
ছবি সংগৃহীত
২০১৫ সালের সেরা ৫ টি ওয়েব প্রক্সি সাইট
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৫, ০৭:৩৬
ছবির কৃতিত্ব: Internet - CC-BY-NC-ND 2.0 by transCam
কখনও কখনও ওয়েবসাইট অ্যাকসেস করতে গেলে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। কখনও দেখায় যে, "Webpage is not available.", আবার কখনও দেখায় যে, "This website/URL has been blocked." এর পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে।
সরকারের চাপে কখনও কখনও আইএসপিরা(ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা) কিছু মুভি স্ট্রিমিং সাইট, মুভি ডাউনলোড সাইট, গান ডাউনলোডের সাইট, ফাইল শেয়ারিং সাইট, টরেন্ট সাইটসহ বিভিন্ন সাইট ব্লক করে দেয়। যেমন - ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্ম সচলায়তন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, ২০০৯ ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব এবং ২০১০ সালে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য এগুলোকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এছাড়াও স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্লক করে দেওয়া হয়। কখনও কখনও ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা কিছু ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয়।
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে, কেবল আইএসপি এবং কিছু সংগঠন আপনাকে ওয়েবসাইট দেখা থেকে বাঁধা দিতে পারে, তাহলে আপনি একদম ভুল ভাবছেন। কারণ কোনো ওয়েবসাইটের মালিক চাইলে তার ওয়েবসাইটকে নিদিষ্ট কিছু দেশ বা, এলাকার জন্য বন্ধ দিতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি সেই ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করতে চান, তাহলে কি করবেন? তাহলে আপনার উচিৎ হবে ভিপিএন(ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক), অথবা, প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করা। কিন্তু সব ভিপিএন সার্ভার বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় না, ভিপিএন সার্ভার ব্যবহার করতে গেলে সাধারণত আপনাকে কিছু অর্থ প্রদান করতে হতে পারে, কিংবা লাইসেন্স কিনতে হতে পারে। এমতাবস্থায় বিনামূল্যের প্রক্সি সাইট বেশ কাজে আসে।
এখন, আপনি যদি কোনো সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে "free best proxy server list" বা, "latest working proxy sites" লিখে খুঁজেন, তাহলে আপনি যে প্রক্সি সাইট/সার্ভারগুলো পাবেন, হয় সেগুলো কাজ করবে না নতুবা স্পিড কম পাবেন। এছাড়াও আপনি যে প্রক্সি সাইটগুলো পাবেন, সেগুলো বেশ জনপ্রিয়। তাই হয়ত সেগুলোও ব্লক করা থাকবে। তাই নিচে সেরা ৫ টি প্রক্সি সাইটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে যা ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং স্পিড সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছাড়াই আপনি ওয়েব সার্ফ করতে পারবেন। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল যে, এই ওয়েবসাইটগুলো ততটা জনপ্রিয় না, তাই স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সাধারণত এগুলোকে ব্লক করে না।
আমি চাইলে প্রায় দেড়শ-দুইশ প্রক্সি সাইটের তালিকা দিতে পারতাম, কিন্তু সেগুলো দেওয়া আর না দেওয়া একই কথা। তাই আমি আমার লেখাটাকে ছোট, সুন্দর এবং পরিষ্কার রেখেছি। তো, প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক যে, প্রক্সি সার্ভার/সাইট কি এবং কিভাবে কাজ করে।
প্রক্সি সার্ভার এবং প্রক্সি সাইট কি?
Whatismyipaddress.com এর মতে,
A proxy server is a computer that offers a computer network service to allow clients to make indirect network connections to other network services.
