চুমু না খাও, তাহলে খুন করে ফেলব।

স্বামী: তারপর তুমি চুমু খেতে দিলে?

স্ত্রী: দেখতেই পাচ্ছ, আমি এখনও বেঁচে আছি।

০৯. ফলো

অফিসের টাইপিস্ট পুরো দেড় ঘণ্টা লেট করে অফিসে এলো। দেরির কারণ জানতে চাইলেন বড়কর্তা।

টাইপিস্ট বললেন, আমি ঠিক সময়ে আসতে চেয়েছিলাম; কিন্ত একজন নারী আমাকে ফলো করছিল।
কর্তা: কিন্ত তাই বলে দেড় ঘণ্টা লেট?

টাইপিস্ট: কি করব স্যার, নারীটি যে বড্ড ধীরে ধীরে হাটঁছিল!