অর্থাৎ প্রক্সি সার্ভার হল কোনো ওয়েব সার্ভার এবং আপনার মধ্যবর্তী একটি মাধ্যম যা কিনা আপনার জন্য ওয়েব সার্ভার থেকে তথ্য টেনে আনে, অতঃপর আপনাকে তা প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায়, এটি অনেকটা ওয়েটারের মত। আপনি যখন কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যান, তখন আপনি ওয়েটারকে খাবার আনার নির্দেশ দেন। এরপর সে আপনার খাবারের তালিকা গ্রহণ করেন, তারপর সে ভিতরে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করে এবং সবশেষে আপনাকে খাবার পরিবেশন করে।
ঠিক তেমনি প্রক্সি সার্ভারও হচ্ছে এক ধরনের ওয়েটার। আপনি কোন ওয়েবসাইটে যেতে চান তা সে জানে, এরপর সে নিজে গিয়ে ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো আনে। আর সবশেষে আপনাকে প্রদর্শন করে।
তাহলে প্রক্সি সাইট কি? প্রক্সি সাইট হল প্রক্সি সার্ভারের ফ্রন্ড-এন্ড(Frondend), বা, এক ধরনের ইউজার ইন্টাফেস(মনে করতে পারেন)। কিন্তু প্রক্সি সাইটের মাধ্যমে শুধু ওয়েবসাইট অ্যাকসেস করা যায়। এটা প্রক্সি সাইটের একটি সীমাবদ্ধতা। কিন্তু একটি প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ওয়েব সেবা (যদি তাদের সেই পোর্ট চালু থাকে তবে) ব্যবহার করতে পারবেন। আস���ে প্রক্সি সাইটের পিছনে একটি প্রক্সি সার্ভার কাজ করে।
প্রক্সি সার্ভার কিভাবে কাজ করে?
আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকতে যান, তখন সেই ওয়েবসাইট আপনার আইপি ঠিকানা দেখতে পায়। আর আইপি ঠিকানার মাধ্যমে আপনি কোনো দেশ/এলাকা থেকে ওয়েব ব্রাউজ করছেন তা শনাক্ত করা যায়। এখন, ওয়েবসাইটের মালিক চাইলে আপনি যে দেশের জন্য তার ওয়েবসাইট ব্লক করে দিতে পারেন।
মনে করুন, বাংলাদেশের জন্য "xyz.net" ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়েব সার্ভারটি যখন দেখবে যে, আপনি বাংলাদেশ থেকে আসছেন, তখন সে আপনাকে ওয়েবসাইটি দেখতে দিবে না। [নিচের চিত্র দ্রষ্টব্য]
ছবির কৃতিত্ব: How Proxy Server Works 0 - CC-BY-SA 4.0 by Safiqul Amin
আপনারা হয়ত লক্ষ করেছেন যে, ইউটিউবে কিছু কিছু ভিডিও বাংলাদেশ থেকে দেখা যায় না। সেখানে এই একই ঘটনা ঘটে।
কিন্তু আপনি যখন একটি প্রক্সি সার্ভার/সাইটের মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট দেখতে চাবেন, তখন সেই প্রক্সি সার্ভার আপনার হয়ে ওয়েবসাইটি ভিজিট করবে। ফলে ওয়েব সার্ভারটি আপনার আইপি ঠিকানা দেখতে পাবে না। তাই সে প্রক্সি সার্ভারকে তথ্যগুলো দিবে আর প্রক্সি সার্ভার আপনাকে। [নিচের চিত্র দ্রষ্টব্য]
ছবির কৃতিত্ব: How Proxy Server Works 1 - CC-BY-SA 4.0 by Safiqul Amin
প্রক্সি সার্ভার সম্পর্কে আরও জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন:
https://www.youtube.com/watch?v=ZIqWHHgdnXE
কেন আমরা প্রক্সি সাইট ব্যবহার করি?
আমরা যে শুধু ব্লক করা ওয়েবসাইট দেখার জন্য প্রক্সি সাইট ব্যবহার করি তা নয়। প্রক্সি সার্ভার/সাইট ব্যবহার করে আমরা অ্যানোনিমাসভাবে ওয়েব সার্ফ করতে পারি। তাই ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় আমার কোনো তথ্য তারা সংগ্রহ বা, সংরক্ষণ করতে পারে না। তো, এখন প্রক্সি সার্ভার/সাইট ব্যবহার করার সুবিধা জেনে আসা যাক।
প্রক্সি সার্ভার/সাইট ব্যবহার করার সুবিধা:
ব্লক করা ওয়েবসাইট এবং সার্ভার অ্যাকসেস করা:
প্রক্সি সাইট ব্যবহার করে আপনি অনেক সহজেই প্রায় যেকোনো ব্লক করা ওয়েবসাইট বা, সার্ভার অ্যাকসেস করতে পারবেন। আর এজন্য আপনাকে প্রথমে একটি প্রক্সি সাইটে যেতে হবে। এরপর আপনি যে ওয়েবসাইটে যেতে চান তা লিখে এন্টার বাটন প্রেস করতে হবে। অতঃপর আপনি সে ওয়েবসাইটির কন্টেন্ট দেখতে পারবেন।
অ্যানোনিমিটি (কিছুটা):
আপনি যখন কোনো প্রক্সি সার্ভার/সাইট ব্যবহার করে কোনো ওয়েবসাইট দেখবেন, তখন সেই ওয়েবসাইট আপনার আসল আইপি ঠিকানা দেখতে পাবে না। ফলে আপনার উপর নজরদারি করা কঠিন হয়ে পড়বে।
ইন্টারনেটে আপনার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে:
কিছু কিছু প্রক্সি সাইট আছে যা তাৎক্ষনিকভাবে ওয়েবসাইটে বিদ্যমান অ্যাড, ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস ব্লক করে দেয়। এভাবে প্রক্সি সাইট ব্যবহার করে ইন্টারনেটে আপনি *তুলনামূলকভাবে* নিরাপদে থাকতে পারেন।
আপনার ওয়েব সার্ফিংয়ের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে:
অনেকেই হয়তবা ভাবছেন যে, প্রক্সি সাইট কিভাবে আপনার ওয়েব সার্ফিংয়ের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে। এটি হয় মূলত "ক্যাশিং" এর মাধ্যমে। আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইট দেখার জন্য রিকোয়েস্ট করেন, তখন প্রক্সি সার্ভারটি ওয়েবসাইটি আপনার জন্য ক্যাশ করে রাখে। পরবর্তীতে আপনি যখন সেই ওয়েবসাইটটি দেখার জন্য আবার রিকোয়েস্ট করেন, তখন সে সরাসরি সেই ক্যাশ থেকে আপনাকে ওয়েবসাইটি দেখায়। এতে ওয়েবসাইটি দ্রুত লোড হয় এবং আপনি তাড়াতাড়ি তথ্যগুলো পান। অবশ্য এই ক্যাশ সংরক্ষণের জন্য কিছু সময় আছে। নির্দিষ্ট সময় পর এই ক্যাশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় এবং ক্যাশ মুছে ফেলা হয়। এভাবে কিছু সময় পর পর ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট হালনাগাদ করা হয়।
আমি কি অবৈধ কাজ করার প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করতে পারি?
না, না, না! আমি "না" তিনবার বললাম কারণ এটা অনেক জরুরি। ভুল করেও প্রক্সি সাইট/সার্ভার ব্যবহার করে কোনো ধরনের অবৈধ কাজ করবেন না। প্রক্সি সার্ভার/সাইট ব্যবহার করে অবৈধ কাজ করাটা এক প্রকার বোকামি। আপনি ব্লক করা সাইট অ্যাকসেস করার জন্য প্রক্সি সাইট ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু আমি আবারও আপনাকে সর্তক করছি যে, অবৈধ কাজ করার জন্য প্রক্সি সার্ভার/সাইট ব্যবহার করবেন না। কারণ আপনি তাদের সেবা ব্যবহার করার সময় মেনে নিচ্ছেন যে, আপনি কোনো অবৈধ কাজে প্রক্সি সার্ভার/সাইটটি ব্যবহার করবেন না। যদি আপনি কোনো অবৈধ কাজপ প্রক্সি সার্ভার/সাইটটি ব্যবহার করেন, তবে আপনি তাদের "Terms Of Service" সংক্ষেপে ToS ভঙ্গ করলেন। ফলে আইনি কোনো সংস্থা আপনার সম্পর্কে কোনো তথ্য চাইলে, তারা আপনার আসল আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে দিবে। আর আইপি অ্যাড্রেস পেয়ে গেলে আপনাকে খুঁজে বের করা সহজতর হয়ে যাবে।
তাই অবৈধ কাজে প্রক্সি সাইট/সার্ভার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ - "না"।
কিভাবে এই তালিকাটি আমাকে সাহায্য করবে?
আপনি ইন্টারনেটে খুঁজলে হাজার হাজার প্রক্সি সাইট/সার্ভার পাবেন। কিন্তু এখানে কিছু হাতে-গোনা প্রক্সি সাইটের তালিকা দেওয়া আছে যা কাজও করে এবং গতির দিক থেকে বেশ দ্রুত। এছাড়াও নিচের প্রক্সি সাইটগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নিচে তা দেওয়া হল:
- প্রক্সিগুলো Elite এবং Anonymous ধরনের
- গতির দিক থেকে বেশ দ্রত
- প্রক্সি সাইটগুলো বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে
- এগুলো Reverse Proxy
- সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা নেই
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাড এবং ম্যালওয়্যার ব্লক করে
- প্রক্সি সাইটগুলো সাধারণত ব্লক করা হয় না
- সহজে ব্যবহারযোগ্য
২০১৫ সালের সেরা ৫ টি প্রক্সি সাইট:
(১) proxy.lu -
তাদের মতে proxy.lu হল "the fastest proxy alive" এবং কিছু কিছু সময় তারা কথাটা সত্য হয়েই দাঁড়ায়। তাদের ওয়েবসাইটি প্রায় অ্যাড মুক্ত। আপনি যদি স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত থেকে ব্লক করা ওয়েবসাইট দেখতে চান তাহলে এটা ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও এর মত আরেকটি ওয়েব প্রক্সি আছে। তার নাম QuickProx. QuickProx সত্যিই বেশ দ্রুত এবং মৌলিক সব সুবিধা দিয়ে থাকে যেমন ইউআরএল অ্যানক্রিপ্ট করা, ওয়েবসাইটের স্ক্রিপ্ট/অবজেক্ট মুছে ফেলা ইত্যাদি।
(২) New IP Now -
New IP Now এর একটি ভাল বৈশিষ্ট্য আছে যে, তাদের বেশ কিছু (প্রায় ১৬ টি) প্রক্সি সার্ভার আছে। যা ব্যবহার করে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে ওয়েব ব্রাউজ করতে পারবেন। এটি সহজ, সরল এবং দ্রুত।
(৩) Hide My Ass -
Hide My Ass একটি জনপ্রিয় ওয়েব প্রক্সি সাইট। কিন্তু তাদের "HideMyAss PRO VPN" এর বিরক্তিকর অ্যাডের কারণে আপনি ওয়েব ব্রাউজ করে ভাল অভিজ্ঞতা পাবেন না। তাই এটিকে তৃতীয় অবস্থানে রাখা হয়েছে।
(৪) Hide Me -
Hide Me ভাল ওয়েব প্রক্সিগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ তারা কোনো ধরনের লগ ফাইল রাখে না। তাদের তিনটি প্রক্সি আছে - আমেরিকা, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ড।
(৫) Proxy Site -
শেষের প্রক্সি সাইটির নাম হল Proxy Site. এর টপ-বারে সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোর একটি তালিকা করা আছে। এতে আপনি অনেক সহজেই আপনার পছন্দের সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলো ভিজিট করতে পারবেন। এছাড়াও এর ব্যবহার সরল এবং সহজ।
কিভাবে প্রক্সি সাইটগুলো ব্যবহার করবেন?
আপনি যদি আগে কখনও ওয়েব প্রক্সি সাইট ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কিভাবে এই প্রক্সি সাইটগুলো ব্যবহার করব? উত্তর অনেক সহজ।
সবগুলো ওয়েব প্রক্সির ব্যবহার প্রায় একই রকম। তাই যেকোনো একটির ব্যবহার শিখলেই আপনি অন্যান্যগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। উদাহরণস্বরুপ, "proxy.lu" কথাই ধরুন। তো, চলুন আমরা দেখি আসি যে, কিভাবে proxy.lu ওয়েব প্রক্সি সাইট ব্যবহার করা যায়।
ছবির কৃতিত্ব: proxy.lu Screenshot - CC-BY-SA 4.0 by Safiqul Amin
প্রথমে আপনাকে proxy.lu এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। দেখবেন যে, একটা ইউজার ইনপুট বক্স আছে। সেখানে লেখা -
"Enter a stie you'd like to visit". সেখানে আপনি যে ওয়েবসাইটে যেতে চান, তার ইউআরএল/ঠিকানা লিখুন।
এরপর এন্টার কী চাপুন, অথবা, "Browse!" বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণ পর নতুন একটি পাতায় আপনার সেই ওয়েবসাইটটি দেখতে পাবেন।
শেষ কথা:
তো, আমার মতে এগুলোই ছিল ২০১৫ সালের সেরা ৫ টি ওয়েব প্রক্সি। আশা করি লেখাটি আপনার কাজে এসেছে। লেখাটি যদি আপনার ভাল লাগে, তাহলে নিচে মন্তব্য করুন এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোতে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।